ভয়াবহ ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তি আজ। এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অভিযোগ ছিল, জঙ্গিগোষ্ঠী আলকায়দাকে সমর্থন করছে বর্তমানের আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবান। আর এই অভিযোগে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে আফগানিস্তানে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের সঙ্গে ৯/১১ হামলা কিংবা তালেবানের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ ছিল না। আফগানিস্তানে চালানো এই গণহত্যাই তালেবানের প্রতি আফগান জনগণের সমর্থন আরও বাড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জওয়াই জেলার জাঙ্গাবাদ গ্রামের জনগণ ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ২০ বছর পূর্তির আগে নিজেদের গ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে নিহতদের সংখ্যা গুনছিল। তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্টাফ সার্জেন্ট রবার্ট বেলসের হাতেই ওই গ্রামের কয়েক পরিবার নিহত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রবার্ট বেলস কমপক্ষে ১৬ জনকে হত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে নয়টি শিশু ছিল।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন হাজি মুহাম্মাদ ওয়াজির। তাঁর পুরো পরিবারই হারিয়েছে মার্কিন সেনাদের হাতে। তিনি জানান, ২০১২ সালের ১১ মার্চ মার্কিন সেনাসদস্য রবার্ট বেলসে তাঁর স্ত্রী, চার পুত্র, চার কন্যা এবং দুজন আত্মীয়কে হত্যা করেন।
হাজি মুহাম্মাদ ওয়াজির বলেন, 'এটি আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি খুশি যে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়েছে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ।'
জাঙ্গাবাদের পাঁচজন বাসিন্দা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানান, তাঁদের ৪৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন মার্কিন হামলায়। আর এই শোকই তাঁদের তালেবানকে সমর্থন দিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জওয়াই জেলার তালেবান কমান্ডার ফাইজানি মৌলভি সাহেব বলেন, গণহত্যার কারণে মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণহত্যায় মানুষ আমাদের আরও বেশি সমর্থন দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক গণহত্যা চালানোর পর এই সমর্থন বেড়েছে।
৯/১১ হামলার প্রায় ২০ বছর পর মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে। দেশটির ক্ষমতায় আবারও এসেছে তালেবান। আলকায়েদা এখনো আছে। আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলোতে আলকায়েদা সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী। তবে আফগানিস্তানের ভেতরেও এখন আলকায়েদার সদস্য রয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, উগ্র এই গোষ্ঠী আবার আফগানিস্তানে তাদের ঘাঁটি গাড়তে সচেষ্ট হবে।
আরও পড়ুন:
ভয়াবহ ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তি আজ। এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের অভিযোগ ছিল, জঙ্গিগোষ্ঠী আলকায়দাকে সমর্থন করছে বর্তমানের আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবান। আর এই অভিযোগে ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে আফগানিস্তানে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের সঙ্গে ৯/১১ হামলা কিংবা তালেবানের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ ছিল না। আফগানিস্তানে চালানো এই গণহত্যাই তালেবানের প্রতি আফগান জনগণের সমর্থন আরও বাড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জওয়াই জেলার জাঙ্গাবাদ গ্রামের জনগণ ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ২০ বছর পূর্তির আগে নিজেদের গ্রামে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে নিহতদের সংখ্যা গুনছিল। তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্টাফ সার্জেন্ট রবার্ট বেলসের হাতেই ওই গ্রামের কয়েক পরিবার নিহত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রবার্ট বেলস কমপক্ষে ১৬ জনকে হত্যা করেছেন, যাদের মধ্যে নয়টি শিশু ছিল।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন হাজি মুহাম্মাদ ওয়াজির। তাঁর পুরো পরিবারই হারিয়েছে মার্কিন সেনাদের হাতে। তিনি জানান, ২০১২ সালের ১১ মার্চ মার্কিন সেনাসদস্য রবার্ট বেলসে তাঁর স্ত্রী, চার পুত্র, চার কন্যা এবং দুজন আত্মীয়কে হত্যা করেন।
হাজি মুহাম্মাদ ওয়াজির বলেন, 'এটি আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি খুশি যে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়েছে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ।'
জাঙ্গাবাদের পাঁচজন বাসিন্দা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানান, তাঁদের ৪৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন মার্কিন হামলায়। আর এই শোকই তাঁদের তালেবানকে সমর্থন দিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আফগানিস্তানের পাঞ্জওয়াই জেলার তালেবান কমান্ডার ফাইজানি মৌলভি সাহেব বলেন, গণহত্যার কারণে মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণহত্যায় মানুষ আমাদের আরও বেশি সমর্থন দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক গণহত্যা চালানোর পর এই সমর্থন বেড়েছে।
৯/১১ হামলার প্রায় ২০ বছর পর মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে। দেশটির ক্ষমতায় আবারও এসেছে তালেবান। আলকায়েদা এখনো আছে। আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের দেশগুলোতে আলকায়েদা সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী। তবে আফগানিস্তানের ভেতরেও এখন আলকায়েদার সদস্য রয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, উগ্র এই গোষ্ঠী আবার আফগানিস্তানে তাদের ঘাঁটি গাড়তে সচেষ্ট হবে।
আরও পড়ুন:
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে