মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের মহামারি।
সমাজ কেন নষ্ট হয়
মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত হয়। ভুল-বোঝাবুঝি, মতের অমিল কিংবা স্বার্থের সংঘাত থেকে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এটি স্বাভাবিক। তবে এই অপকর্মের বিষ এবং দ্বন্দ্বের আগুন যেন পুরো সমাজকে আচ্ছন্ন করতে না পারে, তার জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা থাকতে হয়, যা গোষ্ঠী, শ্রেণি ও দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সমস্যাবলি চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবে।
কোনোভাবেই যদি এই ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে কিংবা নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বার্থ তাকে প্রভাবিত করে ফেলে, তখনই সমাজ নষ্ট হতে শুরু করে। আইনের শাসন ও সুবিচার না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে থাকে, যার মাশুল শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সমাজের প্রত্যেককেই দিতে হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর সেই ফিতনা থেকে সতর্ক থেকো, যার অনিষ্ট কেবল তোমাদের অপরাধকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’ (সুরা আনফাল: ২৫)
এখানে ফিতনা বলতে একটি সর্বব্যাপী সামাজিক অনাচার বোঝানো হয়েছে। এই অনাচার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ও ধ্বংস ডেকে আনে। শুধু যারা অপরাধ করে, তারাই এই দুর্ভোগ ও ধ্বংসের শিকার হয় না, বরং এর শিকার তারাও হয়, যারা এই অপরাধে জর্জরিত সমাজে বসবাস করা বরদাশত করে নেয়। (তাফহিমুল কোরআন)
সুস্থ সমাজকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে, তদ্রূপ নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজকে সুস্থ করে তুলতে ইসলামের রয়েছে সুন্দর নীতিমালা। কোরআন, হাদিস ও সিরাতের আলোকে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্র সংশোধন
সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করতে হলে সমাজের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র হতে হয়। তাই ইসলামে নৈতিকতায় অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ (সা.)কে রাসুল হিসেবে পাঠানোর অন্যতম মৌলিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘সে তাদের (পাপাচার ও চরিত্রহীনতার পঙ্কিলতা থেকে) পরিশুদ্ধ করবে এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবে।’ (সুরা জুমা: ২) রাসুল (সা.) বলেন, ‘উন্নত চরিত্রের পূর্ণতাদানের জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।’ (বায়হাকি)
বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা
সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার মধ্যে একতার বন্ধন থাকা জরুরি। সামাজিক বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারলেই কেবল একটি আদর্শ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এ ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই রাসুল (সা.) আরবের শতধাবিভক্ত এবং যুগ যুগ ধরে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত লোকজনকে নিয়ে কায়েম করেছিলেন মানবেতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট সমাজ।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি কোরো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন, সে কথা স্মরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু। তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানিতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।’ (সুরা আল ইমরান: ১০৩)
তারপর অনৈক্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়কে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যেমন—একজন আরেকজনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, খারাপ নামে ডাকা, কারও ব্যাপারে অনুমাননির্ভর মন্তব্য করা, গিবত করা এবং দোষ অন্বেষণ করা। (সুরা হুজুরাত: ১১-১২)
অনুরূপভাবে পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা, একজনের বিক্রির ওপর আরেকজনের বিক্রি, বিয়ের ক্ষেত্রে একজনের প্রস্তাবের ওপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া এবং তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকা ইত্যাদি। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)
নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক শৃঙ্খলা সুসংহত রাখার জন্য ইসলাম এমন একটা আদালতের ব্যবস্থা গঠন করতে বলে, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির পক্ষপাতিত্ব করবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর লোকজনের মধ্যে ফয়সালা করার সময় আদল ও ন্যায়নীতিসহকারে ফয়সালা করো।’ (সুরা নিসা: ৫৮) রাসুল (সা.)-এর সময়ে মাখজুমি গোত্রের এক নারী চুরি কররায় তার ওপর শাস্তি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ওই নারী উচ্চবংশীয় ছিলেন, তাই তার বংশের লোকজন রাসুল (সা.)-এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবি উসামা (রা.)-এর মাধ্যমে তার শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন। এতে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আল্লাহর বিচার বাস্তবায়ন না করতে সুপারিশ করছ?’ এরপর সবার উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের আগের লোকজনের ধ্বংস হওয়ার কারণ ছিল, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত কেউ চুরি করলে তাকে ছেড়ে দিত আর সাধারণ কেউ করলে তার শাস্তি কার্যকর করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (বুখারি)
পরকালের বিশ্বাস ও জবাবদিহি
ইসলামের সবার মনে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত করে দেয়, পরকালে দুনিয়ার ভালো-খারাপ কর্মের হিসাবনিকাশ হবে। এরপর ভালো কর্মের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত দান করা হবে এবং মন্দ কর্মের শাস্তিস্বরূপ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এই বিশ্বাস মানুষের মনে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ ও মন্দ কাজের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করে, যা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে।
লেখক: শিক্ষক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে হয়। তাই মানুষের ভালো থাকার জন্য সমাজ ভালো থাকা শর্ত। সমাজ নষ্ট হয়ে গেলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নষ্ট সমাজে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। চারদিকে বিরাজ করে ভীতি ও আতঙ্ক। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও বিশ্বাস কমে যায়। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজ
২৩ আগস্ট ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে