তাসলিমা জাহান
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা যার ভাইকে তার দায়িত্বে রেখেছেন; সে যা খাবে, তাকেও তা খাওয়াবে; সে যা পরবে, তাকেও তা পরাবে; তাকে এমন কষ্টের কাজ দেবে না, যা তার সাধ্যের বাইরে। কোনো কাজ কঠিন হলে সে কাজে তাকে সাহায্য করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৬১৭)
শ্রমিকের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার নবীদের গুণ। মুসা (আ.)-কে কাজে নিয়োগ দেওয়ার সময় শোয়াইব (আ.) বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে কষ্টে ফেলতে চাই না। ইনশাআল্লাহ, তুমি আমাকে কল্যাণকামী হিসেবে পাবে।’ (সুরা কাসাস: ২৭)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে তার কাজের লোকের কাজ কমিয়ে সহজ করে দেবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার হিসাব সহজ করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
কাজের ক্ষেত্রে কখনো কখনো শ্রমিকেরা ভুল করতে পারেন। এ সময় তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নবীজি (সা.) বলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে ৭০ বারও অপরাধ করে, তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’ (জামে তিরমিজি)
শ্রমিকের প্রতি কোনোভাবেই যেন জুলুম না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, পরকালে আল্লাহ তাআলা শ্রমিকদের পক্ষ দাঁড়াবেন এবং অত্যাচারী মালিকদের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন—কেয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে থাকব। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে কোনো শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২২৭)
পরকালে যদি আল্লাহ তাআলা কারও বিপক্ষে থাকেন, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার কি কোনো উপায় থাকবে? তাই শ্রমিকের অধিকারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। সুখ-দুঃখে তাঁদের পাশে থাকা উচিত; সহযোগী ও সহমর্মী হওয়া উচিত।
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা যার ভাইকে তার দায়িত্বে রেখেছেন; সে যা খাবে, তাকেও তা খাওয়াবে; সে যা পরবে, তাকেও তা পরাবে; তাকে এমন কষ্টের কাজ দেবে না, যা তার সাধ্যের বাইরে। কোনো কাজ কঠিন হলে সে কাজে তাকে সাহায্য করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৬১৭)
শ্রমিকের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার নবীদের গুণ। মুসা (আ.)-কে কাজে নিয়োগ দেওয়ার সময় শোয়াইব (আ.) বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে কষ্টে ফেলতে চাই না। ইনশাআল্লাহ, তুমি আমাকে কল্যাণকামী হিসেবে পাবে।’ (সুরা কাসাস: ২৭)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে তার কাজের লোকের কাজ কমিয়ে সহজ করে দেবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার হিসাব সহজ করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
কাজের ক্ষেত্রে কখনো কখনো শ্রমিকেরা ভুল করতে পারেন। এ সময় তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নবীজি (সা.) বলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে ৭০ বারও অপরাধ করে, তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’ (জামে তিরমিজি)
শ্রমিকের প্রতি কোনোভাবেই যেন জুলুম না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, পরকালে আল্লাহ তাআলা শ্রমিকদের পক্ষ দাঁড়াবেন এবং অত্যাচারী মালিকদের বিপক্ষে দাঁড়াবেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন—কেয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে থাকব। তাদের একজন হলো সেই ব্যক্তি, যে কোনো শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২২৭)
পরকালে যদি আল্লাহ তাআলা কারও বিপক্ষে থাকেন, তাহলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার কি কোনো উপায় থাকবে? তাই শ্রমিকের অধিকারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। সুখ-দুঃখে তাঁদের পাশে থাকা উচিত; সহযোগী ও সহমর্মী হওয়া উচিত।
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১৫ ঘণ্টা আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১৮ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৮ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
১৮ ঘণ্টা আগে