ইসলাম ডেস্ক
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের হৃদয়ের বাদশাহ। তাঁর চলন-বলন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা আর চাহনি—মুগ্ধ করত সবাইকে। ইমান অবস্থায় যে তাঁকে একবার দেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম। আমরা পৃথিবীতে এসেছি তাঁর বিদায়ের প্রায় দেড় হাজার বছর পর। কোরআন, হাদিস, ইতিহাসের গ্রন্থ আর নানা আলোচনায় তাঁর কথা শুনলেই মনে জাগে—প্রিয় নবী (সা.)-এর দৈহিক গঠন কেমন ছিল?
মহানবী (সা.)-এর মাঝে যেমন উত্তম গুণাবলির সর্বাধিক সমাবেশ ঘটেছিল, তেমনি তাঁর দৈহিক সৌন্দর্যও ছিল অতুলনীয়। বিভিন্ন হাদিসে আমাদের নবী করিম (সা.)-এর গঠন-আকৃতির বর্ণনা এসেছে এভাবে—তিনি মানানসই দীর্ঘদেহী ছিলেন। ছিল মেদহীন সুঠাম দেহ। প্রশস্ত ললাট। উন্নত চকচকে নাসিকা। চেহারা গোলগাল হালকা-পাতলা। মুখগহ্বর প্রশস্ত। গায়ের রং ছিল দুধে-আলতায় মিশ্রিত গোলাপের মতো। ঘন দাড়ি। ঘাড় যেন রৌপ্যপাত্রে রক্তঢালা। মাথার চুল সামান্য কোঁকড়ানো। ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। বাহু, কাঁধ ও বুকের ওপরে পশমবিশিষ্ট। তবে অতিরিক্ত পশমমুক্ত শরীর। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত পশমের দীর্ঘ রেখা। হাত-পায়ের আঙুল শক্তিশালী ও মজবুত। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংসল ছিল। দুই কাঁধের মাঝখানে মোহরে নবুয়ত। মাথা ও অস্থিবন্ধনীগুলো কিছুটা বড়সড়। ডাগর ডাগর চোখ। চোখের মণি কুচকুচে কালো। পাপড়ি লম্বাটে। ভ্রু যুগল অমিলিত প্রশস্ত ঘন। ভ্রুদ্বয়ের মাঝখানে প্রস্ফুটিত একটা রগ, যা রাগের সময় স্ফীত হতো। দাঁতগুলো বিযুক্ত রুপার গাঁথুনি। ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না।
এককথায় তাঁর অপূর্ব রূপমাধুর্য বর্ণনাতীত। যে কেউ তাঁকে প্রথম দেখায় হতভম্ব হয়ে পড়ত। সে এ কথা বলতে বাধ্য হতো—জীবনে এমন সুন্দর মানুষ দ্বিতীয়জন দেখিনি।
জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, আমি একবার পূর্ণিমা রাতের স্নিগ্ধ আলোতে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখলাম। তখন আমি একবার তাঁর দিকে ও একবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। মনে হলো, তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও বেশি চমৎকার। (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৭৩৮৩, মারেফাতুস সাহাবা: ১৪৩৫)
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের হৃদয়ের বাদশাহ। তাঁর চলন-বলন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা আর চাহনি—মুগ্ধ করত সবাইকে। ইমান অবস্থায় যে তাঁকে একবার দেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম। আমরা পৃথিবীতে এসেছি তাঁর বিদায়ের প্রায় দেড় হাজার বছর পর। কোরআন, হাদিস, ইতিহাসের গ্রন্থ আর নানা আলোচনায় তাঁর কথা শুনলেই মনে জাগে—প্রিয় নবী (সা.)-এর দৈহিক গঠন কেমন ছিল?
মহানবী (সা.)-এর মাঝে যেমন উত্তম গুণাবলির সর্বাধিক সমাবেশ ঘটেছিল, তেমনি তাঁর দৈহিক সৌন্দর্যও ছিল অতুলনীয়। বিভিন্ন হাদিসে আমাদের নবী করিম (সা.)-এর গঠন-আকৃতির বর্ণনা এসেছে এভাবে—তিনি মানানসই দীর্ঘদেহী ছিলেন। ছিল মেদহীন সুঠাম দেহ। প্রশস্ত ললাট। উন্নত চকচকে নাসিকা। চেহারা গোলগাল হালকা-পাতলা। মুখগহ্বর প্রশস্ত। গায়ের রং ছিল দুধে-আলতায় মিশ্রিত গোলাপের মতো। ঘন দাড়ি। ঘাড় যেন রৌপ্যপাত্রে রক্তঢালা। মাথার চুল সামান্য কোঁকড়ানো। ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। বাহু, কাঁধ ও বুকের ওপরে পশমবিশিষ্ট। তবে অতিরিক্ত পশমমুক্ত শরীর। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত পশমের দীর্ঘ রেখা। হাত-পায়ের আঙুল শক্তিশালী ও মজবুত। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংসল ছিল। দুই কাঁধের মাঝখানে মোহরে নবুয়ত। মাথা ও অস্থিবন্ধনীগুলো কিছুটা বড়সড়। ডাগর ডাগর চোখ। চোখের মণি কুচকুচে কালো। পাপড়ি লম্বাটে। ভ্রু যুগল অমিলিত প্রশস্ত ঘন। ভ্রুদ্বয়ের মাঝখানে প্রস্ফুটিত একটা রগ, যা রাগের সময় স্ফীত হতো। দাঁতগুলো বিযুক্ত রুপার গাঁথুনি। ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না।
এককথায় তাঁর অপূর্ব রূপমাধুর্য বর্ণনাতীত। যে কেউ তাঁকে প্রথম দেখায় হতভম্ব হয়ে পড়ত। সে এ কথা বলতে বাধ্য হতো—জীবনে এমন সুন্দর মানুষ দ্বিতীয়জন দেখিনি।
জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, আমি একবার পূর্ণিমা রাতের স্নিগ্ধ আলোতে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখলাম। তখন আমি একবার তাঁর দিকে ও একবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। মনে হলো, তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও বেশি চমৎকার। (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৭৩৮৩, মারেফাতুস সাহাবা: ১৪৩৫)
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে