Ajker Patrika

আপনার জিজ্ঞাসা

খুতবা না পেলে কি জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে

ইসলাম ডেস্ক 
খুতবা না পেলে কি জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে

প্রশ্ন: জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরও কর্মব্যস্ততার কারণে মাঝেমধ্যে মসজিদে যেতে দেরি হয়ে যায়। কখনো-সখনো মসজিদে গিয়ে জুমার খুতবা শুনতে পারি না। গিয়ে দেখি ইমাম সাহেব খুতবা শেষ করে ইতিমধ্যে নামাজ শুরু করেছেন। আমার এক কলিগ বলল, ‘খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় না।’ ফলে আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। জানতে চাই, আমি যদি খুতবা শুনতে না পারি, শুধু ইমামের পেছনে নামাজে শরিক হই, তাহলে কি আমার জুমার নামাজ হবে? আশা করি ইসলামের আলোকে সমাধান জানিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত করবেন।

মো. সোহেল আহমেদ, লালমনিরহাট

প্রশ্ন: একজন মুমিনের জন্য জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন জুমার নামাজের ওপরে কোনো কাজ প্রাধান্য পেতে পারে না। খুতবা শোনার প্রস্তুতি নিয়ে জুমার দিন আগে আগে মসজিদে যাওয়ার কথাই বলে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯)

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন, তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ বুখারি: ৮৮২)

হাদিসে আরও এসেছে, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না, হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)

ওই হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবার সময় বেখেয়াল-অমনোযোগিতা বা অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে গুরুতর পাপ। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে খুতবা চলাকালে যদি কেউ তার পাশে বসা ব্যক্তিকে বলে ‘চুপ করো’, তাও অনর্থক কথা হিসেবে গণ্য হবে। (সহিহ বুখারি: ৯৩৪)

জুমার নামাজের জন্য খুতবা দেওয়া আবশ্যক। মুসল্লিদের জন্য তা শ্রবণ করা সুন্নত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ খুতবার আগে মসজিদে পৌঁছাতে না পারেন, কিন্তু জামাতে অংশ নিতে পারেন, তাহলে তাঁর জুমার নামাজ শুদ্ধ হবে। তবে খুতবা না শুনে শুধু নামাজ আদায় করেই দায়িত্ব শেষ করা কোনো সচেতন মুসলিমের কাজ নয়।

উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প: ইউএনও-উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শুনানি কাল

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন’ দুর্নীতির প্রমাণ আছে: সাবেক সচিব

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান— ৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত