ইসলাম ডেস্ক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
মুমিনের জীবনে আল্লাহভীতির গুরুত্ব
মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহভীতির উপস্থিতি খুবই জরুরি। কারণ, এটি মুমিনকে কলুষতা, পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বাঁচায়। আর এর অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। এ জন্যই কোরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় মুমিনকে বহু মূল্য তাকওয়ার রঙে রঙিন হতে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহজাব: ৭০)
তাকওয়ার মাহাত্ম্য
তাকওয়া মুমিনের সদ্গুণ। তাকওয়া হৃদয়ে ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়। একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণের সুযোগ করে দেয়। তা ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিনকে বহুবিধ সফলতা দান করে।
দুনিয়ার সফলতা হলো–
১. মুমিনের কাজ সুলভ করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন) করবে আল্লাহ তার কাজকে সহজ করে দেবেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
২. মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিগণকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়। (সুরা আরাফ: ২০১)
৩. মুমিনের জীবনে সচ্ছলতা এনে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পন্থা (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।’ (সুরা তালাক: ২ ও ৩)
৪. তাকওয়ার সজ্জায় সজ্জিত মুমিন আল্লাহর অলি (পরম বন্ধু) হয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘একমাত্র মুত্তাকিগণই আল্লাহ তাআলার অলি।’ (সুরা আনফাল: ৩৪)
৫. জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যম হতে পারে এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহ তোমাদের জ্ঞান দান করবেন।’ (সুরা বাকারা: ১৮২)
৬. আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অর্জন সুগম করে তুলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লেখে দেব।’ (সুরা আরাফ: ১৫৬)
৭. মহান আল্লাহর বরকত খুবই নিকটে নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি গ্রামবাসী আল্লাহ তাআলার প্রতি ইমান আনত ও তাকওয়া অর্জন করত—আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতদ্বার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
আখিরাতের সফলতা হলো–
১. তাকওয়া মুমিনকে মহান আল্লাহর একজন প্রিয় ও খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তোলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সে, যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
২. পরকালে সফলতা অর্জনের উত্তম একটি মাধ্যম হয় এ তাকওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য ও আল্লাহকে ভয় করবে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা নুর: ৫২)
৩. মুমিনকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জাহান্নামে সকলেই পতিত হবে, এটা প্রভুর সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত; অতঃপর আমি মুত্তাকিদের মুক্তি দান করব ও স্বৈরাচারদের নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে ছেড়ে দেব।’ (সুরা মারইয়াম: ৭১-৭২)
৪. তাকওয়ার উপস্থিতি আমলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই আল্লাহ (আমল) গ্রহণ করে নেন।’ (সুরা মায়িদা: ২৭)
৫. মুমিনের চূড়ান্ত সফলতা বয়ে আনে; আর সেটি হলো জান্নাতপ্রাপ্তি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি এই জান্নাতের উত্তরাধিকার মুত্তাকিদের বানাব।’ (সুরা মারইয়াম: ৬৩)
লেখক: রায়হান আল ইমরান, ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুমিনের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ তাকওয়া। শব্দটির উৎপত্তি আরবি, অর্থ হচ্ছে আল্লাহভীতি। আর আল্লাহভীতির সারকথা হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার হক বা অধিকার যথাযথ আদায় করা। আল্লাহর হক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। বান্দার হক সেবা, সম্পদের পাওনা আদায় ইত্যাদি।
২৬ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে