Ajker Patrika

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত থামানোর চাপ ট্রাম্পের

  • পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর কিয়েভে দূত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প।
  • কিয়েভের প্রাকৃতিক সম্পদে নজর যুক্তরাষ্ট্রের।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ওই ফোনালাপ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, রুশ প্রেসিডেন্টও আর মানুষের প্রাণহানি দেখতে চান না। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে চলতি সপ্তাহে ইউরোপের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। আগামী শুক্রবার জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। এসব বৈঠকের মাধ্যমে ইউক্রেন সংকটের একটি সমাধান চান ট্রাম্প। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, এই ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের তোড়জোড় দৃশ্যমান হলেও তাদের এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা এখনো স্পষ্ট নয়।

গত সপ্তাহেই ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০ বছরের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কিথ কেলোগকে তাঁর ইউক্রেন ও রাশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর তাঁর ওপর প্রথম যে দায়িত্ব বর্তায় তা হলো, ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে মিত্রদের সঙ্গে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা। সেখানে বিশদ আলোচনার পর কিয়েভ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্সের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন কিথ কেলোগ। মিউনিখ সম্মেলনে শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি উপস্থাপন করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে গত সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন ইস্যুর অবতারণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো একটি চুক্তি করতে পারে, হয়তো করতে নাও পারে। তারা (ইউক্রেন) চাইলে কখনো রাশিয়ার অংশ হতে পারে, আবারও না হতে পারে।’ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি প্রস্তাব প্রস্তুতের জন্য কিথ কেলোগকে ইউক্রেনে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এ ইস্যুতে নিজ দেশের স্বার্থের কথাও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে একটি প্রত্যাশা থাকতেই পারে। এ ক্ষেত্রে বিনিময় হিসেবে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন—বিরল খনিজের কথা ভাবা যেতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সেখানে এত অর্থ ঢালছি! আমি বলেছি, সেটা ফেরত চাই। সমপরিমাণ কিছু চাই, যেমন—৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ এবং তারা এতে সম্মত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে দৃশ্যত অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানে কিয়েভ। তবে জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তিতে যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কঠোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছেন। কিয়েভের আশঙ্কা, যদি সমঝোতায় কঠোর সামরিক প্রতিশ্রুতি না থাকে, তাহলে এটি ক্রেমলিনকে নতুন করে আক্রমণের জন্য পুনরায় সংগঠিত হওয়া এবং ফের অস্ত্রাগার গড়ে তোলার সময় ও সুযোগ করে দেবে। এ ক্ষেত্রে সামরিক প্রতিশ্রুতি হিসেবে ন্যাটোর সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষী মোতায়েনের ওপর জোর দিচ্ছে কিয়েভ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত