ফারুক মেহেদী
বৈশ্বিক মানের ভার্চুয়াল শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে গ্লোবাল এডুটেক প্ল্যাটফর্ম ও শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম। এটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জাভেদ রহমান। সিটিব্যাংক এনএসহ বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা জাভেদ রহমান ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের নানা বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের ভার্চুয়াল শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম কেমন চলছে?
জাভেদ রহমান: শিশুদের জন্য নিরাপদ সামাজিকমাধ্যম ও এডুটেক প্ল্যাটফর্ম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম। এটি নিয়ে এখন বেশ কাজ চলছে আমাদের। তবে সামনে দেশের জন্য এটিকে বড় বাজেটের প্রকল্প হিসেবে এগিয়ে নিতে চাই। আশা করছি, বাংলাদেশে আমরা নাম্বার ওয়ান হয়ে এগিয়ে যাব। এখানে আমরা ইতিমধ্যে একটি মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। এ ছাড়া সহজ ডটকমেও আমাদের প্ল্যাটফর্ম লাইভ আছে। তাদের লার্নিং মডিউলটা আমরা ক্রিয়েট করেছি। তা ছাড়া, হংকংয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সঙ্গেও আমরা কাজ করছি। ওদের বাচ্চাদের সেকশনে একটা ওয়েবসাইট করে দিয়েছি। ওখানে পুরো প্রযুক্তিটা আমাদের। ভবিষ্যতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সঙ্গে কাজ করার কথা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আপনাদের কার্যক্রম কতটা এগিয়েছে?
জাভেদ রহমান: বাংলাদেশে আমরা বাস্তবায়নের পথে আছি। সহজ ডটকমের প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক এ সেবার সঙ্গে যুক্ত। এখন বাচ্চাদের জন্য স্কলাস্টিকার ই-বুক শুরু করতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সেখানে ই-লার্নিং এবং ক্লাসরুমও চালু করব। বড় পরিসরে সরকারের সঙ্গে দেশব্যাপী একটি কার্যক্রম পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা মূল অংশে থাকব। এর সঙ্গে হয়তো বাংলাদেশের অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হবে। আমরা চাই, দেশের শিশুদের মানসম্পন্ন বিকাশ, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে করবেন কাজটা?
জাভেদ রহমান: আমরা এর আওতায় টিচার্স ট্রেনিং থেকে শুরু করে কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, কোর্স ডেলিভারি—সবই করব। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ আছে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব। এর পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষকদের মানোন্নয়ন করব। সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাসগুলো বিনা মূল্যে পাবে। এতে তহবিল দেবে বাংলাদেশ সরকার। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আইএফসিও যুক্ত হতে পারে। বলতে পারেন, এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রকল্প।
আজকের পত্রিকা: শুরুতে কাদের নিয়ে, কীভাবে প্রকল্পটা এগিয়ে নেবেন?
জাভেদ রহমান: আমাদের পরিকল্পনাটা হলো, প্রথমে আমরা একটা পাইলট এলাকা নিয়ে শুরু করব। ধরেন, এর আওতায় ৩০-৪০টা স্কুল থাকবে। ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম—এ রকম সব জায়গা থেকে স্কুল বাছাই করে সেখানকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজটা করা হবে। এর জন্য কয়েকটা সেন্টার হবে, যেখানে স্টুডিও থাকবে। ওই সব স্টুডিও থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস নেবেন আর এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। একসময় আমরা প্রতিটি স্কুলের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেব, যাতে একপর্যায়ে তাঁরা নিজেরা স্থানীয়ভাবে পড়াতে পারেন। সামনে একটা ভার্চুয়াল টেক সামিট করব। নভেম্বরের শেষের দিকে। মার্কেটিংয়ের গডখ্যাত ফিলিপ কটলার, রিলায়েন্সের বোর্ড মেম্বার মোহন সনিসহ বিশ্বের টপ প্রফেসরেরা এতে যোগ দেবেন।
আজকের পত্রিকা: এই ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য কী?
জাভেদ রহমান: সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি এটিকে প্রকল্প হিসেবেও দেখতে পারেন। আমরা কোভিডের কারণে অনেক দিন ধরে দেশে যেতে পারছি না। ফলে কাজটা পিছিয়ে গেছে। এটায় স্কুল হবে আমাদের পার্টনার। মোটকথা, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষকেরা যাতে নিজেদের গুণগত মানোন্নয়ন করতে পারেন, এটাই আমরা করার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি করে দেব।
আজকের পত্রিকা: এখন এ রকম সেবা আপনারা কোথায় দিচ্ছেন?
জাভেদ রহমান: এরই মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীনে সেবা দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রেও হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। ফিলিপাইনে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যার উদ্যোক্তা আমাদেরও শেয়ারহোল্ডার; ওই প্রতিষ্ঠানের ১২০০ শাখা এবং সাড়ে ৩ কোটি গ্রাহক আছে, তাদের সঙ্গে আমরা কাজ করব। চীনে আমাদের কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী সেবা নিচ্ছে। সেখানে আমরা একটি কোম্পানিও করেছি। হংকংয়ে আমাদের প্রায় ১৫ হাজার পেইড ইউজার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈশ্বিক মানের ভার্চুয়াল শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে গ্লোবাল এডুটেক প্ল্যাটফর্ম ও শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম। এটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জাভেদ রহমান। সিটিব্যাংক এনএসহ বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা জাভেদ রহমান ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের নানা বিষয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের ভার্চুয়াল শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম কেমন চলছে?
জাভেদ রহমান: শিশুদের জন্য নিরাপদ সামাজিকমাধ্যম ও এডুটেক প্ল্যাটফর্ম মাম্মিড্যাডিমি ডটকম। এটি নিয়ে এখন বেশ কাজ চলছে আমাদের। তবে সামনে দেশের জন্য এটিকে বড় বাজেটের প্রকল্প হিসেবে এগিয়ে নিতে চাই। আশা করছি, বাংলাদেশে আমরা নাম্বার ওয়ান হয়ে এগিয়ে যাব। এখানে আমরা ইতিমধ্যে একটি মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। এ ছাড়া সহজ ডটকমেও আমাদের প্ল্যাটফর্ম লাইভ আছে। তাদের লার্নিং মডিউলটা আমরা ক্রিয়েট করেছি। তা ছাড়া, হংকংয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সঙ্গেও আমরা কাজ করছি। ওদের বাচ্চাদের সেকশনে একটা ওয়েবসাইট করে দিয়েছি। ওখানে পুরো প্রযুক্তিটা আমাদের। ভবিষ্যতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সঙ্গে কাজ করার কথা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে আপনাদের কার্যক্রম কতটা এগিয়েছে?
জাভেদ রহমান: বাংলাদেশে আমরা বাস্তবায়নের পথে আছি। সহজ ডটকমের প্রায় দেড় কোটি গ্রাহক এ সেবার সঙ্গে যুক্ত। এখন বাচ্চাদের জন্য স্কলাস্টিকার ই-বুক শুরু করতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সেখানে ই-লার্নিং এবং ক্লাসরুমও চালু করব। বড় পরিসরে সরকারের সঙ্গে দেশব্যাপী একটি কার্যক্রম পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা মূল অংশে থাকব। এর সঙ্গে হয়তো বাংলাদেশের অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হবে। আমরা চাই, দেশের শিশুদের মানসম্পন্ন বিকাশ, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে করবেন কাজটা?
জাভেদ রহমান: আমরা এর আওতায় টিচার্স ট্রেনিং থেকে শুরু করে কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, কোর্স ডেলিভারি—সবই করব। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ আছে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব। এর পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষকদের মানোন্নয়ন করব। সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাসগুলো বিনা মূল্যে পাবে। এতে তহবিল দেবে বাংলাদেশ সরকার। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আইএফসিও যুক্ত হতে পারে। বলতে পারেন, এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রকল্প।
আজকের পত্রিকা: শুরুতে কাদের নিয়ে, কীভাবে প্রকল্পটা এগিয়ে নেবেন?
জাভেদ রহমান: আমাদের পরিকল্পনাটা হলো, প্রথমে আমরা একটা পাইলট এলাকা নিয়ে শুরু করব। ধরেন, এর আওতায় ৩০-৪০টা স্কুল থাকবে। ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম—এ রকম সব জায়গা থেকে স্কুল বাছাই করে সেখানকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজটা করা হবে। এর জন্য কয়েকটা সেন্টার হবে, যেখানে স্টুডিও থাকবে। ওই সব স্টুডিও থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস নেবেন আর এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। একসময় আমরা প্রতিটি স্কুলের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেব, যাতে একপর্যায়ে তাঁরা নিজেরা স্থানীয়ভাবে পড়াতে পারেন। সামনে একটা ভার্চুয়াল টেক সামিট করব। নভেম্বরের শেষের দিকে। মার্কেটিংয়ের গডখ্যাত ফিলিপ কটলার, রিলায়েন্সের বোর্ড মেম্বার মোহন সনিসহ বিশ্বের টপ প্রফেসরেরা এতে যোগ দেবেন।
আজকের পত্রিকা: এই ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য কী?
জাভেদ রহমান: সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি এটিকে প্রকল্প হিসেবেও দেখতে পারেন। আমরা কোভিডের কারণে অনেক দিন ধরে দেশে যেতে পারছি না। ফলে কাজটা পিছিয়ে গেছে। এটায় স্কুল হবে আমাদের পার্টনার। মোটকথা, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষকেরা যাতে নিজেদের গুণগত মানোন্নয়ন করতে পারেন, এটাই আমরা করার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি করে দেব।
আজকের পত্রিকা: এখন এ রকম সেবা আপনারা কোথায় দিচ্ছেন?
জাভেদ রহমান: এরই মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, চীনে সেবা দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রেও হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। ফিলিপাইনে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যার উদ্যোক্তা আমাদেরও শেয়ারহোল্ডার; ওই প্রতিষ্ঠানের ১২০০ শাখা এবং সাড়ে ৩ কোটি গ্রাহক আছে, তাদের সঙ্গে আমরা কাজ করব। চীনে আমাদের কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী সেবা নিচ্ছে। সেখানে আমরা একটি কোম্পানিও করেছি। হংকংয়ে আমাদের প্রায় ১৫ হাজার পেইড ইউজার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১৮ ঘণ্টা আগে‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
৮ দিন আগেগত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১২ দিন আগেড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
২২ দিন আগে