মুফতি আইয়ুব নাদীম
বর্তমান সমাজে সব ক্ষেত্রে জুলুমের ছড়াছড়ি। অথচ আল্লাহ তাআলা জুলুম নিজের জন্যও হারাম করেছেন এবং বান্দাদের জন্যও হারাম করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, আমি জুলুম আমার নিজের জন্য হারাম করেছি এবং তা তোমাদের মাঝেও হারাম করেছি।’ (মুসলিম: ২৫৭৭)
জুলুম যেমন অন্যায় ও গুনাহের কাজ, তেমনি জুলুমে সহযোগিতা করাও গুনাহের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিবাদে অন্যায়মূলক কারও সাহায্য করল, সে আল্লাহর গজবে পতিত হলো।’ (আবু দাউদ: ৩৫৯৮) অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জালিমের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে চলে, অথচ সে জানে যে ওই ব্যক্তি জালিম, তখন সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।’ (মিশকাত: ৪৯০৮)
তাই কারও ওপর জুলুম যেমন করা যাবে না, জালিমকে সহযোগিতাও করা যাবে না। বরং জুলুমের শিকার ব্যক্তিকেই সাহায্য করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে জালিম হোক বা মজলুম।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, মজলুমকে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম, তবে জালিমকে কীভাবে সাহায্য করব?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘তুমি তাকে অত্যাচার থেকে বাধা দেবে। তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে।’ (বুখারি: ৬৯৫)
জুলুম থেকে বেঁচে থাকার জন্য সব সময় জুলুমের পরিণতির কথা ভাবতে হবে। আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অত্যাচার করা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ অত্যাচার কিয়ামতের দিনে বহু অন্ধকারের পরিণত হবে।’ (মুসলিম: ৬৭৪১)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
বর্তমান সমাজে সব ক্ষেত্রে জুলুমের ছড়াছড়ি। অথচ আল্লাহ তাআলা জুলুম নিজের জন্যও হারাম করেছেন এবং বান্দাদের জন্যও হারাম করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, আমি জুলুম আমার নিজের জন্য হারাম করেছি এবং তা তোমাদের মাঝেও হারাম করেছি।’ (মুসলিম: ২৫৭৭)
জুলুম যেমন অন্যায় ও গুনাহের কাজ, তেমনি জুলুমে সহযোগিতা করাও গুনাহের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিবাদে অন্যায়মূলক কারও সাহায্য করল, সে আল্লাহর গজবে পতিত হলো।’ (আবু দাউদ: ৩৫৯৮) অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জালিমের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে চলে, অথচ সে জানে যে ওই ব্যক্তি জালিম, তখন সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।’ (মিশকাত: ৪৯০৮)
তাই কারও ওপর জুলুম যেমন করা যাবে না, জালিমকে সহযোগিতাও করা যাবে না। বরং জুলুমের শিকার ব্যক্তিকেই সাহায্য করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে জালিম হোক বা মজলুম।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, মজলুমকে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম, তবে জালিমকে কীভাবে সাহায্য করব?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘তুমি তাকে অত্যাচার থেকে বাধা দেবে। তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে।’ (বুখারি: ৬৯৫)
জুলুম থেকে বেঁচে থাকার জন্য সব সময় জুলুমের পরিণতির কথা ভাবতে হবে। আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অত্যাচার করা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ অত্যাচার কিয়ামতের দিনে বহু অন্ধকারের পরিণত হবে।’ (মুসলিম: ৬৭৪১)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
রাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
৬ ঘণ্টা আগেনিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে...
১৩ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর জন্যই মৃত্যু এক অবধারিত ও ধ্রুব সত্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)। মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং এটি এক নতুন জীবনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়া। এই চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও জীবিতদের জন্য একটি
১৮ ঘণ্টা আগে