মাওলানা ইমরান হোসাইন
সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনা দুনিয়ার জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। পরিবেশ-প্রতিবেশ, কর্মযজ্ঞ, দাম্পত্য জীবন, সমাজ, রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে পছন্দ-অপছন্দের মুখোমুখি হতে হয়। একবার সহজ পথ পেরোলে আরেকবার কঠিন পথ মাড়াতে হয়। হাসি-কান্নার পালাবদলের খেলায় বিচিত্র এক জীবন পার করতে হয় মানুষকে। এটিই দুনিয়ার জীবনের নিয়ম।
তবে মানুষ স্বভাবগতভাবে দুর্বল মনের হয়। বিপদের স্পর্শে অধৈর্য ও হতাশ হয়ে যায়। সুখ-সম্পদ পেলে অতি কৃপণ হয়ে ওঠে। (সুরা মাআরিজ: ১৯-২১)। অতীত ভুলে যায়। সংকট থেকে যিনি মুক্তি দিয়েছেন, সেই প্রভুকে স্মরণ করে না। তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে দান-সদকা করে না। আবার বিপদের সময়ও এতটা ঘাবড়ে যায় যে আল্লাহ তাআলা চাইলে তাকে এ বিপদ থেকে মুক্ত করে সুখ ও সমৃদ্ধি দান করতে পারেন, সেই ভরসাও যেন মন থেকে হারিয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা মানুষের এ স্বভাবগত দুর্বলতা দূর করতে এবং তাঁর আস্থা-বিশ্বাসে বলীয়ান করতে এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬) একই কথা পরপর দুইবার উল্লেখ করে কথাটির বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এটি আল্লাহ তাআলার ওয়াদা। দুঃখ-দুর্দশার গ্লানি কিছুদিন বহন করলে তারপরই আসে সুখ-সমৃদ্ধির হাস্যোজ্জ্বল দিন। আল্লাহর কৃত ওয়াদার কখনো বরখেলাপ হয় না।
সুরা ইনশিরাহের কথাটি দুনিয়ার সব মানুষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। যদিও কোরআন নাজিলের সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি সান্ত্বনার বাণী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিল। এখানে মক্কি জীবনের অমানুষিক নিপীড়ন থেকে মুক্তির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মদিনায় ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে সে ওয়াদা শতভাগ সত্য হয়েছে।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামি গবেষক
সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনা দুনিয়ার জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। পরিবেশ-প্রতিবেশ, কর্মযজ্ঞ, দাম্পত্য জীবন, সমাজ, রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে পছন্দ-অপছন্দের মুখোমুখি হতে হয়। একবার সহজ পথ পেরোলে আরেকবার কঠিন পথ মাড়াতে হয়। হাসি-কান্নার পালাবদলের খেলায় বিচিত্র এক জীবন পার করতে হয় মানুষকে। এটিই দুনিয়ার জীবনের নিয়ম।
তবে মানুষ স্বভাবগতভাবে দুর্বল মনের হয়। বিপদের স্পর্শে অধৈর্য ও হতাশ হয়ে যায়। সুখ-সম্পদ পেলে অতি কৃপণ হয়ে ওঠে। (সুরা মাআরিজ: ১৯-২১)। অতীত ভুলে যায়। সংকট থেকে যিনি মুক্তি দিয়েছেন, সেই প্রভুকে স্মরণ করে না। তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে দান-সদকা করে না। আবার বিপদের সময়ও এতটা ঘাবড়ে যায় যে আল্লাহ তাআলা চাইলে তাকে এ বিপদ থেকে মুক্ত করে সুখ ও সমৃদ্ধি দান করতে পারেন, সেই ভরসাও যেন মন থেকে হারিয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা মানুষের এ স্বভাবগত দুর্বলতা দূর করতে এবং তাঁর আস্থা-বিশ্বাসে বলীয়ান করতে এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬) একই কথা পরপর দুইবার উল্লেখ করে কথাটির বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এটি আল্লাহ তাআলার ওয়াদা। দুঃখ-দুর্দশার গ্লানি কিছুদিন বহন করলে তারপরই আসে সুখ-সমৃদ্ধির হাস্যোজ্জ্বল দিন। আল্লাহর কৃত ওয়াদার কখনো বরখেলাপ হয় না।
সুরা ইনশিরাহের কথাটি দুনিয়ার সব মানুষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। যদিও কোরআন নাজিলের সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি সান্ত্বনার বাণী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিল। এখানে মক্কি জীবনের অমানুষিক নিপীড়ন থেকে মুক্তির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মদিনায় ইসলামি সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে সে ওয়াদা শতভাগ সত্য হয়েছে।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামি গবেষক
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১৫ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ দিন আগে