আবরার নাঈম
জান্নাত হলো আল্লাহর নিকট সেই চিরন্তন পুরস্কার, যা মোত্তাকি ও সৎকর্মশীলদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি এমন এক স্থান, যেখানে নেই কোনো দুঃখ, কষ্ট বা ক্লান্তি—আছে চিরশান্তি, সুখ ও পরিপূর্ণ আনন্দ। জান্নাতে থাকবে চমৎকার বাগান, প্রবহমান নহর, উৎকৃষ্ট খাবার ও পরিধেয় বস্ত্র, এবং সর্বোপরি আল্লাহর দর্শনের অনুপম সৌভাগ্য। কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)–এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
এক. হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আশপাশে একটি ঘরের, জান্নাতের মধ্যভাগে একটি ঘরের এবং জান্নাতের উঁচু স্থানে একটি ঘরের জিম্মাদার আমি হব—যে সঠিক হওয়ার পরও অনর্থক ঝগড়া পরিহার করবে।
ঝগড়াঝাঁটি মোমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই ছোটখাটো বিষয়ে অনর্থক ঝগড়া এড়িয়ে গেলে হাদিসে বর্ণিত নবী (সা.)-এর সেই ঘোষণার ভাগীদার হওয়া সম্ভব।
দুই. ঠাট্টা করে হলেও যে মিথ্যা পরিত্যাগ করবে। মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনাহ। মিথ্যা হলো সব পাপের মূল। মানুষ এখন খুব সহজেই মিথ্যা বলে—হাসি কৌতুকের ছলে, কারও মুখে হাসি ফোটাতে, শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণসহ নানান কারণে। অথচ মিথ্যা কথা বলা মুনাফেকির লক্ষণ।
তিন. এবং যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রকে সুন্দর করবে। সুন্দর ও দামি পোশাকে দেহের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য হলো মানুষের চরিত্র। যা তার কথা কাজে ফুটে ওঠে।
আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, মিজানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৯৯)
জান্নাত হলো আল্লাহর নিকট সেই চিরন্তন পুরস্কার, যা মোত্তাকি ও সৎকর্মশীলদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি এমন এক স্থান, যেখানে নেই কোনো দুঃখ, কষ্ট বা ক্লান্তি—আছে চিরশান্তি, সুখ ও পরিপূর্ণ আনন্দ। জান্নাতে থাকবে চমৎকার বাগান, প্রবহমান নহর, উৎকৃষ্ট খাবার ও পরিধেয় বস্ত্র, এবং সর্বোপরি আল্লাহর দর্শনের অনুপম সৌভাগ্য। কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)–এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
এক. হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের আশপাশে একটি ঘরের, জান্নাতের মধ্যভাগে একটি ঘরের এবং জান্নাতের উঁচু স্থানে একটি ঘরের জিম্মাদার আমি হব—যে সঠিক হওয়ার পরও অনর্থক ঝগড়া পরিহার করবে।
ঝগড়াঝাঁটি মোমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই ছোটখাটো বিষয়ে অনর্থক ঝগড়া এড়িয়ে গেলে হাদিসে বর্ণিত নবী (সা.)-এর সেই ঘোষণার ভাগীদার হওয়া সম্ভব।
দুই. ঠাট্টা করে হলেও যে মিথ্যা পরিত্যাগ করবে। মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনাহ। মিথ্যা হলো সব পাপের মূল। মানুষ এখন খুব সহজেই মিথ্যা বলে—হাসি কৌতুকের ছলে, কারও মুখে হাসি ফোটাতে, শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণসহ নানান কারণে। অথচ মিথ্যা কথা বলা মুনাফেকির লক্ষণ।
তিন. এবং যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রকে সুন্দর করবে। সুন্দর ও দামি পোশাকে দেহের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য হলো মানুষের চরিত্র। যা তার কথা কাজে ফুটে ওঠে।
আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, মিজানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৯৯)
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগে