মুফতি ইশমাম আহমেদ
আরবি কর্জ শব্দের অর্থ ঋণ। শুধু সহযোগিতার জন্য অন্যকে কোনো অর্থ-সম্পদ দেওয়া, যেন গ্রহীতা এর মাধ্যমে উপকৃত হয়, পরে দাতাকে সেই সম্পদ কিংবা তার অনুরূপ ফেরত দেওয়াকেই ইসলামে ঋণ বলা হয়। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মপন্থা থেকে প্রমাণিত।
রাসুল (সা.) নিজেই ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। এবং উম্মতকে ঋণমুক্তির দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি রাসুল (সা.) অমুসলিমের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণ করেছেন। সুতরাং ইসলাম মুসলমানদের বিপদে-আপদে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি সঠিক সময়ে তা পরিশোধ করারও কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঋণকে কর্জে হাসানা তথা উত্তম ঋণ নামকরণ করেছেন। কারণ ঋণের ফজিলত অনেক। এরশাদ হয়েছে, ‘কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা (উত্তম ঋণ) প্রদান করবে? ফলে আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ, বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আর আল্লাহ তাআলাই রিজিক সংকুচিত করেন ও বৃদ্ধি করেন। তোমাদের তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
অন্য আয়াতেও কর্জে হাসানার কথা এসেছে। যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘এমন কেউ কি আছে, যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? কর্জে হাসানা (উত্তম ঋণ), যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন। আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান।’ (সুরা হাদিদ: ১১)
হাদিসেও এসেছে কর্জে হাসানার বিশেষ ফজিলতের কথা। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করে তার দরজায় একটি লেখা দেখতে পেল যে সদকার নেকি ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয় এবং ঋণদানের নেকি ১৮ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।’ (সিলসিলা সহিহা: ৩৪০৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি কর্জ শব্দের অর্থ ঋণ। শুধু সহযোগিতার জন্য অন্যকে কোনো অর্থ-সম্পদ দেওয়া, যেন গ্রহীতা এর মাধ্যমে উপকৃত হয়, পরে দাতাকে সেই সম্পদ কিংবা তার অনুরূপ ফেরত দেওয়াকেই ইসলামে ঋণ বলা হয়। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মপন্থা থেকে প্রমাণিত।
রাসুল (সা.) নিজেই ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। ঋণগ্রস্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। এবং উম্মতকে ঋণমুক্তির দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি রাসুল (সা.) অমুসলিমের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণ করেছেন। সুতরাং ইসলাম মুসলমানদের বিপদে-আপদে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি সঠিক সময়ে তা পরিশোধ করারও কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঋণকে কর্জে হাসানা তথা উত্তম ঋণ নামকরণ করেছেন। কারণ ঋণের ফজিলত অনেক। এরশাদ হয়েছে, ‘কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা (উত্তম ঋণ) প্রদান করবে? ফলে আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ, বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আর আল্লাহ তাআলাই রিজিক সংকুচিত করেন ও বৃদ্ধি করেন। তোমাদের তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
অন্য আয়াতেও কর্জে হাসানার কথা এসেছে। যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘এমন কেউ কি আছে, যে আল্লাহকে ঋণ দিতে পারে? কর্জে হাসানা (উত্তম ঋণ), যাতে আল্লাহ তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেন। আর সেদিন তার জন্য রয়েছে সর্বোত্তম প্রতিদান।’ (সুরা হাদিদ: ১১)
হাদিসেও এসেছে কর্জে হাসানার বিশেষ ফজিলতের কথা। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করে তার দরজায় একটি লেখা দেখতে পেল যে সদকার নেকি ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয় এবং ঋণদানের নেকি ১৮ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।’ (সিলসিলা সহিহা: ৩৪০৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে