যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমতো শঙ্কায় রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রিপাবলিকান দলের কাছে ডেমোক্রেটিক দল প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট—দুটিই হারিয়ে বসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর তেমনটা হলে রিপাবলিকান দল জো বাইডেনকে অপসারণে অভিশংসনের পথে হাঁটার জোর শঙ্কা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকান দল নিতে পারলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান নেতারা নানাভাবে বাইডেন প্রশাসনের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার তৎপরতা শুরু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর উদ্যোগ নিতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক আইনপ্রণেতা, কংগ্রেস কর্মকর্তা ও কৌশলী।
এ ধরনের পদক্ষেপের কথা এরই মধ্যে জানিয়ে রেখেছেন রিপাবলিকান নেতা ম্যাট গেটজ, বব গিবস ও জেমস কোমার। এর মধ্যে বব গিবস আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর গত সেপ্টেম্বর থেকেই জো বাইডেনের অভিশংসনের দাবি জানিয়ে আসছেন। আর জেমস কোমার হাউস ওভারসাইট কমিটির প্রধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যাঁর প্রধান লক্ষ্য প্রেসিডেন্টের ছেলে হান্টার বাইডেন। প্রথমোক্ত ব্যক্তি ম্যাট গেটজ তাকিয়ে আছেন বিচার মন্ত্রণালয়ের দিকে।
ফলে সামনের মধ্যবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান দলের ট্রাম্পপন্থী নেতারা বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছেন বলা যায়। এর বিপরীতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রশাসনকে এ ধরনের তদন্তে সুরক্ষা দেওয়া যায়। রয়টার্স জানায়, রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া ১ লাখ কোটি ডলারের অবকাঠামো আইনকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। তারা সেখানে জালিয়াতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে—এমন ধারণা থেকে বাইডেন প্রশাসন এরই মধ্যে নিউ অর্লিয়েন্সের সাবেক মেয়র মিচ ল্যান্ড্রিউকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
বর্তমান হোয়াইট হাউস কৌঁসুলির দপ্তরটি আদতে বাইডেনের জয়ের পর ডেমোক্রেটিক দলের গঠন করা ক্ষমতা হস্তান্তর দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। ওই দলের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, তারা আগেই অনুমান করেছিল যে, আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের তদন্তকাজ শুরুর চেষ্টা করবে।
আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের সবগুলো আসন এবং ৩৪টি সিনেট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। প্রতিনিধি পরিষদে ২২২ জন ডেমোক্র্যাট এবং ২১৩ জন রিপাবলিকান সদস্য রয়েছেন। ফলে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই থাকছে—এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। সবচেয়ে বড় সংশয় সিনেট নিয়ে। সিনেটে ভাইস প্রেসিডেন্টের জোরে এখন ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে যে ৩৪টি সিনেট আসনে ভোট হবে, তার ২০ টিতে রিপাবলিকান ও ১৪ টিতে ডেমোক্র্যাটরা প্রভাবশালী। ফলে সামনে নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে ছুটে যাওয়া জোর সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারছে। এ জন্য এরই মধ্যে তারা নিজেদের শক্তি বাড়াতে মাঠে নেমেছে। রয়টার্স জানাচ্ছে, এরই মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনে তদন্ত পরিচালনায় দক্ষতা দেখানো কর্মকর্তা জোনাথন সুকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক দল গবেষক, আইনজীবী ও যোগাযোগ কর্মকর্তা নিয়োগের কথাও ভাবছে হোয়াইট হাউস, যারা সম্ভাব্য তদন্তের বিষয়ে কাজ করবে।
এ বিষয়ে সাবেক ওবামা প্রশাসনের মুখপাত্র বেন লাবোল্ট রয়টার্সকে বলেন, তদন্তে সংশ্লিষ্ট কংগ্রেস কমিটিগুলোয় যতসংখ্যক সদস্য থাকেন, ঠিক ততসংখ্যক সদস্য নিয়েই একটি দল গঠনের রেওয়াজ ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার সময়ে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সমান্তরাল কাঠামোর প্রয়োজন হয়, যাদের বিরোধী দল থেকে সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে আগে থেকেই অনুমান করা এবং সেই আক্রমণ প্রতিহতের ক্ষমতা থাকবে।
আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন জো বাইডেনকে এতটাই উদ্বিগ্ন করেছে যে, তিনি নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। একই সঙ্গে সামনের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোয় বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। আশঙ্কা—এবার রিপাবলিকানরা সিনেটে জয় পেলে ২০১১ সালের মতো আচরণ করবে। তারা সবকিছুকেই চ্যালেঞ্জ করবে, যা প্রশাসনের স্বাভাবিক কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন এ বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমতো শঙ্কায় রয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রিপাবলিকান দলের কাছে ডেমোক্রেটিক দল প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট—দুটিই হারিয়ে বসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর তেমনটা হলে রিপাবলিকান দল জো বাইডেনকে অপসারণে অভিশংসনের পথে হাঁটার জোর শঙ্কা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকান দল নিতে পারলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান নেতারা নানাভাবে বাইডেন প্রশাসনের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার তৎপরতা শুরু করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর উদ্যোগ নিতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক আইনপ্রণেতা, কংগ্রেস কর্মকর্তা ও কৌশলী।
এ ধরনের পদক্ষেপের কথা এরই মধ্যে জানিয়ে রেখেছেন রিপাবলিকান নেতা ম্যাট গেটজ, বব গিবস ও জেমস কোমার। এর মধ্যে বব গিবস আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর গত সেপ্টেম্বর থেকেই জো বাইডেনের অভিশংসনের দাবি জানিয়ে আসছেন। আর জেমস কোমার হাউস ওভারসাইট কমিটির প্রধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যাঁর প্রধান লক্ষ্য প্রেসিডেন্টের ছেলে হান্টার বাইডেন। প্রথমোক্ত ব্যক্তি ম্যাট গেটজ তাকিয়ে আছেন বিচার মন্ত্রণালয়ের দিকে।
ফলে সামনের মধ্যবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান দলের ট্রাম্পপন্থী নেতারা বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছেন বলা যায়। এর বিপরীতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রশাসনকে এ ধরনের তদন্তে সুরক্ষা দেওয়া যায়। রয়টার্স জানায়, রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া ১ লাখ কোটি ডলারের অবকাঠামো আইনকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। তারা সেখানে জালিয়াতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে—এমন ধারণা থেকে বাইডেন প্রশাসন এরই মধ্যে নিউ অর্লিয়েন্সের সাবেক মেয়র মিচ ল্যান্ড্রিউকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
বর্তমান হোয়াইট হাউস কৌঁসুলির দপ্তরটি আদতে বাইডেনের জয়ের পর ডেমোক্রেটিক দলের গঠন করা ক্ষমতা হস্তান্তর দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। ওই দলের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, তারা আগেই অনুমান করেছিল যে, আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের তদন্তকাজ শুরুর চেষ্টা করবে।
আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের সবগুলো আসন এবং ৩৪টি সিনেট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। প্রতিনিধি পরিষদে ২২২ জন ডেমোক্র্যাট এবং ২১৩ জন রিপাবলিকান সদস্য রয়েছেন। ফলে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই থাকছে—এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। সবচেয়ে বড় সংশয় সিনেট নিয়ে। সিনেটে ভাইস প্রেসিডেন্টের জোরে এখন ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে যে ৩৪টি সিনেট আসনে ভোট হবে, তার ২০ টিতে রিপাবলিকান ও ১৪ টিতে ডেমোক্র্যাটরা প্রভাবশালী। ফলে সামনে নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে ছুটে যাওয়া জোর সম্ভাবনার কথাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনও বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারছে। এ জন্য এরই মধ্যে তারা নিজেদের শক্তি বাড়াতে মাঠে নেমেছে। রয়টার্স জানাচ্ছে, এরই মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনে তদন্ত পরিচালনায় দক্ষতা দেখানো কর্মকর্তা জোনাথন সুকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক দল গবেষক, আইনজীবী ও যোগাযোগ কর্মকর্তা নিয়োগের কথাও ভাবছে হোয়াইট হাউস, যারা সম্ভাব্য তদন্তের বিষয়ে কাজ করবে।
এ বিষয়ে সাবেক ওবামা প্রশাসনের মুখপাত্র বেন লাবোল্ট রয়টার্সকে বলেন, তদন্তে সংশ্লিষ্ট কংগ্রেস কমিটিগুলোয় যতসংখ্যক সদস্য থাকেন, ঠিক ততসংখ্যক সদস্য নিয়েই একটি দল গঠনের রেওয়াজ ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার সময়ে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সমান্তরাল কাঠামোর প্রয়োজন হয়, যাদের বিরোধী দল থেকে সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে আগে থেকেই অনুমান করা এবং সেই আক্রমণ প্রতিহতের ক্ষমতা থাকবে।
আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন জো বাইডেনকে এতটাই উদ্বিগ্ন করেছে যে, তিনি নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। একই সঙ্গে সামনের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোয় বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। আশঙ্কা—এবার রিপাবলিকানরা সিনেটে জয় পেলে ২০১১ সালের মতো আচরণ করবে। তারা সবকিছুকেই চ্যালেঞ্জ করবে, যা প্রশাসনের স্বাভাবিক কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বংশোদ্ভূত চালকদের অর্ধেকেরও বেশি লাতিন আমেরিকা থেকে এসেছেন। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো, বিশেষ করে ইউক্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চালক এসেছেন।
৪৩ মিনিট আগেবাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল এম খান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এই সম্মানজনক পদমর্যাদা অর্জনকারী প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি-আমেরিকান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেতীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে আরব বিশ্বের পাঁচ দেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশাল বনভূমি ও কৃষিজমি ধ্বংস হচ্ছে। গতকাল বুধবারও এই দেশগুলোতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। খবর তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির।
৯ ঘণ্টা আগেপর্যটন খাতকে চাঙা করতে ও দেশব্যাপী পর্যটনকে উৎসাহিত করতে থাইল্যান্ড সরকার একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির পর্যটন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আগামী তিন মাসের জন্য ২ লাখ বিদেশি পর্যটককে বিনা মূল্যে অভ্যন্তরীণ বিমান টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রস্তাবটি এখনো মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে