ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
ইসলামি বিশ্বাস মতে, ঝড়-তুফানসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এ সময় ধৈর্য ধরে নিজেদের সুরক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা এবং সাহায্য চাওয়াই মুমিনের কাজ। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা বালা-মুসিবতের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত; এবং তারাই হেদায়তপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৭)
ঝড়-তুফানসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব দোয়া মহানবী (সা.) পাঠ করতেন, তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
ঝড়-তুফানে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, জোরে বাতাস বইলে মহানবী (সা.) এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া-খাইরা মা-ফীহা, ওয়া-খাইরা মা উরসিলাত বিহী। ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা-ফীহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহী।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম: ৮৯৯; বুখারি: ৩২০৬ ও ৪৮২৯)
বজ্রপাত হলে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন—
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا، اللَّهُمَّ صَيِّبًا هَنِيئًا، اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ, আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান হানীআ। আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বি-গদাবিকা, ওয়ালা তুহলিকনা বি-আযাবিকা, ওয়া আ-ফিনা কাবলা যা-লিকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ সহজ বৃষ্টি দিন। আপনি আপনার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।’ (বুখারি: ৭২১; তিরমিজি: ৩৪৫০; নাসায়ি: ৯২৭; আহমাদ: ৫৭৬৩; মিশকাত: ১৫২১)
অতি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, অতি বৃষ্টি হলে মহানবী (সা.) এ দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়াযযিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি, ওয়ামানা-বিতিশ শাজার।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ, উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।’ (বুখারি: ৯৩৩; মুসলিম: ৮৯৭)
দোয়া সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ইসলামি বিশ্বাস মতে, ঝড়-তুফানসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহর পরীক্ষা। এ সময় ধৈর্য ধরে নিজেদের সুরক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা এবং সাহায্য চাওয়াই মুমিনের কাজ। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা বালা-মুসিবতের সময় বলে—নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত; এবং তারাই হেদায়তপ্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৭)
ঝড়-তুফানসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব দোয়া মহানবী (সা.) পাঠ করতেন, তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—
ঝড়-তুফানে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, জোরে বাতাস বইলে মহানবী (সা.) এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া-খাইরা মা-ফীহা, ওয়া-খাইরা মা উরসিলাত বিহী। ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা-ফীহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহী।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর, এর মধ্যকার এবং এর সঙ্গে আপনার পাঠানো কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম: ৮৯৯; বুখারি: ৩২০৬ ও ৪৮২৯)
বজ্রপাত হলে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন—
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا، اللَّهُمَّ صَيِّبًا هَنِيئًا، اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ, আল্লাহুম্মা ছায়্যিবান হানীআ। আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বি-গদাবিকা, ওয়ালা তুহলিকনা বি-আযাবিকা, ওয়া আ-ফিনা কাবলা যা-লিকা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ সহজ বৃষ্টি দিন। আপনি আপনার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।’ (বুখারি: ৭২১; তিরমিজি: ৩৪৫০; নাসায়ি: ৯২৭; আহমাদ: ৫৭৬৩; মিশকাত: ১৫২১)
অতি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়তেন মহানবী (সা.)
হাদিসে এসেছে, অতি বৃষ্টি হলে মহানবী (সা.) এ দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়াযযিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি, ওয়ামানা-বিতিশ শাজার।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ, উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।’ (বুখারি: ৯৩৩; মুসলিম: ৮৯৭)
দোয়া সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১০ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
১৬ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
১৭ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১ দিন আগে