ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই করেন।
কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা; আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)। এই আয়াত প্রমাণ করে, ধনসম্পদ যেমন পরীক্ষা, তেমনি তার অভাবও পরীক্ষা। অর্থাৎ সম্পদ, ক্ষমতা ও মর্যাদা শুধু ভোগের বস্তু নয়; এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত এবং পরীক্ষা।
সম্পদ আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের সম্পদ ও সন্তানসন্ততি কেবল পরীক্ষা, আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা পুরস্কার।’ (সুরা তাগাবুন: ১৫)।
ধন-সম্পদ মানুষের জীবনে অপরিহার্য হলেও এর ব্যবহার নির্ধারণ করে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো কি না। হালাল পথে উপার্জন, জাকাত আদায়, দান-সদকা এবং গরিবদের অধিকার আদায়ে ব্যয় করলে এটি জান্নাতের মূলধন হয়। বিপরীতে হারাম উপার্জন, সুদ, ঘুষ, অন্যায় ভোগ-বিলাস ধ্বংস ডেকে আনে।
ক্ষমতা আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ বলেন, ‘বলুন—হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমতার মালিক। যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতাচ্যুত করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)।
অন্যত্র বলেছেন, ‘আমি তোমাদের পৃথিবীতে স্থাপন করেছি এবং জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা আরাফ: ১০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেকেই একজন রাখাল এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৩৮, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
আরেক হাদিসে এসেছে—‘কোনো শাসক যদি প্রজাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৫১, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
ক্ষমতা শুধু সম্মানের নয়, বরং ভয়াবহ জবাবদিহির দায়িত্ব। যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে, দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করে, তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হবে। আর যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।
সম্পদ ও ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত ও পরীক্ষা। কেউ যদি এগুলো হালাল উপায়ে ব্যবহার করে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করে, তাহলে তা জান্নাতের পথ প্রশস্ত করবে। আর যদি অহংকার, স্বার্থপরতা ও অন্যায়ের পথে ব্যবহার করে, তাহলে তা ধ্বংস ডেকে আনবে।
ধন-সম্পদ হোক বা ক্ষমতা—এগুলো চিরস্থায়ী নয়। প্রকৃত স্থায়ী পুরস্কার কেবল আল্লাহর কাছে। তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্য অবলম্বন করা এবং মানুষের হক আদায় করা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই করেন।
কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা; আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)। এই আয়াত প্রমাণ করে, ধনসম্পদ যেমন পরীক্ষা, তেমনি তার অভাবও পরীক্ষা। অর্থাৎ সম্পদ, ক্ষমতা ও মর্যাদা শুধু ভোগের বস্তু নয়; এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত এবং পরীক্ষা।
সম্পদ আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের সম্পদ ও সন্তানসন্ততি কেবল পরীক্ষা, আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা পুরস্কার।’ (সুরা তাগাবুন: ১৫)।
ধন-সম্পদ মানুষের জীবনে অপরিহার্য হলেও এর ব্যবহার নির্ধারণ করে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো কি না। হালাল পথে উপার্জন, জাকাত আদায়, দান-সদকা এবং গরিবদের অধিকার আদায়ে ব্যয় করলে এটি জান্নাতের মূলধন হয়। বিপরীতে হারাম উপার্জন, সুদ, ঘুষ, অন্যায় ভোগ-বিলাস ধ্বংস ডেকে আনে।
ক্ষমতা আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ বলেন, ‘বলুন—হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমতার মালিক। যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতাচ্যুত করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)।
অন্যত্র বলেছেন, ‘আমি তোমাদের পৃথিবীতে স্থাপন করেছি এবং জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা আরাফ: ১০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেকেই একজন রাখাল এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৩৮, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
আরেক হাদিসে এসেছে—‘কোনো শাসক যদি প্রজাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৫১, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
ক্ষমতা শুধু সম্মানের নয়, বরং ভয়াবহ জবাবদিহির দায়িত্ব। যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে, দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করে, তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হবে। আর যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।
সম্পদ ও ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত ও পরীক্ষা। কেউ যদি এগুলো হালাল উপায়ে ব্যবহার করে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করে, তাহলে তা জান্নাতের পথ প্রশস্ত করবে। আর যদি অহংকার, স্বার্থপরতা ও অন্যায়ের পথে ব্যবহার করে, তাহলে তা ধ্বংস ডেকে আনবে।
ধন-সম্পদ হোক বা ক্ষমতা—এগুলো চিরস্থায়ী নয়। প্রকৃত স্থায়ী পুরস্কার কেবল আল্লাহর কাছে। তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্য অবলম্বন করা এবং মানুষের হক আদায় করা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
পবিত্র কোরআন—যে গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে মুমিন হৃদয়। দিশেহারা মানুষ পায় সঠিক পথের দিশা। এ গ্রন্থে রয়েছে উপদেশ গ্রহণে আগ্রহীদের জন্য অনন্য উপদেশ। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় কোরআন থেকে, তাদের জন্য এতে বর্ণিত হয়েছে সতর্কবার্তা।
২ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না। মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
১৬ ঘণ্টা আগেমানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
১ দিন আগে