মুফতি আবু দারদা
গ্রহণযোগ্য বর্ণনা মতে, ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে সাহাবিরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। এখানে সাহাবিদের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো। নবীজির দীর্ঘদিনের সেবক হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবীজির ইন্তেকালের দিনের চেয়ে শোকাতুর ও অন্ধকার দিন আমি জীবনে দেখিনি।’
সেদিন আবু বকর (রা.) মদিনার বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন। সরাসরি নবীজির মৃতদেহের কাছে গিয়ে বসে পড়লেন এবং কাপড় সরিয়ে কপালে চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন। এরপর বললেন, ‘আপনার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান হোক। নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে দুইবার মৃত্যু দিবেন না।’
সাহাবিরা সবাই শোকে কাতর। ওমর (রা.) তলোয়ার নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। অতি শোকে তিনি সাহাবিদের শাসাতে লাগলেন। বললেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) মারা গেছেন এ কথা যে বলবে, আমি তাকে হত্যা করে ফেলব।’
তখন হজরত আবু বকর (রা.) বললেন, ‘হে লোক সকল, তোমাদের মধ্য থেকে যারা মুহাম্মদ (সা.)-এর ইবাদত করত, তাদের জেনে রাখা উচিত, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর ইবাদত করত, তাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী।’
এরপর এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন, ‘মুহাম্মদ তো আল্লাহর রাসুল, তার আগে অনেক রাসুল গত হয়েছেন। যদি তিনি ইন্তেকাল করেন বা নিহত হন, তোমরা কি পেছনে ফিরে যাবে? বস্তুত, যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যাবে, সে আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দিবেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৪৪) এ আয়াতটি শুনে সাহাবিরা শান্ত হলেন। খলিফা নির্বাচন, কাফন, দাফন ও জানাজার কাজে মনোযোগী হলেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
গ্রহণযোগ্য বর্ণনা মতে, ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে সাহাবিরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। এখানে সাহাবিদের কয়েকজনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো। নবীজির দীর্ঘদিনের সেবক হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবীজির ইন্তেকালের দিনের চেয়ে শোকাতুর ও অন্ধকার দিন আমি জীবনে দেখিনি।’
সেদিন আবু বকর (রা.) মদিনার বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন। সরাসরি নবীজির মৃতদেহের কাছে গিয়ে বসে পড়লেন এবং কাপড় সরিয়ে কপালে চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন। এরপর বললেন, ‘আপনার জন্য আমার বাবা-মা কোরবান হোক। নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে দুইবার মৃত্যু দিবেন না।’
সাহাবিরা সবাই শোকে কাতর। ওমর (রা.) তলোয়ার নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। অতি শোকে তিনি সাহাবিদের শাসাতে লাগলেন। বললেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) মারা গেছেন এ কথা যে বলবে, আমি তাকে হত্যা করে ফেলব।’
তখন হজরত আবু বকর (রা.) বললেন, ‘হে লোক সকল, তোমাদের মধ্য থেকে যারা মুহাম্মদ (সা.)-এর ইবাদত করত, তাদের জেনে রাখা উচিত, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আর তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর ইবাদত করত, তাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী।’
এরপর এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন, ‘মুহাম্মদ তো আল্লাহর রাসুল, তার আগে অনেক রাসুল গত হয়েছেন। যদি তিনি ইন্তেকাল করেন বা নিহত হন, তোমরা কি পেছনে ফিরে যাবে? বস্তুত, যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যাবে, সে আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দিবেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৪৪) এ আয়াতটি শুনে সাহাবিরা শান্ত হলেন। খলিফা নির্বাচন, কাফন, দাফন ও জানাজার কাজে মনোযোগী হলেন।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
৩ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১১ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১ দিন আগে