মাওলানা ইশমাম আহমেদ
পবিত্র কোরআনের সুরা ফিলে আসহাবে ফিল বা হস্তী বাহিনীর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর জন্মের বছরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার এবং পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। হস্তী বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইয়েমেনের গভর্নর আবরাহা। হাতির বহর নিয়ে এসেছিলেন বলে একে হস্তী বাহিনী বলা হয়।
সেকালে ইয়েমেন ইথিওপিয়ার বাদশাহর শাসনাধীনে ছিল। আবরাহার ইচ্ছা ছিল, মক্কার পবিত্র কাবাঘরে যেমন মানুষ তাওয়াফ ও হজের জন্য যায়, তেমনি ইয়েমেনের সানায়ও মানুষ ইবাদত করতে আসুক। সে জন্য সানায় একটি গির্জাও নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তাই তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে কাবাঘর ধ্বংস করার জন্য বিশাল বাহিনী নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হন।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’ তখন আবদুল মুত্তালিব বললেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান, যাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগলে। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই পরিণতি হয়।
আল্লাহ তাআলা নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি, তোমার রব হস্তী বাহিনীর সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন। তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি? তাদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠিয়েছেন, যারা তাদের ওপর পোড়ামাটির পাথর নিক্ষেপ করেছিল। এরপর তিনি তাদের চিবানো ঘাসের মতো বানিয়ে দিয়েছিলেন।’ (সুরা ফিল)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনের সুরা ফিলে আসহাবে ফিল বা হস্তী বাহিনীর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর জন্মের বছরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব তখন কুরাইশ গোত্রের সরদার এবং পবিত্র কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। হস্তী বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইয়েমেনের গভর্নর আবরাহা। হাতির বহর নিয়ে এসেছিলেন বলে একে হস্তী বাহিনী বলা হয়।
সেকালে ইয়েমেন ইথিওপিয়ার বাদশাহর শাসনাধীনে ছিল। আবরাহার ইচ্ছা ছিল, মক্কার পবিত্র কাবাঘরে যেমন মানুষ তাওয়াফ ও হজের জন্য যায়, তেমনি ইয়েমেনের সানায়ও মানুষ ইবাদত করতে আসুক। সে জন্য সানায় একটি গির্জাও নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তাই তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে কাবাঘর ধ্বংস করার জন্য বিশাল বাহিনী নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হন।
আবরাহার বাহিনী মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছালে মক্কার মানুষ ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। মহানবী (সা.)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব আবরাহার কাছে গেলে তিনি বললেন, ‘আমরা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছি। আর তুমি কেবল তোমাদের উট ফেরত চাইতে এসেছ।’ তখন আবদুল মুত্তালিব বললেন, ‘কাবা আল্লাহর ঘর। তিনিই এর হেফাজতকারী।’
এরপর বাহিনী মিনার ময়দানের কাছাকাছি এলে আল্লাহ একদল পাখি পাঠান, যাদের ঠোঁটে ও পায়ে ছোলার সমান পোড়ামাটির দুটি করে কঙ্কর ছিল। পাখিগুলো ওপর থেকে তা নিক্ষেপ করতে লাগল আর সৈন্যদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়তে লাগলে। আবরাহাসহ সব সৈন্যের একই পরিণতি হয়।
আল্লাহ তাআলা নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘তুমি কি দেখোনি, তোমার রব হস্তী বাহিনীর সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন। তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি? তাদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠিয়েছেন, যারা তাদের ওপর পোড়ামাটির পাথর নিক্ষেপ করেছিল। এরপর তিনি তাদের চিবানো ঘাসের মতো বানিয়ে দিয়েছিলেন।’ (সুরা ফিল)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিশ্রমনির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন। তাই দিনের বেলায় নানা কাজ শেষে রাতে মানুষ বিশ্রাম নেয়। প্রশান্তিময় বিশ্রামের সর্বোত্তম উপায় হলো ঘুম। তবে শোয়ার আগে শরীর ও মনকে পবিত্র করে নেওয়া উচিত।
২১ মিনিট আগেশান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
১ দিন আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
২ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
২ দিন আগে