ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছেন। সন্তানের পরিবর্তে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর সেই কাজ আল্লাহর কাছে এতই পছন্দনীয় হয় যে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের সামর্থ্যবানদের জন্য তা আবশ্যক করে দিয়েছেন।
ইবরাহিম (আ.) ও মহানবী (সা.)-এর সম্পর্ক
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও ইসলামের সঙ্গে ইবরাহিম (আ.)-এর রয়েছে এক দারুণ সখ্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহিমের ঘনিষ্ঠতম, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী (মুহাম্মদ) ও যারা ইমান এনেছে; আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান: ৬৮)
ইবরাহিম (আ.)-ই ইসলামের অনুসারীদের মুসলমান নাম রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি। এ তো তোমাদের পিতা ইবরাহিমের জাতি। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।’ (সুরা হজ: ৭৮)
ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার বরকতেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটেছে। তিনি দোয়া করে বলেছিলেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসুল পাঠান, যে আপনার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করবে; তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা বাকারা: ১২৯)
ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন। মূলত ১০ জিলহজ এক বরকতময় ও ঐতিহাসিক দিন। সেদিন ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া সন্তান ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানি করতে উদ্যত হন এবং তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইল (আ.)-কে নিরাপদ রেখে তাঁর স্থলে একটি পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেন। এরশাদ হয়েছে, (ইবরাহিম বললেন) ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।’ এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি, তোমাকে জবাই করছি; এখন তোমার অভিমত কী বলো?’ সে বলল, ‘হে আমার বাবা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।’ যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম তাকে কাত করে শায়িত করল, তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে।’ এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এ ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৭)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর এই কাজকে তাঁর প্রেমের প্রতীক হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি একে পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।’ (সুরা সাফফাত: ১০৮-১০৯)
ইসলামে প্রথম কোরবানি
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের দ্বিতীয় বছর ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানির বিধান অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা কাউসার: ২) হাসান বসরি (রহ.) বলেন, আয়াতে ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি বোঝানো হয়েছে। (আহকামুল কোরআন: ৩ / ৪৭৫)
বদর যুদ্ধের পর গাজওয়ায়ে সাবিক (ছাতুর যুদ্ধ) নামে রক্তপাতহীন একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসের ৯ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিন ১০ জিলহজ দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দুটি ভেড়া কোরবানি করেন এবং মুসলমানদের কোরবানি করার নির্দেশনা দেন। এটিই ছিল ইসলামের প্রথম কোরবানি। (সিরাতুল মুসতাফা: ২ / ১৭১)
কোরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত
জায়দ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৩০২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি: ১৪৯৩)
মুসলিম উম্মাহর জন্য নির্ধারিত ও প্রচলিত কোরবানি, যা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু জবাই করার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়, তা মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে। যদিও শাব্দিক অর্থের কোরবানি আদম (আ.) থেকেই প্রচলিত ছিল।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত
১৬ জুন ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত
১৬ জুন ২০২৩
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত
১৬ জুন ২০২৩
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানি হলো ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে পশু জবাই করা।’ কোরবানির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। খাওয়া-দাওয়া এখানে প্রাসঙ্গিক ব্যাপার। ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় পুত্রকে জবাই করতে প্রস্তুত
১৬ জুন ২০২৩
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে