সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার
পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি এ মাসের শেষ বুধবার সুস্থ হয়ে গোসল করে কিছু খানা খেয়ে মসজিদে নববিতে হাজির হয়ে নামাজের ইমামতি করেছিলেন। এতে উপস্থিত সাহাবিগণ অত্যধিক আনন্দিত হয়েছিলেন।
আর খুশির কারণে অনেক অনেক দান-খয়রাত করেছিলেন। বর্ণিত আছে, আবু বকর খুশিতে ৭ হাজার দিনার এবং ওমর ইবনে খাত্তাব ৫ হাজার দিনার, ওসমান ১০ হাজার দিনার, আলী ৩ হাজার দিনার, আবদুর রহমান ইবনে আওফ ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করেছিলেন। এরপর থেকে মুসলমানরা সাহাবিদের নীতি অনুকরণ ও অনুসরণ করে আসছে। নবী করিম (সা.)-এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। এরপর তিনি জীবিতকালে আর গোসল করেননি। তাই সব মুসলমানের এই দিনে অজু-গোসল করে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত এবং নবী করিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করে সওয়াব রেছানি করা কর্তব্য।’ (মুফতি হাবিব ছামদানী, বারো চান্দের ফজিলত, পৃষ্ঠা: ১৫)
এ ছাড়া রাহাতুল কুলুব নামের আরেকটি কিতাবে বলা হয়েছে, ‘সফর মাসে ১ লাখ ২০ হাজার ‘বালা’ নাজিল হয় এবং সব দিনের চেয়ে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’য় (সফর মাসের শেষ বুধবারে) নাজিল হয় সবচেয়ে বেশি। সুতরাং ওই দিনে যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ওই বালা থেকে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখবেন...।’ (খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া, রাহাতুল কুলুব, পৃ. ১৩৯)
কিন্তু উল্লিখিত কিতাব দুটিতে বর্ণিত ও বহুল প্রচলিত সফর মাসের শেষ বুধবারের বিষয়টিকে ইসলামি পণ্ডিত ও গবেষকগণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কেননা, রাসুল (সা.) অসুস্থ হওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট ইখতিলাফ থাকায় নির্দিষ্ট কোনো দিনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতাজনিত বর্ণনাসংবলিত অসংখ্য হাদিস রয়েছে, তবে কোথাও দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। তা ছাড়া দ্বিতীয় হিজরির প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবনে ইসহাক বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে।’ (ইবনে হিশাম, সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ: ৪/ ২৮৯)।
এ ছাড়া, ইবনে হিশাম বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতার দিন ঠিক করেছেন ১৮ সফর থেকে একনাগাড়ে ১৩ দিন পর্যন্ত। (ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা: ৯৯৯) এই মতের মতোই হুবহু পাওয়া যায় ইসলামি বিশ্বকোষ, পৃষ্ঠা: ১৩তে।
শুধু তা-ই নয়, রাসুল (সা.) কোন দিন থেকে অসুস্থ হয়েছিলেন, সে বিষয়েও বিস্তর মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার। এমনকি কত দিনের অসুস্থতার পর তিনি ইন্তিকাল করেন, সে বিষয়েও রয়েছে মতভেদ। কেউ বলেছেন ১০ দিন, কেউ বলেছেন ১২ দিন, কেউ বলেছেন ১৩ দিন, কেউ বলেছেন ১৪ দিন। এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। (জারকানি/শারহুল মাওয়াহিব-১২/ ৮৩; কাসতালানি, আহমদ ইবনে মুহাম্মদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া: ৩/ ৩৭৩)
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, রাসুল (সা.)-এর ওপর জনৈক ইহুদির জাদুর প্রভাব ছিল হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে সপ্তম হিজরির মহররম মাসের প্রথম দিকে। এই জাদুর প্রভাব কোনো বর্ণনায় ছয় মাসের কথা এসেছে, আর কোনো বর্ণনায় এসেছে ৪০ দিনের কথা। সুতরাং সুস্থতার তারিখ কোনোভাবেই ১১ হিজরির সফর মাসের ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ বা ‘শেষ বুধবার’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত অনেক গবেষক আলেম। (ফাতহুল বারি: ৭/ ৭৪৮, কিতাবুল মাগাজি: ৪৪৪২, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৪/ ১৯৩, সিরাতুন নবী, শিবলী নোমানী: ২/ ১১৩)
এ ছাড়া এ তথ্যও সঠিক নয় যে, বুধবারের পর রাসুল (সা.) আর গোসল করেননি। কেননা, এরপর এক রাতে এশার সালাতের আগে গোসল করার কথা বিশুদ্ধ সনদে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। (মুসলিম: ৪১৮; বুখারি: ৬৮১)। আর এ কথাও ঠিক নয় যে, বুধবারের পর সুস্থতায় কোনোরূপ উন্নতি হয়নি। বরং এরপর আরেক দিন সুস্থবোধ করেছিলেন এবং জোহরের নামাজ আদায় করেছিলেন। (বুখারি: ৬৬৪, ৬৮০, ৬৮১; মুসলিম: ৪১৮) এমনকি সোমবার সকালেও সুস্থতা অনুভব করেছিলেন, যার কারণে আবু বাকর (রা.) অনুমতি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃ. ৭১১-৭১২, আর রাওজাতুল উলুফ: ৭/ ৫৪৭-৫৪৮)।
ইসলাম ধর্মীয় সব রীতিনীতি নির্ভরযোগ্য সনদে পাওয়া না গেলে সেটার অনুকরণ-অনুসরণ উম্মতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বরং ইবাদতের পদ্ধতি তৈরি করে সওয়াবের আশায় পালন করা হলে সেটা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হয়। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোনো আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি: ২৬৯৭; মুসলিম: ১৭১৮; মিশকাত: ১৪০)। সুতরাং আমাদের উচিত যেকোনো ইবাদত পালনের আগে সেটির গ্রহণযোগ্যতা, সত্যতা ও বাস্তবতা যাচাই করে নেওয়া।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
পৃথিবীর কয়েকটি দেশেই কেবল এই দিবস পালিত হয়। বিশেষ করে ইরাক, ইরান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি অংশের কাছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রচলিত কিছু ধর্মীয় কিতাবেও এই দিবসের গুরুত্বের কথা পাওয়া যায়। যেমন—‘বারো চান্দের ফজিলত’ কিতাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নবী করিম (সা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সফর মাসের শেষ সপ্তাহে ভীষণভাবে রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি এ মাসের শেষ বুধবার সুস্থ হয়ে গোসল করে কিছু খানা খেয়ে মসজিদে নববিতে হাজির হয়ে নামাজের ইমামতি করেছিলেন। এতে উপস্থিত সাহাবিগণ অত্যধিক আনন্দিত হয়েছিলেন।
আর খুশির কারণে অনেক অনেক দান-খয়রাত করেছিলেন। বর্ণিত আছে, আবু বকর খুশিতে ৭ হাজার দিনার এবং ওমর ইবনে খাত্তাব ৫ হাজার দিনার, ওসমান ১০ হাজার দিনার, আলী ৩ হাজার দিনার, আবদুর রহমান ইবনে আওফ ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করেছিলেন। এরপর থেকে মুসলমানরা সাহাবিদের নীতি অনুকরণ ও অনুসরণ করে আসছে। নবী করিম (সা.)-এর এই দিনের গোসলই জীবনের শেষ গোসল ছিল। এরপর তিনি জীবিতকালে আর গোসল করেননি। তাই সব মুসলমানের এই দিনে অজু-গোসল করে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত এবং নবী করিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করে সওয়াব রেছানি করা কর্তব্য।’ (মুফতি হাবিব ছামদানী, বারো চান্দের ফজিলত, পৃষ্ঠা: ১৫)
এ ছাড়া রাহাতুল কুলুব নামের আরেকটি কিতাবে বলা হয়েছে, ‘সফর মাসে ১ লাখ ২০ হাজার ‘বালা’ নাজিল হয় এবং সব দিনের চেয়ে ‘আখেরি চাহার শোম্বা’য় (সফর মাসের শেষ বুধবারে) নাজিল হয় সবচেয়ে বেশি। সুতরাং ওই দিনে যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ওই বালা থেকে রক্ষা করবেন এবং পরবর্তী বছর পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রাখবেন...।’ (খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া, রাহাতুল কুলুব, পৃ. ১৩৯)
কিন্তু উল্লিখিত কিতাব দুটিতে বর্ণিত ও বহুল প্রচলিত সফর মাসের শেষ বুধবারের বিষয়টিকে ইসলামি পণ্ডিত ও গবেষকগণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কেননা, রাসুল (সা.) অসুস্থ হওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট ইখতিলাফ থাকায় নির্দিষ্ট কোনো দিনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতাজনিত বর্ণনাসংবলিত অসংখ্য হাদিস রয়েছে, তবে কোথাও দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। তা ছাড়া দ্বিতীয় হিজরির প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবনে ইসহাক বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যে অসুস্থতায় ইন্তিকাল করেন, সেই অসুস্থতার শুরু হয়েছিল সফর মাসের শেষ কয়েক রাত থাকতে অথবা রবিউল আউয়াল মাসের শুরু থেকে।’ (ইবনে হিশাম, সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ: ৪/ ২৮৯)।
এ ছাড়া, ইবনে হিশাম বিভিন্ন বর্ণনার আলোকে রাসুল (সা.)-এর অসুস্থতার দিন ঠিক করেছেন ১৮ সফর থেকে একনাগাড়ে ১৩ দিন পর্যন্ত। (ইবনে হিশাম, পৃষ্ঠা: ৯৯৯) এই মতের মতোই হুবহু পাওয়া যায় ইসলামি বিশ্বকোষ, পৃষ্ঠা: ১৩তে।
শুধু তা-ই নয়, রাসুল (সা.) কোন দিন থেকে অসুস্থ হয়েছিলেন, সে বিষয়েও বিস্তর মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন শনিবার, কেউ বলেছেন বুধবার এবং কেউ বলেছেন সোমবার। এমনকি কত দিনের অসুস্থতার পর তিনি ইন্তিকাল করেন, সে বিষয়েও রয়েছে মতভেদ। কেউ বলেছেন ১০ দিন, কেউ বলেছেন ১২ দিন, কেউ বলেছেন ১৩ দিন, কেউ বলেছেন ১৪ দিন। এরপর তিনি ইন্তিকাল করেন। (জারকানি/শারহুল মাওয়াহিব-১২/ ৮৩; কাসতালানি, আহমদ ইবনে মুহাম্মদ, আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া: ৩/ ৩৭৩)
সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, রাসুল (সা.)-এর ওপর জনৈক ইহুদির জাদুর প্রভাব ছিল হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে সপ্তম হিজরির মহররম মাসের প্রথম দিকে। এই জাদুর প্রভাব কোনো বর্ণনায় ছয় মাসের কথা এসেছে, আর কোনো বর্ণনায় এসেছে ৪০ দিনের কথা। সুতরাং সুস্থতার তারিখ কোনোভাবেই ১১ হিজরির সফর মাসের ‘আখেরি চাহার শোম্বা’ বা ‘শেষ বুধবার’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত অনেক গবেষক আলেম। (ফাতহুল বারি: ৭/ ৭৪৮, কিতাবুল মাগাজি: ৪৪৪২, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৪/ ১৯৩, সিরাতুন নবী, শিবলী নোমানী: ২/ ১১৩)
এ ছাড়া এ তথ্যও সঠিক নয় যে, বুধবারের পর রাসুল (সা.) আর গোসল করেননি। কেননা, এরপর এক রাতে এশার সালাতের আগে গোসল করার কথা বিশুদ্ধ সনদে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। (মুসলিম: ৪১৮; বুখারি: ৬৮১)। আর এ কথাও ঠিক নয় যে, বুধবারের পর সুস্থতায় কোনোরূপ উন্নতি হয়নি। বরং এরপর আরেক দিন সুস্থবোধ করেছিলেন এবং জোহরের নামাজ আদায় করেছিলেন। (বুখারি: ৬৬৪, ৬৮০, ৬৮১; মুসলিম: ৪১৮) এমনকি সোমবার সকালেও সুস্থতা অনুভব করেছিলেন, যার কারণে আবু বাকর (রা.) অনুমতি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। (সিরাতে ইবনে ইসহাক, পৃ. ৭১১-৭১২, আর রাওজাতুল উলুফ: ৭/ ৫৪৭-৫৪৮)।
ইসলাম ধর্মীয় সব রীতিনীতি নির্ভরযোগ্য সনদে পাওয়া না গেলে সেটার অনুকরণ-অনুসরণ উম্মতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বরং ইবাদতের পদ্ধতি তৈরি করে সওয়াবের আশায় পালন করা হলে সেটা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হয়। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোনো আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারি: ২৬৯৭; মুসলিম: ১৭১৮; মিশকাত: ১৪০)। সুতরাং আমাদের উচিত যেকোনো ইবাদত পালনের আগে সেটির গ্রহণযোগ্যতা, সত্যতা ও বাস্তবতা যাচাই করে নেওয়া।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
৫ ঘণ্টা আগেকোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১ দিন আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগে