তানবিরুল হক আবিদ
মানুষের শরীর বিভিন্ন কারণে অপবিত্র হয়। কিছু অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া যায় অজুর মাধ্যমে, আর কিছু থেকে গোসলের মাধ্যমে। যেমন, স্ত্রী সহবাস ও স্বপ্নদোষ, ঋতুস্রাব, সন্তান প্রসব-পরবর্তী রক্তস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা আবশ্যক বা ফরজ।
তাই এসব কারণে গোসল ফরজ হলে কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়া উচিত।
আল্লাহ তাআলা ও তার ফেরেশতাগণ পবিত্র-পরিচ্ছন্ন মানুষকে ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সেখানে এমন লোক আছে—যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
কারও ওপর গোসল ফরজ হলে তার জন্য পবিত্র হওয়া আগ পর্যন্ত কিছু কাজ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এগুলো হলো—
১. নামাজ আদায়
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাজ আদায় করো না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমরা বুঝতে পার যে, তোমরা নামাজে কী বলছ। তা ছাড়া বড় নাপাকি হয়ে গেলে গোসল না করে নামাজ আদায় করো না।’ (সুরা নিসা-৪৩)
২. কোরআন তিলাওয়াত
হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় আমাদের কোরআন পড়িয়েছেন, তবে যখন বড় নাপাকি অবস্থায় থাকতেন সে সময় ছাড়া।’ (জামে তিরমিজি: ১৪৬, মুসনাদে আহমদ: ১০১৪)
৩. কোরআন স্পর্শ:
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা সম্পূর্ণ পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৯)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘পবিত্র না হয়ে কোরআনুল কারিম স্পর্শ করবে না।’ (দারে কুতনি: ৪৩১)
৪. মসজিদে প্রবেশ বা অবস্থান
পবিত্র না হয়ে মসজিদে প্রবেশ বা অবস্থান নিষেধ। নবী করিম (সা.) অপবিত্র ব্যক্তি এবং হায়েজ অবস্থায় থাকা নারীদের মসজিদে প্রবেশ এবং অবস্থান না করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ্ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ)
৫. কাবা ঘর তাওয়াফ
হজ বা ওমরায় কাবা শরিফের তাওয়াফ করার আগে গোসল ফরজ হয়ে থাকলে, তাওয়াফ আদায় করা বৈধ নয়। কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘর কাবায় তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের সমান।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৯২০)
মানুষের শরীর বিভিন্ন কারণে অপবিত্র হয়। কিছু অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া যায় অজুর মাধ্যমে, আর কিছু থেকে গোসলের মাধ্যমে। যেমন, স্ত্রী সহবাস ও স্বপ্নদোষ, ঋতুস্রাব, সন্তান প্রসব-পরবর্তী রক্তস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করা আবশ্যক বা ফরজ।
তাই এসব কারণে গোসল ফরজ হলে কালক্ষেপণ না করে যত দ্রুত সম্ভব গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়া উচিত।
আল্লাহ তাআলা ও তার ফেরেশতাগণ পবিত্র-পরিচ্ছন্ন মানুষকে ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সেখানে এমন লোক আছে—যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
কারও ওপর গোসল ফরজ হলে তার জন্য পবিত্র হওয়া আগ পর্যন্ত কিছু কাজ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এগুলো হলো—
১. নামাজ আদায়
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাজ আদায় করো না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমরা বুঝতে পার যে, তোমরা নামাজে কী বলছ। তা ছাড়া বড় নাপাকি হয়ে গেলে গোসল না করে নামাজ আদায় করো না।’ (সুরা নিসা-৪৩)
২. কোরআন তিলাওয়াত
হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সব সময় আমাদের কোরআন পড়িয়েছেন, তবে যখন বড় নাপাকি অবস্থায় থাকতেন সে সময় ছাড়া।’ (জামে তিরমিজি: ১৪৬, মুসনাদে আহমদ: ১০১৪)
৩. কোরআন স্পর্শ:
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা সম্পূর্ণ পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৯)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘পবিত্র না হয়ে কোরআনুল কারিম স্পর্শ করবে না।’ (দারে কুতনি: ৪৩১)
৪. মসজিদে প্রবেশ বা অবস্থান
পবিত্র না হয়ে মসজিদে প্রবেশ বা অবস্থান নিষেধ। নবী করিম (সা.) অপবিত্র ব্যক্তি এবং হায়েজ অবস্থায় থাকা নারীদের মসজিদে প্রবেশ এবং অবস্থান না করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ্ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ)
৫. কাবা ঘর তাওয়াফ
হজ বা ওমরায় কাবা শরিফের তাওয়াফ করার আগে গোসল ফরজ হয়ে থাকলে, তাওয়াফ আদায় করা বৈধ নয়। কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘর কাবায় তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের সমান।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৯২০)
মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর উত্তম আদর্শ বিদ্যমান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে সাজানো উচিত। খাবার গ্রহণ জীবনের একটি অপরিহার্য কাজ। যদি এ খাবার গ্রহণও মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী করা হয়, তাহলে ক্ষুধার নিবারণ হওয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে...
১ দিন আগেজুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২ দিন আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
২ দিন আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২ দিন আগে