ইসলাম ডেস্ক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৫ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৫ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৫ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২০ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৫ ঘণ্টা আগে