ইসলাম ডেস্ক
হজ ও কোরবানির ঈদের মতো দুটি মৌলিক ও অবশ্য পালনীয় ইবাদতের কারণে জিলহজ মাসের মর্যাদা অনন্য। এ ছাড়া এই মাসের বেশ কিছু নফল আমলও রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল হলো জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা।
এই মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মোস্তাহাব ও অশেষ সওয়াবের কাজ। বিশেষ করে জিলহজের ৯ তারিখ রোজা রাখার প্রতি বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোয় রোজা রাখো?’ জবাবে সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। এই দিনগুলো পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের বরকতময় সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন।’
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ ক্রীতদাস মুক্ত করার, ১০০ উট দান করার এবং রণসাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে ২ হাজার দাস মুক্ত করার, ২ হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত ২ হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)
মহানবী (সা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘যখন আরাফাতের দিন আসে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। এই দিনে যে পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, অন্য কোনো দিন তা দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি আরাফাতের দিনে রোজা রাখে, তার বিগত বছর ও আগামী বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এসব ফজিলতের জন্য জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনেকেই। এ ছাড়া এ মাসে আইয়ামে বিজের রোজা, সোম এবং বৃহস্পতিবারের রোজা রাখারও সুযোগ রয়েছে। তাই এ মাসের রোজার জন্য দরকার পূর্ব প্রস্তুতি।
প্রস্তুতি শুরু করতে হবে আল্লাহর কাছে রোজা রাখার তৌফিক চাওয়ার মাধ্যমে। তাঁর তৌফিক ছাড়া কোনোভাবেই কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি গুনাহ কমানোর চেষ্টা করা, বেশি বেশি নেক আমল করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়া, দান-সদকা বাড়িয়ে দেওয়া, আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে আমরা জিলহজের রোজার প্রস্তুতি নিতে পারি।
হজ ও কোরবানির ঈদের মতো দুটি মৌলিক ও অবশ্য পালনীয় ইবাদতের কারণে জিলহজ মাসের মর্যাদা অনন্য। এ ছাড়া এই মাসের বেশ কিছু নফল আমলও রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল হলো জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা।
এই মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা মোস্তাহাব ও অশেষ সওয়াবের কাজ। বিশেষ করে জিলহজের ৯ তারিখ রোজা রাখার প্রতি বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত। মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে যুবক, তুমি কেন এই দিনগুলোয় রোজা রাখো?’ জবাবে সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা-বাবা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। এই দিনগুলো পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের বরকতময় সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন।’
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ ক্রীতদাস মুক্ত করার, ১০০ উট দান করার এবং রণসাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে ২ হাজার দাস মুক্ত করার, ২ হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত ২ হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে।’ (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি)
মহানবী (সা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘যখন আরাফাতের দিন আসে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। এই দিনে যে পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, অন্য কোনো দিন তা দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি আরাফাতের দিনে রোজা রাখে, তার বিগত বছর ও আগামী বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এসব ফজিলতের জন্য জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অনেকেই। এ ছাড়া এ মাসে আইয়ামে বিজের রোজা, সোম এবং বৃহস্পতিবারের রোজা রাখারও সুযোগ রয়েছে। তাই এ মাসের রোজার জন্য দরকার পূর্ব প্রস্তুতি।
প্রস্তুতি শুরু করতে হবে আল্লাহর কাছে রোজা রাখার তৌফিক চাওয়ার মাধ্যমে। তাঁর তৌফিক ছাড়া কোনোভাবেই কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি গুনাহ কমানোর চেষ্টা করা, বেশি বেশি নেক আমল করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, তাহাজ্জুদের অভ্যাস গড়া, দান-সদকা বাড়িয়ে দেওয়া, আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে আমরা জিলহজের রোজার প্রস্তুতি নিতে পারি।
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে