মুফতি আইয়ুব নাদীম
সময়ের ঘূর্ণন আর প্রকৃতির পরিবর্তনে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে কেটে যায় মানুষের জীবন। মানবজীবনে এমন তিনটি দিন আছে, যা নানা কারণে গুরুত্বের দাবি রাখে। নিম্নে ব্যতিক্রমী সেই তিনটি দিন নিয়ে আলোচনা তুলে ধরা হলো—
এক. দুনিয়ায় আগমনের দিন: মানব শিশুর দুনিয়াতে আগমনের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই দিনে তার ডান কানে আজান এবং বাঁ কানে একামত দেওয়া সুন্নত। যাতে প্রথম দিনেই তার কানে আল্লাহর নাম পৌঁছে যায়। যখন ফাতেমা (রা.)-এর ঘরে হাসানের জন্ম হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের নেয় ডান কানে আজান ও বাঁ কানে একামত দিয়েছিলেন। (জামে তিরমিজি: ১/২৭৮)
আর কোনো বুজুর্গ ব্যক্তি পেয়ে গেলে, তার মাধ্যমে খেজুর চিবিয়ে নবজাতকের মুখে দেওয়া এবং তার জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। হজরত আয়েশা (রা.) তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে মানুষেরা তাঁদের সন্তানকে নিয়ে আসতেন, তখন তিনি তাঁদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং তাহনিক তথা খেজুর চিবিয়ে বাচ্চার মুখে লালা লাগিয়ে দিতেন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ২/৩৬২)
দুই. মৃত্যুর দিন: মৃত্যুর সময় যদি ইমান সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায়, দুনিয়ার সব দুঃখ-কষ্ট তখন তুচ্ছ। এ জন্য কোনো মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে যারা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের কর্তব্য কালেমায়ে তায়্যিবার তালকিন করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃত্যুগামী ব্যক্তিদের—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর তালকিন করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১৬)। তালকিনের অর্থ হচ্ছে, মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে একটু আওয়াজ করে কালেমা পড়তে থাকা।
তিন. আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের দিন: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘সুতরাং যে কেউ নিজ মালিকের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং নিজ মালিকের ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক না করে।’ (সুরা কাহাফ: ১১০)। আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, তাদের নিশ্চিত থাকা উচিত, আল্লাহর নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে এবং তিনিই সব কথা শোনেন, সবকিছু জানেন।’ (সুরা আনকাবুত: ৫)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
সময়ের ঘূর্ণন আর প্রকৃতির পরিবর্তনে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে কেটে যায় মানুষের জীবন। মানবজীবনে এমন তিনটি দিন আছে, যা নানা কারণে গুরুত্বের দাবি রাখে। নিম্নে ব্যতিক্রমী সেই তিনটি দিন নিয়ে আলোচনা তুলে ধরা হলো—
এক. দুনিয়ায় আগমনের দিন: মানব শিশুর দুনিয়াতে আগমনের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই দিনে তার ডান কানে আজান এবং বাঁ কানে একামত দেওয়া সুন্নত। যাতে প্রথম দিনেই তার কানে আল্লাহর নাম পৌঁছে যায়। যখন ফাতেমা (রা.)-এর ঘরে হাসানের জন্ম হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের নেয় ডান কানে আজান ও বাঁ কানে একামত দিয়েছিলেন। (জামে তিরমিজি: ১/২৭৮)
আর কোনো বুজুর্গ ব্যক্তি পেয়ে গেলে, তার মাধ্যমে খেজুর চিবিয়ে নবজাতকের মুখে দেওয়া এবং তার জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। হজরত আয়েশা (রা.) তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে মানুষেরা তাঁদের সন্তানকে নিয়ে আসতেন, তখন তিনি তাঁদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং তাহনিক তথা খেজুর চিবিয়ে বাচ্চার মুখে লালা লাগিয়ে দিতেন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ২/৩৬২)
দুই. মৃত্যুর দিন: মৃত্যুর সময় যদি ইমান সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায়, দুনিয়ার সব দুঃখ-কষ্ট তখন তুচ্ছ। এ জন্য কোনো মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে যারা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের কর্তব্য কালেমায়ে তায়্যিবার তালকিন করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃত্যুগামী ব্যক্তিদের—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর তালকিন করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯১৬)। তালকিনের অর্থ হচ্ছে, মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে একটু আওয়াজ করে কালেমা পড়তে থাকা।
তিন. আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের দিন: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘সুতরাং যে কেউ নিজ মালিকের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং নিজ মালিকের ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক না করে।’ (সুরা কাহাফ: ১১০)। আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, তাদের নিশ্চিত থাকা উচিত, আল্লাহর নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে এবং তিনিই সব কথা শোনেন, সবকিছু জানেন।’ (সুরা আনকাবুত: ৫)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে