ইসলাম ডেস্ক
মানুষ শুধু শারীরিক কাঠামো নয়; বরং আত্মা ও নৈতিকতা দ্বারা পরিপূর্ণ একটি সত্তা। আত্মার পরিচর্যা ও পরিশুদ্ধিই মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহৎ, আত্মাকে করে আলোকিত। আত্মশুদ্ধি এমন এক গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছায়, মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করে, পার্থিব ও পারলৌকিক সফলতার পথ খুলে দেয়। কোরআন ও হাদিসে তাই আত্মশুদ্ধির ওপর এসেছে বারবার জোর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে যে আত্মাকে শুদ্ধ করেছে এবং সে ব্যর্থ হয়েছে যে তা কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯-১০)
আত্মশুদ্ধির পুরস্কারের বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হলো তাদের পুরস্কার, যারা তাদের মন পরিশুদ্ধ করে।’ (সুরা তোহা: ৭৬)। কেউ যদি মনের শুদ্ধতা অর্জন করে, তবে সে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি পরিশুদ্ধি অর্জন করে, সে নিজের জন্যই পরিশুদ্ধি অর্জন করে।’ (সুরা ফাতির: ১৮)। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আত্মশুদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। আত্মশুদ্ধির মধ্যেই সফলতা নিহিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই সে সফলতা লাভ করবে, যে আত্মশুদ্ধির পথ অবলম্বন করবে।’ (সুরা আলা: ১৪)
হাদিসে আত্মার শুদ্ধতার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা, আত্মশুদ্ধির সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সাবধান! শরীরের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে—তা যখন সুস্থ থাকে তখন পুরো শরীর সুস্থ থাকে। আর তা যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। সাবধান! তা হলো তোমাদের অন্তর বা হৃৎপিণ্ড।’ (সহিহ্ বুখারি)
আত্মশুদ্ধি কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নয়; বরং এটি একটি নিরন্তর সাধনা—নিজেকে মন্দ চিন্তা, কলুষতা ও পাপপ্রবণতা থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টার নাম। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মানুষ অর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আখিরাতের শান্তি এবং দুনিয়ার ভারসাম্যপূর্ণ জীবন। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে সমষ্টিগত উন্নয়নের জন্য আত্মশুদ্ধির বিকল্প নেই। তাই প্রত্যেক ইমানদারের উচিত আত্মশুদ্ধিকে জীবনের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করা।
মানুষ শুধু শারীরিক কাঠামো নয়; বরং আত্মা ও নৈতিকতা দ্বারা পরিপূর্ণ একটি সত্তা। আত্মার পরিচর্যা ও পরিশুদ্ধিই মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহৎ, আত্মাকে করে আলোকিত। আত্মশুদ্ধি এমন এক গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছায়, মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করে, পার্থিব ও পারলৌকিক সফলতার পথ খুলে দেয়। কোরআন ও হাদিসে তাই আত্মশুদ্ধির ওপর এসেছে বারবার জোর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে যে আত্মাকে শুদ্ধ করেছে এবং সে ব্যর্থ হয়েছে যে তা কলুষিত করেছে।’ (সুরা শামস: ৯-১০)
আত্মশুদ্ধির পুরস্কারের বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হলো তাদের পুরস্কার, যারা তাদের মন পরিশুদ্ধ করে।’ (সুরা তোহা: ৭৬)। কেউ যদি মনের শুদ্ধতা অর্জন করে, তবে সে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি পরিশুদ্ধি অর্জন করে, সে নিজের জন্যই পরিশুদ্ধি অর্জন করে।’ (সুরা ফাতির: ১৮)। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আত্মশুদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। আত্মশুদ্ধির মধ্যেই সফলতা নিহিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই সে সফলতা লাভ করবে, যে আত্মশুদ্ধির পথ অবলম্বন করবে।’ (সুরা আলা: ১৪)
হাদিসে আত্মার শুদ্ধতার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা, আত্মশুদ্ধির সঙ্গে শারীরিক সুস্থতার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সাবধান! শরীরের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে—তা যখন সুস্থ থাকে তখন পুরো শরীর সুস্থ থাকে। আর তা যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। সাবধান! তা হলো তোমাদের অন্তর বা হৃৎপিণ্ড।’ (সহিহ্ বুখারি)
আত্মশুদ্ধি কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নয়; বরং এটি একটি নিরন্তর সাধনা—নিজেকে মন্দ চিন্তা, কলুষতা ও পাপপ্রবণতা থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টার নাম। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মানুষ অর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আখিরাতের শান্তি এবং দুনিয়ার ভারসাম্যপূর্ণ জীবন। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে সমষ্টিগত উন্নয়নের জন্য আত্মশুদ্ধির বিকল্প নেই। তাই প্রত্যেক ইমানদারের উচিত আত্মশুদ্ধিকে জীবনের অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করা।
রাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
৮ ঘণ্টা আগেনিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে...
১৫ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর জন্যই মৃত্যু এক অবধারিত ও ধ্রুব সত্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)। মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং এটি এক নতুন জীবনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়া। এই চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও জীবিতদের জন্য একটি
২০ ঘণ্টা আগে