Ajker Patrika

ইলন মাস্ককে আর ‘পাত্তা দিচ্ছেন না’ ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৭
ট্রাম্প–মাস্কের ঘনিষ্ঠতা সবারই নজর কেড়েছে। ছবি: ফিউচারিজম
ট্রাম্প–মাস্কের ঘনিষ্ঠতা সবারই নজর কেড়েছে। ছবি: ফিউচারিজম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে শুরু থেকেই পাশে পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে ২০ কোটি ডলার দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারেও সরব উপস্থিতি দেখা গেছে তাঁর। ট্রাম্প–মাস্কের এই ঘনিষ্ঠতা সবারই নজর কেড়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর মাস্ককে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের প্রাক্তন চিফ অব স্টাফ মিক মুলভেনি দাবি করেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রস্তুতিতে ইলন মাস্ক ও অন্য প্রযুক্তি নেতারা যে ধরনের প্রভাব ফেলছেন, তা আগে কোনো ব্যবসায়ী নেতা করতে পারেননি।

তবে এই উষ্ণ সম্পর্ক কত দিন থাকবে তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগেই মাস্ককে ‘পাত্তা দেওয়া’ কমিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক্সে এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু প্রার্থীর ব্যাপারে আমি নিজস্ব মতামত জানিয়েছি। তবে অনেককে নির্বাচন করা হয়েছে আমার অজান্তেই। এসব সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই প্রেসিডেন্টের।

মাস্ক আরও লেখেন, আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসি। আমি কখনো তাঁকে খারাপ কিছু করতে দেখিনি।

অবশ্য অতীত বলছে, ট্রাম্প অত্যধিক প্রশংসাকারী ব্যক্তিকে বেশি দিন গুরুত্ব দেন না।

রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্টিভ ব্যানন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সহযোগী ও নির্বাচনী পরামর্শক ছিলেন। ২০১৬ সালের ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রধান কৌশলগত উপদেষ্টা ছিলেন ব্যানন। তবে মাত্র সাত মাস পরই তাঁকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।

এখন মনে হচ্ছে, ইলন মাস্কের এত গুণগানও তাঁকে রক্ষা করতে পারবে না; বিশেষ করে নিজের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য যখন প্রেসিডেন্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্পকে প্রশাসনিক কার্যক্রমের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মাস্ক। তবে মাস্কের এই পরামর্শে ট্রাম্প তেমন গুরুত্ব দেননি এবং বহুবার উপেক্ষা করেছেন। এ খবর মাস্ক নিজেই এক্স পোস্টে বলেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসেও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করার সাহস সবার নেই। তবে জাত ব্যবসায়ী ট্রাম্পের কাছে তিনি তেমন পাত্তা পাচ্ছেন বলে মনে হয় না!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত