মাহমুদ হাসান ফাহিম
ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আদর্শের মানদণ্ডে পৌঁছাতে হলে এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠন করতে হলে, আমাদের দুটি গুণের প্রয়োজন: এক. সত্যবাদিতা, দুই. ন্যায়পরায়ণতা। এ দুটি মানুষের এমন মৌলিক গুণ, যা মানুষকে সততার সঙ্গে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করে। সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে রাখে। যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক সদস্য এই গুণ দুটির অধিকারী হন, তাহলে সেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কখনো অন্যায় অবিচার থাকবে না।
যেমন, প্রিয় নবী (সা.) নবুওয়াত পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সে। কিন্তু শৈশবকালেই তিনি আল-আমিন (পরম বিশ্বস্ত, ন্যায়পরায়ণ) আসসাদিক (সত্যবাদী) নামে পরিচিত ছিলেন। মক্কা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর সততা ও ন্যায়পরায়ণতার গল্প। যার ফলে পুরো হিজাজ ভূমি যখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখনো মানুষ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন দেখত। তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই তাঁর কাছে আমানত রাখত। তাঁর কাছে ন্যায়বিচার চাইত।
ইতিহাস বলে, কাবা শরিফ পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সব গোত্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। কে বা কারা এই মহা সৌভাগ্য অর্জন করবে। সবার দাবি আমরা করব। কেউই তাদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। ফলে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয় পরস্পর গোত্রগুলোর মধ্যে। ন্যায়পরায়ণতার গুণের কারণে সেদিন প্রিয় নবী (সা.) এর সুষ্ঠু সমাধান করেন। গোত্রের প্রধানদের নিয়ে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপন করেন এবং রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পথ বন্ধ করেন।
শুধু আমাদের নবীই নন, যত নবী-রাসুল আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন, সবাই এই দুই গুণে সবার শীর্ষে ছিলেন। এ দুটি গুণ যার থাকবে, সে কখনো অন্যায়কারী হবে না। কারণ, এই গুণ দুটি আল্লাহ তাআলার। গুণ তিনি মহা সত্যবাদী। তিনি মহা ন্যায়পরায়ণ। সুতরাং যেকোনো দেশ ও রাষ্ট্রের সকল অন্যায় অবিচার তখনই বন্ধ হবে, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটা সদস্য এই দুটি গুণের অধিকারী হবেন।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আদর্শের মানদণ্ডে পৌঁছাতে হলে এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠন করতে হলে, আমাদের দুটি গুণের প্রয়োজন: এক. সত্যবাদিতা, দুই. ন্যায়পরায়ণতা। এ দুটি মানুষের এমন মৌলিক গুণ, যা মানুষকে সততার সঙ্গে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করে। সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে রাখে। যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক সদস্য এই গুণ দুটির অধিকারী হন, তাহলে সেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কখনো অন্যায় অবিচার থাকবে না।
যেমন, প্রিয় নবী (সা.) নবুওয়াত পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সে। কিন্তু শৈশবকালেই তিনি আল-আমিন (পরম বিশ্বস্ত, ন্যায়পরায়ণ) আসসাদিক (সত্যবাদী) নামে পরিচিত ছিলেন। মক্কা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর সততা ও ন্যায়পরায়ণতার গল্প। যার ফলে পুরো হিজাজ ভূমি যখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখনো মানুষ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন দেখত। তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই তাঁর কাছে আমানত রাখত। তাঁর কাছে ন্যায়বিচার চাইত।
ইতিহাস বলে, কাবা শরিফ পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সব গোত্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। কে বা কারা এই মহা সৌভাগ্য অর্জন করবে। সবার দাবি আমরা করব। কেউই তাদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। ফলে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয় পরস্পর গোত্রগুলোর মধ্যে। ন্যায়পরায়ণতার গুণের কারণে সেদিন প্রিয় নবী (সা.) এর সুষ্ঠু সমাধান করেন। গোত্রের প্রধানদের নিয়ে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপন করেন এবং রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পথ বন্ধ করেন।
শুধু আমাদের নবীই নন, যত নবী-রাসুল আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন, সবাই এই দুই গুণে সবার শীর্ষে ছিলেন। এ দুটি গুণ যার থাকবে, সে কখনো অন্যায়কারী হবে না। কারণ, এই গুণ দুটি আল্লাহ তাআলার। গুণ তিনি মহা সত্যবাদী। তিনি মহা ন্যায়পরায়ণ। সুতরাং যেকোনো দেশ ও রাষ্ট্রের সকল অন্যায় অবিচার তখনই বন্ধ হবে, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটা সদস্য এই দুটি গুণের অধিকারী হবেন।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে ভয়ংকর ও জঘন্য পাপ হলো শিরক। অথচ মানুষ কী সহজভাবে শিরকে লিপ্ত হয়, যেন তা কোনো পাপই নয়। শিরক ছাড়া আমৃত্যু গুনাহে নিমজ্জিত থাকা পাপিষ্ঠকেও আল্লাহ চাইলেই মাফ করতে পারেন সামান্য শাস্তি দিয়ে কিংবা শাস্তি ছাড়াই। শিরকের কোনো ক্ষমা নেই—মৃত্যুর আগে তওবা না করলে।
৯ ঘণ্টা আগেমানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আর জিকির বা আল্লাহর স্মরণ মুমিনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামে জিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। জিকিরের নানা ফজিলত ও উপকারিতার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেবর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
১ দিন আগে