Ajker Patrika

ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করায় বাধ্যতামূলক ছুটিতে ১৩৯ সরকারি কর্মচারী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২: ০২
ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করায় ছুটিতে পাঠানো হয়েছে মার্কি পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার শতাধিক কর্মীকে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করায় ছুটিতে পাঠানো হয়েছে মার্কি পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার শতাধিক কর্মীকে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ১৩৯ জন কর্মীকে বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠিয়েছে দেশটির পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করে প্রকাশ্যে চিঠি দেওয়ায় এবং সেই চিঠিতে সরকারি পদবি ব্যবহার করায় ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইপিএর কয়েক শ কর্মী ও সদ্য চাকরি হারানো ব্যক্তিদের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। ‘ঘোষণাপত্র: অসম্মতির ঘোষণা’ শিরোনামের ওই চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিবেশসংক্রান্ত নীতিমালার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়, সরকার পরিকল্পিতভাবে পরিবেশ রক্ষার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করছে, দূষণকারী শিল্পগোষ্ঠীর স্বার্থে বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য উপেক্ষা করছে এবং ইপিএর ভেতরে কর্মীদের ওপর ভয়ের সংস্কৃতি চাপিয়ে দিচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশগত ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। শুরুতে চিঠিটি ইপিএ প্রশাসক লি জেলডিনকে পৃথকভাবে পাঠানো হয়। পরে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবার রাতের পর চিঠির সর্বশেষ প্রকাশিত সংস্করণ থেকে স্বাক্ষরকারীদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে ইপিএ। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সরকারের নীতিমালা অবৈধভাবে বাধাগ্রস্ত করা, নাশকতা বা সরকারের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। সংস্থার ভেতরে এমন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ইপিএর জিরো টলারেন্স নীতি আছে।’

ইপিএ আরও জানিয়েছে, চিঠিতে সরকারি পদবি ও পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এতে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হতে পারে। এ জন্যই ১৩৯ জন কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে ইপিএর ভেতরে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণাও এসেছে। সংস্থাটি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তাদের গবেষণা দপ্তর বিলুপ্ত করছে। পাশাপাশি কয়েক বিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান বাতিল করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সহজ করা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মীদের স্বাধীন মত প্রকাশ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। গত জুনে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার (এনআইএইচ) শতাধিক কর্মী সংস্থার পরিচালককে চিঠি দিয়ে গবেষণার রাজনৈতিকীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবার ইপিএর ঘটনায় সেই বিতর্ক আরও জোরালো হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাখা হতে পারে সাবজেলে

‘কলিজা ছেঁড়ার’ হুমকি সারজিসের: ৮ মিনিট বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণ জানাল নেসকো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীসহ সব আসামি খালাস

ট্রাম্পে আস্থা: গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস কি জুয়া খেলছে

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বজনদের সঙ্গে মরদেহ খোঁজেন অভিযুক্ত তরুণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত