মুফতি আইয়ুব নাদীম
মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আর জিকির বা আল্লাহর স্মরণ মুমিনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামে জিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। জিকিরের নানা ফজিলত ও উপকারিতার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। জিকিরের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ হয়, হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ হয়, আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন হয়। কিন্তু কেউ যদি যাপিত জীবনে জিকিরে অলসতা করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলে, তাহলে কোরআন ও হাদিসে কঠোর সতর্কতা ও তার কিছু পরিণতি বা শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে।
এক. শয়তান চড়াও হয়: যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকিরে অলসতা করে, শয়তান তার ওপর চড়াও হয়ে যায় এবং তাকে পুণ্যের কাজে আসতে না দিয়ে সর্বদা পাপকর্মে মগ্ন রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর জিকির থেকে অন্ধ হয়ে যাবে, তার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান, যে তার সঙ্গী হয়ে যায়।’ (সুরা জুখরুফ: ৩৬)
দুই. জীবন সংকটময় হয়: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে আমার জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে বড় সংকটময়। আর কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ করে উঠাব।’ (সুরা তোহা: ১২৪)
তিন. ক্রমবর্ধমান শাস্তিতে পড়ে যায়: পবিত্র কোরআন এসেছে, ‘আর কেউ তার প্রতিপালকের জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহ তাকে ক্রমবর্ধমান শাস্তিতে গেঁথে দেবেন।’ (সুরা জিন: ১৭)
চার. বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং ধ্বংস সেই কঠোরপ্রাণদের জন্য, যারা আল্লাহর জিকির থেকে বিমুখ। তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।’ (সুরা জুমার: ২২)
পাঁচ. দিল মরে যায়: আবু মুসা আল আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রবের (আল্লাহর) জিকির করে, আর যে করে না, তাদের উপমা হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো।’ (সহিহ বুখারি: ৬৪০৭)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আর জিকির বা আল্লাহর স্মরণ মুমিনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামে জিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। জিকিরের নানা ফজিলত ও উপকারিতার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। জিকিরের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় পরিশুদ্ধ হয়, হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ হয়, আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন হয়। কিন্তু কেউ যদি যাপিত জীবনে জিকিরে অলসতা করে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলে, তাহলে কোরআন ও হাদিসে কঠোর সতর্কতা ও তার কিছু পরিণতি বা শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে।
এক. শয়তান চড়াও হয়: যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকিরে অলসতা করে, শয়তান তার ওপর চড়াও হয়ে যায় এবং তাকে পুণ্যের কাজে আসতে না দিয়ে সর্বদা পাপকর্মে মগ্ন রাখে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর জিকির থেকে অন্ধ হয়ে যাবে, তার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান, যে তার সঙ্গী হয়ে যায়।’ (সুরা জুখরুফ: ৩৬)
দুই. জীবন সংকটময় হয়: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে আমার জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে বড় সংকটময়। আর কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ করে উঠাব।’ (সুরা তোহা: ১২৪)
তিন. ক্রমবর্ধমান শাস্তিতে পড়ে যায়: পবিত্র কোরআন এসেছে, ‘আর কেউ তার প্রতিপালকের জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহ তাকে ক্রমবর্ধমান শাস্তিতে গেঁথে দেবেন।’ (সুরা জিন: ১৭)
চার. বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং ধ্বংস সেই কঠোরপ্রাণদের জন্য, যারা আল্লাহর জিকির থেকে বিমুখ। তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।’ (সুরা জুমার: ২২)
পাঁচ. দিল মরে যায়: আবু মুসা আল আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রবের (আল্লাহর) জিকির করে, আর যে করে না, তাদের উপমা হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো।’ (সহিহ বুখারি: ৬৪০৭)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে ভয়ংকর ও জঘন্য পাপ হলো শিরক। অথচ মানুষ কী সহজভাবে শিরকে লিপ্ত হয়, যেন তা কোনো পাপই নয়। শিরক ছাড়া আমৃত্যু গুনাহে নিমজ্জিত থাকা পাপিষ্ঠকেও আল্লাহ চাইলেই মাফ করতে পারেন সামান্য শাস্তি দিয়ে কিংবা শাস্তি ছাড়াই। শিরকের কোনো ক্ষমা নেই—মৃত্যুর আগে তওবা না করলে।
৭ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেবর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
১ দিন আগেব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আদর্শের মানদণ্ডে পৌঁছাতে হলে এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠন করতে হলে, আমাদের দুটি গুণের প্রয়োজন: এক. সত্যবাদিতা, দুই. ন্যায়পরায়ণতা। এ দুটি মানুষের এমন মৌলিক গুণ, যা মানুষকে সততার সঙ্গে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করে।
২ দিন আগে