তানবিরুল হক আবিদ
কোরবানি শুরু হয়েছিল আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে। সেই সময় থেকে নিয়ে প্রত্যেক নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল।
কোরবানি স্বাভাবিক কোনো আমল নয়, বরং এর সঙ্গে মিশে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, তাৎপর্য। পশু জবাই করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এই ইবাদতে।
কোরবানি হলো বৈধ সম্পদের মাধ্যমে বিশুদ্ধ নিয়তে একমাত্র আল্লাহর জন্য পশু জবাই করা। যার যার কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করাই উত্তম। নবী করিম (সা.) নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করতেন।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে তাকবির বলতে বলতে নিজ হাতে কোরবানির পশু জবাই করতে দেখেছি। (মুসনাদে আহমাদ: ১২৪৬৬)
আমাদের সমাজে সাধারণত পুরুষরাই কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। নারীদের কোরবানির পশু জবাই করার তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কোনো নারীর ওপর যদি কোরবানি ওয়াজিব হয়—তিনি কি নিজ কোরবানির পশু নিজে জবাই করতে পারবেন? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান কী?
ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো, নারী যদি ভালোভাবে পশু জবাই করার পদ্ধতি জানে—তাহলে তার নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করতে বাধা নেই। পুরুষের জবাইকৃত পশু যেমন হালাল তেমনি নারীর জবাইকৃত পশুও হালাল। আর কোরবানি ছাড়াও অন্য যেকোনো সময় নারীরা হালাল প্রাণী জবাই করে তা খেতে পারবেন।
ইবনে কাব ইবনে মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার কিছু ছাগল-ভেড়া ছিল যা সাল নামক স্থানে চরে বেড়াতো। একদিন আমাদের এক দাসী দেখলো যে, আমাদের ছাগল-ভেড়ার মধ্যে একটি ছাগল মারা যাচ্ছে। তখন সে একটি পাথর ভেঙ্গে তা দিয়ে ছাগলটাকে জবাই করে দিল।
হজরত কাব (রা.) তাদের বললেন, তোমরা এটা খেয়ো না—যে পর্যন্ত না আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করে আসি, অথবা কাউকে তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করতে পাঠাই। এরপর তিনি নিজেই নবী (সা.)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন অথবা কাউকে পাঠিয়েছিলেন। নবীজি (সা.) তা খাওয়ার হুকুম দিয়েছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২৩০৪)
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়—নারীরা পশু জবাই করা এবং তাদের জবাইকৃত পশু খাওয়া ইসলামে নিষেধ নয়। প্রয়োজনে তা করতে পারে।
আরও পড়ুন:
কোরবানি শুরু হয়েছিল আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে। সেই সময় থেকে নিয়ে প্রত্যেক নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল।
কোরবানি স্বাভাবিক কোনো আমল নয়, বরং এর সঙ্গে মিশে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, তাৎপর্য। পশু জবাই করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে এই ইবাদতে।
কোরবানি হলো বৈধ সম্পদের মাধ্যমে বিশুদ্ধ নিয়তে একমাত্র আল্লাহর জন্য পশু জবাই করা। যার যার কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করাই উত্তম। নবী করিম (সা.) নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করতেন।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে তাকবির বলতে বলতে নিজ হাতে কোরবানির পশু জবাই করতে দেখেছি। (মুসনাদে আহমাদ: ১২৪৬৬)
আমাদের সমাজে সাধারণত পুরুষরাই কোরবানির পশু জবাই করে থাকেন। নারীদের কোরবানির পশু জবাই করার তেমন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কোনো নারীর ওপর যদি কোরবানি ওয়াজিব হয়—তিনি কি নিজ কোরবানির পশু নিজে জবাই করতে পারবেন? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান কী?
ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো, নারী যদি ভালোভাবে পশু জবাই করার পদ্ধতি জানে—তাহলে তার নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করতে বাধা নেই। পুরুষের জবাইকৃত পশু যেমন হালাল তেমনি নারীর জবাইকৃত পশুও হালাল। আর কোরবানি ছাড়াও অন্য যেকোনো সময় নারীরা হালাল প্রাণী জবাই করে তা খেতে পারবেন।
ইবনে কাব ইবনে মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার কিছু ছাগল-ভেড়া ছিল যা সাল নামক স্থানে চরে বেড়াতো। একদিন আমাদের এক দাসী দেখলো যে, আমাদের ছাগল-ভেড়ার মধ্যে একটি ছাগল মারা যাচ্ছে। তখন সে একটি পাথর ভেঙ্গে তা দিয়ে ছাগলটাকে জবাই করে দিল।
হজরত কাব (রা.) তাদের বললেন, তোমরা এটা খেয়ো না—যে পর্যন্ত না আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করে আসি, অথবা কাউকে তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করতে পাঠাই। এরপর তিনি নিজেই নবী (সা.)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন অথবা কাউকে পাঠিয়েছিলেন। নবীজি (সা.) তা খাওয়ার হুকুম দিয়েছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২৩০৪)
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়—নারীরা পশু জবাই করা এবং তাদের জবাইকৃত পশু খাওয়া ইসলামে নিষেধ নয়। প্রয়োজনে তা করতে পারে।
আরও পড়ুন:
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে