হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। এই মাসের সম্মান ও ফজিলত অনেক বেশি। এই মাসের ১০ তারিখ আশুরা। এই আশুরার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই মহররম ও আশুরার দিনের করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি লক্ষ্য করা যায়। তাই এ সংক্রান্ত করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
মহররমের ২ করণীয় আমল—
১. মহররম মাসের ১০ম দিন (আশুরার দিন) রোজা অবস্থায় কাটানো উত্তম। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে আশুরার দিনের রোজার ওপরে অন্য কোনো দিনের (নফল) রোজাকে প্রাধান্য দিতে দেখিনি।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০০৬)
২. তওবা করা। হজরত আলী (রা.) বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। ওই সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, রমজান মাসের পর আর কোন মাসের রোজা পালনে আপনি আমাকে আদেশ করেন?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের পর তুমি যদি আরও রোজা রাখতে ইচ্ছুক হও তবে মহররমের রোজা রাখ। যেহেতু এটা আল্লাহ তাআলার মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে যেদিন আল্লাহ তাআলা এক গোত্রের তওবা কবুল করেছিলেন এবং তিনি আরও অনেক গোত্রের তওবা এই দিনে কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি: ৭৪১)
কয়েকটি বর্জনীয়—
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা শোকে গণ্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলি যুগের মতো চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ১২৯৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১৫৮৪)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কন্যা জয়নব (রা.) মারা গেলে নারীরা কাঁদতে লাগল। উমার (রা.) হাতের কড়া দিয়ে তাদের আঘাত করলেন। এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত উমরকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘উমর, কোমল হও।’ আর মহিলাদের বললেন, ‘তোমরা তোমাদের গলার আওয়াজ শয়তান থেকে দূরে রাখো (অর্থাৎ চিৎকার করে ইনিয়ে-বিনিয়ে কেঁদো না)।’ তারপর বললেন, ‘যা কিছু চোখ (অশ্রু) ও হৃদয় থেকে (দুঃখ বেদনা ও শোক-তাপ) বের হয় তা আল্লাহর তরফ থেকেই বের হয়। এটা হয় রহমতের কারণে। আর যা কিছু হাত ও মুখ হতে বের হয় তা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (জামিউস সগির: ৪২০১)
তাই মহররম মাসে বিশেষ করে আশুরার দিনে ১. তাজিয়া মিছিল করা, ২. মর্ছিয়া পাঠ করা, ৩. মাতম করা/বিলাপ করা অনুচিত। ইসলাম এসব বিষয় সমর্থন করে না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। এই মাসের সম্মান ও ফজিলত অনেক বেশি। এই মাসের ১০ তারিখ আশুরা। এই আশুরার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই মহররম ও আশুরার দিনের করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি লক্ষ্য করা যায়। তাই এ সংক্রান্ত করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
মহররমের ২ করণীয় আমল—
১. মহররম মাসের ১০ম দিন (আশুরার দিন) রোজা অবস্থায় কাটানো উত্তম। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে আশুরার দিনের রোজার ওপরে অন্য কোনো দিনের (নফল) রোজাকে প্রাধান্য দিতে দেখিনি।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০০৬)
২. তওবা করা। হজরত আলী (রা.) বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। ওই সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, রমজান মাসের পর আর কোন মাসের রোজা পালনে আপনি আমাকে আদেশ করেন?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের পর তুমি যদি আরও রোজা রাখতে ইচ্ছুক হও তবে মহররমের রোজা রাখ। যেহেতু এটা আল্লাহ তাআলার মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে যেদিন আল্লাহ তাআলা এক গোত্রের তওবা কবুল করেছিলেন এবং তিনি আরও অনেক গোত্রের তওবা এই দিনে কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি: ৭৪১)
কয়েকটি বর্জনীয়—
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা শোকে গণ্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে ও জাহিলি যুগের মতো চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ্ বুখারি: ১২৯৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১৫৮৪)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কন্যা জয়নব (রা.) মারা গেলে নারীরা কাঁদতে লাগল। উমার (রা.) হাতের কড়া দিয়ে তাদের আঘাত করলেন। এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত উমরকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘উমর, কোমল হও।’ আর মহিলাদের বললেন, ‘তোমরা তোমাদের গলার আওয়াজ শয়তান থেকে দূরে রাখো (অর্থাৎ চিৎকার করে ইনিয়ে-বিনিয়ে কেঁদো না)।’ তারপর বললেন, ‘যা কিছু চোখ (অশ্রু) ও হৃদয় থেকে (দুঃখ বেদনা ও শোক-তাপ) বের হয় তা আল্লাহর তরফ থেকেই বের হয়। এটা হয় রহমতের কারণে। আর যা কিছু হাত ও মুখ হতে বের হয় তা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (জামিউস সগির: ৪২০১)
তাই মহররম মাসে বিশেষ করে আশুরার দিনে ১. তাজিয়া মিছিল করা, ২. মর্ছিয়া পাঠ করা, ৩. মাতম করা/বিলাপ করা অনুচিত। ইসলাম এসব বিষয় সমর্থন করে না।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
২ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না এক চিরন্তন সত্য। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তাঁর পবিত্র ঠোঁটে যেমন ফুটেছিল হাসি, তেমনই তাঁর চোখ থেকে ঝরেছে অশ্রু। হিজরতের দশম বছর, মহানবী (সা.)-এর জীবনে এমন এক কঠিন
২ ঘণ্টা আগে