Ajker Patrika

আশুরার তাৎপর্য ফজিলত ও আমল

সানা উল্লাহ মুহাম্মাদ কাউসার
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৪, ১২: ২৫
আশুরার তাৎপর্য ফজিলত ও আমল

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। আরবিতে বলা হয় মুহাররমুল হারাম। হাদিসে একে শাহরুল্লাহ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ মাসের অনন্য কিছু ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিনের ফজিলত। এখানে আশুরার তাৎপর্য, ফজিলত ও আমল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো। 

আশুরা যে কারণে মর্যাদাপূর্ণ 
আশুরা বলতে মহররম মাসের দশম দিনকে বোঝানো হয়। দিনটি বড়ই ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহররম আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকের তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি) মুহাদ্দিসগণ একে আশুরার দিন বলেই মতামত দিয়েছেন। (লাতাইফুল মাআরিফ)

রাসুল (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন, সেখানকার আহলে কিতাব ইহুদিদের দিনটি রোজা রেখে উদ্‌যাপন করতে দেখলেন। নবীজি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এই দিনে তোমরা রোজা রাখছ কেন?’ জবাবে তারা বলল, ‘এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে (ফেরাউনের কবল থেকে) মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ (সমুদ্রে) নিমজ্জিত করেছিলেন। এরপর হজরত মুসা (আ.) এই দিনে শুকরিয়া আদায় হিসেবে রোজা রাখতেন। তাই আমরাও রোজা রাখি।’ এ কথা শুনে নবীজি বললেন, ‘হজরত মুসা (আ.)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার।’ এরপর নবীজি নিজেও রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখতে বললেন।’ (মুসলিম)

ইহুদিদের কাছে দিনটি এতটাই মর্যাদাপূর্ণ ছিল যে তারা তা ঈদের মতো উদ্‌যাপন করত। হাদিসে এসেছে, আশুরা এমন একটি দিন, যে দিনকে ইহুদিরা সম্মান করত এবং ঈদ হিসেবে গ্রহণ করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা এই দিনে রোজা রাখো।’ (মুসলিম)

হাদিসে আরও এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, জাহিলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)ও হিজরতের আগে আশুরার রোজা রাখতেন। মদিনায় হিজরতের পরও তিনি আশুরার রোজা রেখেছেন এবং এই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। এরপর রমজানের রোজা ফরজ করা হলে আশুরার রোজা নফলে পরিণত হয়। সুতরাং যার ইচ্ছা সে তা রাখতে পারে, আবার যার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে পারে। (মুয়াত্তা মালেক) 

আশুরার রোজার ফজিলত
আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি, তিনি আগের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম)

আরেক হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)কে আশুরার দিনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোনো দিন রোজা রাখতে দেখিনি এবং রমজান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এত গুরুত্ব দিয়ে রোজা রাখতে দেখিনি।’ (বুখারি) 

আশুরার রোজা কয়টি 
আশুরার দিনের রোজার সঙ্গে আগে বা পরে এক দিন রোজা রাখাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ইহুদিদের সঙ্গে না মেলানোর জন্যই রাসুল (সা.) আশুরার আগের দিন বা পরের দিনও রোজা রাখার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলছিলেন, তখন সাহাবিগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই দিনকে তো ইহুদি-নাসারারা সম্মান করে।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তাহলে আগামী বছর আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখব ইনশা আল্লাহ।’ কিন্তু সেই আগামী বছর আসার আগেই নবীজির ইন্তেকাল হয়ে যায়। (মুসলিম)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার কথা বলতেন। ইমাম শাফেয়ি, আহমদ ও ইসহাক এই মত গ্রহণ করেন। (তিরমিজি) এ ছাড়া অনেকে ১০ তারিখসহ আগে এবং পরের এক দিন মিলিয়ে মোট দুটি বা আশুরার দিনসহ মোট তিনটি রোজা রাখা উত্তম মনে করেন। অবশ্যই কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে, তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরুহ তথা অনুত্তম হবে। এ জন্য আলিমগণ বলেন, মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুই দিন রোজা রাখাই উত্তম। (ফাতহুল বারি) 

আশুরাকে ঘিরে ভিত্তিহীন কথা
আশুরাকে ঘিরে অনেক ভিত্তিহীন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় বইপুস্তকেও এসবের বর্ণনা দেখা যায়। যেমন—এই দিনে আল্লাহ আসমান ও জমিন, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, কলম, লওহে মাহফুজ আরশ, কুরসি, জান্নাত ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। আদম (আ.)কে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন। ইদরিস (আ.)কে আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। নুহ (আ.)কে নৌকা থেকে বের করেছেন। দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল করেছেন। সোলায়মান (আ.)কে রাজত্ব প্রদান করেছেন। আইউব (আ.)-এর মসিবত দূর করেছেন। তাওরাত নাজিল করেছেন। ইবরাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেছেন। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি দিয়েছেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইউসুফ (আ.) জেলখানা থেকে বের হয়েছেন। ইয়াকুব (আ.) দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। কিয়ামত সংঘটিত হবে ইত্যাদি। এসবের কোনোটিই বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে যথাযথভাবে প্রমাণিত নয়। বিশুদ্ধ বর্ণনায় কেবল মুসা (আ.)কে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করার কথাটি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীজির দৌহিত্র হজরত হোসাইন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আশুরার দিনটির ফজিলতপূর্ণ হওয়ার সম্পর্ক নেই। অবশ্য এ ঘটনার কারণে দিনটি মুসলমানদের কাছে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। হজরত হোসাইনের আত্মত্যাগ ও আপসহীন মানস বিশ্বাসীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর। 

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।

২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবীণ সুফি পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি আর নেই

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে যে আমল

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।

সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)

মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।

দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)

অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রসৈকতে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে গুলি, নিহত অন্তত ১০

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত