Ajker Patrika

চীন-ভারতও ধনী দেশ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারাও মানবিক সহায়তা দিক: রুবিও

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভার বহন করবে না। যেহেতু চীন ও ভারত ধনী দেশ, তারাও অংশগ্রহণ করুক। এমনটাই মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। পাশাপাশি, তিনি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর অন্যান্য ধনী দেশগুলোকেও দেশটিতে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের রুবিও বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সরকার নই। আমরা অন্য সবার মতোই মানবিক সহায়তা দেব এবং আমরা আমাদের সাধ্যমতো তা করব। তবে আমাদের অন্যান্য প্রয়োজনও রয়েছে যার সঙ্গে আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের সব বৈদেশিক সাহায্য ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এই পদক্ষেপের ফলে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বিশ্বব্যাপী অনেক কর্মসূচির বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জীবন রক্ষাকারী খাদ্য ও চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে, যা বিশ্বব্যাপী মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টাকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলেছে।

ট্রাম্প ও বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের অভূতপূর্ব পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আকার কমানোর জন্য ইউএসএআইডিকে একপ্রকার ভেঙেই দেওয়া হয়েছে। সংস্থার বেশির ভাগ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বা ছাঁটাই করা হয়েছে এবং এর অনেক অনুদান বাতিল করা হয়েছে।

শীর্ষ এই মার্কিন কূটনীতিক বলেন, বিশ্বের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ মানবিক সহায়তার বোঝা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপানো ন্যায্য নয় এবং বিশ্বে অনেক ‘ধনী দেশ’ রয়েছে যাদের এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বিশেষভাবে চীন ও ভারতের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ, তবে আমাদের সম্পদ অসীম নয়। এটি অসীম নয় এবং আমাদের বিশাল জাতীয় ঋণ রয়েছে। আমাদের আরও অনেক অগ্রাধিকার রয়েছে এবং এখন এই সবকিছুর পুনর্বিন্যাস করার সময় এসেছে। তাই আমরা সেখানে থাকব। আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করব। আমাদের অন্যান্য বিষয়ও দেখতে হবে।’

রুবিও আরও বলেন, ‘চীন একটি খুব ধনী দেশ। ভারত একটি ধনী দেশ। বিশ্বে আরও অনেক দেশ রয়েছে এবং সবারই এগিয়ে আসা উচিত।’

গত শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে মিয়ানমারে, যা দেশটির গত এক শতাব্দীর ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে হাসপাতাল ধসে পড়েছে, জনপদ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং অনেকে খাদ্য, পানির অভাবে জীবন কাটাচ্ছেন এবং অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।

দেশটির জান্তা সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এখনো নিখোঁজ ২০০ জনের বেশি। যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়ায় তুলনামূলকভাবে সামান্য, ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। ওয়াশিংটন আরও বলেছে, তারা তিন সদস্যের একটি মূল্যায়ন টিম পাঠাবে, তবে সামরিক জান্তার কাছ থেকে ভিসা পেতে সমস্যার কারণে তাদের আগমন বিলম্বিত হয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে সুনামি, ভূমিকম্প এবং বিশ্বের অন্যান্য দুর্যোগে জীবন বাঁচাতে দ্রুত দক্ষ উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করেছে। ইউএসএআইডি ভেঙে দেওয়ায় ওয়াশিংটন ভূমিকম্পে সাড়া দিতে ধীর গতি দেখিয়েছে—রুবিও এই সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রুবিও বলেন, মিয়ানমার ‘কাজ করার জন্য খুব একটা সহজ জায়গা নয়’, কারণ ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করে না এবং যেভাবে তারা চায় সেভাবে দেশটিতে কাজ করতে বাধা দেয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সীমিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত