মাহমুদ হাসান ফাহিম

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর
মাহমুদ হাসান ফাহিম

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
৮ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
৮ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জগুলো মানুষের মনে চাপ ও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হতাশা, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম তাই আত্মার পরিশুদ্ধির পাশাপাশি মনের সুরক্ষার জন্যও কার্যকরী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও স্মরণ: মানসিক প্রশান্তির মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। যখন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জীবনের সব ভালো-মন্দ আল্লাহর হাতে, তখন সে জাগতিক ভয় ও চাপ থেকে মুক্তি পায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ: ২৮)
তাই নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম।
২. ধৈর্য ও শোকর: ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে, কষ্টকে বোঝা হিসেবে না দেখে, ইমানের পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং এসময় ধৈর্যধারণ করা উচিত। কারণ, ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতা (শোকর) মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যদি নিয়ামত লাভ করে, তবে সে শুকরিয়া আদায় করে...। আর যদি সে কোনো সংকটে পতিত হয়, তবে ধৈর্য ধারণ করে। আর তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৯৯)
এছাড়া কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি রয়েছে।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫)
৩. নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কেবল একটি ফরজ ইবাদত নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরতি। এটি জাগতিক ব্যস্ততা থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে মনকে শান্ত ও স্থির করে।
হাদিসে এসেছে, যখনই রাসুল (সা.) কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন, তখন তিনি বিলাল (রা.)-কে বলতেন—‘হে বিলাল, নামাজের ব্যবস্থা করো। এর মাধ্যমে আমি স্বস্তি লাভ করি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৮৫)
৪. সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসঙ্গতা ক্ষতিকর। এজন্য ইসলাম আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও তোমার ওপর অধিকার রয়েছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬৮)
পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাদ্য এবং শারীরিক ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এখানে শারীরিক ব্যায়ামটি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে যায়।
৫. প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ: মানসিক অসুস্থতাও শারীরিক অসুস্থতার মতোই একটি রোগ। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তাওয়াক্কুলের (আল্লাহর ওপর ভরসা) পরিপন্থী নয়।
কারণ, নবীজি (সা.) বলেন, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৭৮)
সুতরাং, দুশ্চিন্তা বা হতাশা তীব্র হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ এবং কাম্য।
ইসলামি জীবনধারা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি শেখায়। আল্লাহর স্মরণ, বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন মুমিন এই দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
৮ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে