মাহমুদ হাসান ফাহিম

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি
মাহমুদ হাসান ফাহিম

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেমুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে