অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে জীবনঘাতী ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিল। এর কারণে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এই মাদকের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে’ চীন ও ভারত জড়িত বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন (এটিএ) প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারত ও চীন মাদক উৎপাদনকারী অপরাধী চক্রের কাছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক কাঁচামাল সরবরাহ করে।
এই প্রতিবেদন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের কার্যালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই চক্রগুলো (আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন) প্রায়শই রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেমন তারা চীন ও ভারতের মাধ্যমে মাদক পাচারের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও সরঞ্জাম পায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক ও পিল তৈরির সরঞ্জামের প্রধান উৎস চীন, এরপরই রয়েছে ভারত।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের মতো মাদক তৈরির রাসায়নিক সরবরাহের অভিযোগে ভারতকে চীনের সমতুল্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেখানে গত বছরের প্রতিবেদনে মেক্সিকোর চক্রগুলো ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে কম পরিমাণে রাসায়নিক সংগ্রহ করত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে চীনকে প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদক সমস্যা মোকাবিলাকে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যা তাঁর বৈদেশিক নীতিকেও প্রভাবিত করছে। চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় ফেন্টানিলের মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাঁর প্রশাসন বিশ্রাম নেবে না।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্প চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এ ছাড়া সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
এদিকে ট্রাম্প গত ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ‘লিবারেশন ডে’ শুল্কের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে ভারত এই শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ত্বরান্বিত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ফেন্টানিল মাদক তৈরির রাসায়নিক সরবরাহে ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশ দুটিকে ‘রাষ্ট্রীয় অভিনেতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা মাদক পাচারকারী চক্রকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে রাসায়নিক সরবরাহ করে। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক মাদক এবং এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে জীবনঘাতী ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিল। এর কারণে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এই মাদকের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে’ চীন ও ভারত জড়িত বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন (এটিএ) প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারত ও চীন মাদক উৎপাদনকারী অপরাধী চক্রের কাছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক কাঁচামাল সরবরাহ করে।
এই প্রতিবেদন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের কার্যালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই চক্রগুলো (আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন) প্রায়শই রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেমন তারা চীন ও ভারতের মাধ্যমে মাদক পাচারের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও সরঞ্জাম পায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক ও পিল তৈরির সরঞ্জামের প্রধান উৎস চীন, এরপরই রয়েছে ভারত।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের মতো মাদক তৈরির রাসায়নিক সরবরাহের অভিযোগে ভারতকে চীনের সমতুল্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেখানে গত বছরের প্রতিবেদনে মেক্সিকোর চক্রগুলো ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে কম পরিমাণে রাসায়নিক সংগ্রহ করত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে চীনকে প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদক সমস্যা মোকাবিলাকে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যা তাঁর বৈদেশিক নীতিকেও প্রভাবিত করছে। চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় ফেন্টানিলের মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাঁর প্রশাসন বিশ্রাম নেবে না।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্প চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এ ছাড়া সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
এদিকে ট্রাম্প গত ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ‘লিবারেশন ডে’ শুল্কের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে ভারত এই শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ত্বরান্বিত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ফেন্টানিল মাদক তৈরির রাসায়নিক সরবরাহে ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেশ দুটিকে ‘রাষ্ট্রীয় অভিনেতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা মাদক পাচারকারী চক্রকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে রাসায়নিক সরবরাহ করে। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক মাদক এবং এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে