আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন কার্লসন। সাবেক ফক্স নিউজ উপস্থাপক কার্লসনের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে চলমান এপস্টেইন বিতর্কের আগুনে যেন আরও ঘি ঢেলে দিল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গত শুক্রবার (১১ জুলাই) টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর স্টুডেন্ট অ্যাকশন সামিটে বক্তব্য দেওয়ার সময় কার্লসন বলেন, এপস্টেইনের বিষয়ে প্রকৃত প্রশ্ন হওয়া উচিত—তিনি কার পক্ষে এসব করছিলেন এবং অর্থ আসছিল কোথা থেকে। তাঁর মতে, এপস্টেইন সম্ভবত মার্কিন নয়, কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন।
কার্লসনের ভাষ্য, সবাই জানে, কিন্তু কেউ বলতে চায় না—সেই বিদেশি সরকার হলো ইসরায়েল। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে চুপ হয়েছি, যেন ইসরায়েলের নাম নিলেই সেটা ঘৃণার কথা হয়ে যায়। অথচ ইসরায়েলের নাম বলাটা কোনো ঘৃণার কাজ নয়, এমনকি এটা ইসরায়েলবিরোধীও নয়।’
এপস্টেইনের জীবন ও মৃত্যু আবার আলোচনায় এসেছে, কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি বিচার বিভাগের তদন্তসংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ থেকে বিরত থাকে এবং জানায় যে, এপস্টেইনের ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ বলে আদতে কিছু ছিল না। এই সিদ্ধান্তে ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যাঁরা মনে করেন ‘ডিপ স্টেট’ বা অভ্যন্তরীণ গভীর শক্তিগুলো এ বিষয়ে তথ্য গোপন করছে।
কার্লসন বলেন, ‘কেউ জেফরি এপস্টেইনকে জিজ্ঞাসাও করেনি—তোমার বাড়িতে কেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন? বিদেশি সরকারের সঙ্গে তোমার এত কিসের যোগাযোগ?’
তাঁর ভাষ্যমতে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ বার এপস্টেইনের ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্কের বাড়িতে এসেছেন। তবে বারাক ছাড়াও এপস্টেইনসংশ্লিষ্ট নথিতে আছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স অ্যান্ড্রু, মাইকেল জ্যাকসন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।
কার্লসনের দাবি, ‘ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিটি মানুষ মনে করেন, এপস্টেইন মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। আমি কখনো এমন কাউকে দেখিনি যে, ভিন্নমত পোষণ করেন।’ তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার্লসন আরও দাবি করেন, ইসরায়েল সরকার কখনো এপস্টেইন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যদিও তিনি ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না।
কার্লসন তাঁর ৪৫ মিনিটের বক্তৃতায় আরও বলেন, যেসব মার্কিন নাগরিক ইসরায়েল বা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে কাজ করেন, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘একজন মানুষ যেমন দুজন প্রভুর সেবা করতে পারে না—এটি বাইবেল যেমন বলে, সাধারণ বুদ্ধিও তাই বলে। আমি একজন স্ত্রী রেখেছি এই কারণেই—একজনের প্রতিই পূর্ণ আনুগত্য সম্ভব। যাঁরা আইডিএফ বা ইউক্রেনীয় বাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের আর আমেরিকান বলা যায় না। আপনি অন্য দেশের হয়ে লড়তে পারেন না, আবার আমেরিকান পরিচয় ধরে রাখতে পারেন না।’
কার্লসন এর আগে কংগ্রেস সদস্য বায়ার্ন মাস্টের সমালোচনা করেছিলেন। মাস্ট ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর আইডিএফের পোশাক পরে কংগ্রেসে এসেছিলেন। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন দুই পা হারানো মাস্ট ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইডিএফের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেন। কার্লসন মনে করেন, বায়ার্ন মাস্টের সঙ্গেও বিদেশি গোয়েন্দাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
কার্লসনের ভাষ্যমতে, মানুষকে এমনভাবে ব্রেইনওয়াশ করা হয়েছে যেন এ ধরনের প্রশ্ন করা মানেই ঘৃণা ছড়ানো। অথচ এ প্রশ্নগুলো করাটা প্রতিটি আমেরিকানের মৌলিক অধিকার। তিনি দাবি করেন, ‘আমি ঘৃণা থেকে কিছু বলছি না, আমার কণ্ঠে আপনি ঘৃণার সুর শুনছেন না—কারণ, আমার মধ্যে কোনো ঘৃণা নেই। আমি শুধু স্বাভাবিক প্রশ্নগুলো করছি।’
প্রসঙ্গত জেফরি এপস্টেইন ২০১৯ সালে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তিনি বহু বছর ধরে প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ধনীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ও রহস্যময় জীবনের নানা দিক আজও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়ে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন কার্লসন। সাবেক ফক্স নিউজ উপস্থাপক কার্লসনের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে চলমান এপস্টেইন বিতর্কের আগুনে যেন আরও ঘি ঢেলে দিল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গত শুক্রবার (১১ জুলাই) টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর স্টুডেন্ট অ্যাকশন সামিটে বক্তব্য দেওয়ার সময় কার্লসন বলেন, এপস্টেইনের বিষয়ে প্রকৃত প্রশ্ন হওয়া উচিত—তিনি কার পক্ষে এসব করছিলেন এবং অর্থ আসছিল কোথা থেকে। তাঁর মতে, এপস্টেইন সম্ভবত মার্কিন নয়, কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন।
কার্লসনের ভাষ্য, সবাই জানে, কিন্তু কেউ বলতে চায় না—সেই বিদেশি সরকার হলো ইসরায়েল। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে চুপ হয়েছি, যেন ইসরায়েলের নাম নিলেই সেটা ঘৃণার কথা হয়ে যায়। অথচ ইসরায়েলের নাম বলাটা কোনো ঘৃণার কাজ নয়, এমনকি এটা ইসরায়েলবিরোধীও নয়।’
এপস্টেইনের জীবন ও মৃত্যু আবার আলোচনায় এসেছে, কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি বিচার বিভাগের তদন্তসংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ থেকে বিরত থাকে এবং জানায় যে, এপস্টেইনের ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ বলে আদতে কিছু ছিল না। এই সিদ্ধান্তে ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যাঁরা মনে করেন ‘ডিপ স্টেট’ বা অভ্যন্তরীণ গভীর শক্তিগুলো এ বিষয়ে তথ্য গোপন করছে।
কার্লসন বলেন, ‘কেউ জেফরি এপস্টেইনকে জিজ্ঞাসাও করেনি—তোমার বাড়িতে কেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন? বিদেশি সরকারের সঙ্গে তোমার এত কিসের যোগাযোগ?’
তাঁর ভাষ্যমতে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ বার এপস্টেইনের ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্কের বাড়িতে এসেছেন। তবে বারাক ছাড়াও এপস্টেইনসংশ্লিষ্ট নথিতে আছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স অ্যান্ড্রু, মাইকেল জ্যাকসন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।
কার্লসনের দাবি, ‘ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিটি মানুষ মনে করেন, এপস্টেইন মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। আমি কখনো এমন কাউকে দেখিনি যে, ভিন্নমত পোষণ করেন।’ তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার্লসন আরও দাবি করেন, ইসরায়েল সরকার কখনো এপস্টেইন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যদিও তিনি ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না।
কার্লসন তাঁর ৪৫ মিনিটের বক্তৃতায় আরও বলেন, যেসব মার্কিন নাগরিক ইসরায়েল বা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে কাজ করেন, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘একজন মানুষ যেমন দুজন প্রভুর সেবা করতে পারে না—এটি বাইবেল যেমন বলে, সাধারণ বুদ্ধিও তাই বলে। আমি একজন স্ত্রী রেখেছি এই কারণেই—একজনের প্রতিই পূর্ণ আনুগত্য সম্ভব। যাঁরা আইডিএফ বা ইউক্রেনীয় বাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁদের আর আমেরিকান বলা যায় না। আপনি অন্য দেশের হয়ে লড়তে পারেন না, আবার আমেরিকান পরিচয় ধরে রাখতে পারেন না।’
কার্লসন এর আগে কংগ্রেস সদস্য বায়ার্ন মাস্টের সমালোচনা করেছিলেন। মাস্ট ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর আইডিএফের পোশাক পরে কংগ্রেসে এসেছিলেন। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন দুই পা হারানো মাস্ট ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইডিএফের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেন। কার্লসন মনে করেন, বায়ার্ন মাস্টের সঙ্গেও বিদেশি গোয়েন্দাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
কার্লসনের ভাষ্যমতে, মানুষকে এমনভাবে ব্রেইনওয়াশ করা হয়েছে যেন এ ধরনের প্রশ্ন করা মানেই ঘৃণা ছড়ানো। অথচ এ প্রশ্নগুলো করাটা প্রতিটি আমেরিকানের মৌলিক অধিকার। তিনি দাবি করেন, ‘আমি ঘৃণা থেকে কিছু বলছি না, আমার কণ্ঠে আপনি ঘৃণার সুর শুনছেন না—কারণ, আমার মধ্যে কোনো ঘৃণা নেই। আমি শুধু স্বাভাবিক প্রশ্নগুলো করছি।’
প্রসঙ্গত জেফরি এপস্টেইন ২০১৯ সালে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তিনি বহু বছর ধরে প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ধনীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ও রহস্যময় জীবনের নানা দিক আজও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়ে চলেছে।

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত ‘পিরিয়ড ট্যাক্স’ এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, যা নারীদের জন্য অত্যন্ত অন্যায্য এক ব্যবস্থা হিসেবে সমালোচিত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পাকিস্তানে স্যানিটারি প্যাডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর ও শুল্কের কারণে এসব পণ্য অনেক নারীর নাগালের বাইরে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, এসব কর পণ্যের খুচরা দামে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটায়। এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামীণ নারীদের মাত্র ১৬.২ শতাংশ নিয়মিত প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। অথচ দেশটির সরকার ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে গবাদিপশুর বীর্য, দুধ ও চিজের মতো জিনিসকে করমুক্ত করেছে। আর নারীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যরক্ষার পণ্যগুলোকে বিলাসদ্রব্য হিসেবে করের আওতায় রেখেছে।
ওমর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যখন দেশে নারী মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জন প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তখন কীভাবে এমন লিঙ্গ-অন্ধ নীতি প্রশ্নহীনভাবে পাস হয়? এটা যদি ভুলেও হয়ে থাকে, তবুও সংশোধন জরুরি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ বলছে, মাসিক স্বাস্থ্য একটি মানবাধিকারের অংশ। কিন্তু পাকিস্তানে গরিব নারী ও স্কুলছাত্রীদের জন্য এটি এখনো কষ্টকর বাস্তবতা।
ওমরের মামলায় সহায়তা দিচ্ছে ‘মাহওয়ারি জাস্টিস’ নামে একটি তরুণ নেতৃত্বাধীন সংগঠন যা ঋতুচক্রকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয় ও দরিদ্র নারীদের মধ্যে স্যানিটারি পণ্য বিতরণ করে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সংগঠনটি গড়ে ওঠে। কারণ সে সময় হাজারো নারী নিরাপদ বিকল্পের অভাবে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
আইনজীবী আহসান জেহাঙ্গির খানের মতে, ‘নারীদের একটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য কর আরোপ করা মানে তাদের মর্যাদা হরণ করা।’ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানে প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজন মাসিকের সময় স্কুল মিস করে। এ ছাড়া, অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারে সংক্রমণ ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।
সরকার এখনো মামলাটির জবাব দেয়নি। তবে মাহনুর ওমরের আশা—রায় যদি অনুকূলে আসে, তাহলে শুধু প্যাডের দামই কমবে না, বরং পাকিস্তানি সমাজে নারীদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু ও নীরবতার সংস্কৃতিও ভাঙবে। তিনি বলেন, ‘সমস্যা মাসিক নয়, বরং সমাজের সেই নীরবতা, যা এটিকে অদৃশ্য করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের
১৩ জুলাই ২০২৫
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

ইরানে স্বামীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বালিকাবধূর প্রাণ বাঁচাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি তুমান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা) জোগাড় করতে হবে। নইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী গোলি কোহকান নামের এই নারী সাত বছর ধরে উত্তর ইরানের গোরগান কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে ‘কিসাস’ (প্রতিশোধমূলক শাস্তি) আইনে মৃত্যুদণ্ড দেন।
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এরপর ১৩ বছর বয়সে তিনি গর্ভবতী হন এবং এক ছেলের জন্ম দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ঘটনার দিন গোলি দেখতে পান, তাঁর স্বামী পাঁচ বছরের ছেলেকে মারধর করছেন। তখন তিনি চাচাতো ভাইকে ফোন করে সাহায্য চান। তাঁর চাচাতো ভাই এসে পৌঁছালে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে গোলির স্বামী নিহত হন। পরে গোলি নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
স্থানীয় পুলিশ এসে আইনজীবী ছাড়াই গোলিকে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। নিরক্ষর গোলি জেরার চাপে জবানবন্দিতে সই করে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যা পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গোলির মামলা ইরানে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতীক। দেশটিতে বাল্যবিবাহ বৈধ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা নেই বললেই চলে।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, গোলি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর একজন দরিদ্র নারী। সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তাঁর শাস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের ভয় সৃষ্টির হাতিয়ার ও বৈষম্যমূলক আইনের বাস্তব উদাহরণ।
আইএইচআর জানিয়েছে, গোলি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। একবার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে যান। তখন তাঁর বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে সাদা পোশাকে (বিয়ের সময়) বিদায় দিয়েছি, এখন সে শুধু কাফনের কাপড়েই ফিরতে পারবে।’
ইরানি আইনে হত্যা মামলায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে ‘দিয়াহ’ বা রক্তঋণ নিয়ে আসামিকে ক্ষমা করতে পারে। জানা গেছে, কারাগার কর্তৃপক্ষ গোলির স্বামীর পরিবারকে রাজি করিয়েছে। এখন গোলি যদি ১০০ কোটি তুমান পরিশোধ করেন এবং গোরগান শহর ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর সাজা মওকুফ হবে।
তবে শর্ত অনুযায়ী, মুক্তি পেলেও গোলি তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। ছেলেটিকে বর্তমানে তাঁর দাদা-দাদির কাছে রাখা হয়েছে।
ইরানে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ব্রামশের (Bramsh) সদস্য জিবা বাক্তিয়ারি বলেন, গোলি কোহকানের ঘটনা নতুন নয়। বেলুচ নারীদের পাশাপাশি ইরানের অধিকাংশ নারীই এমন নির্যাতনের শিকার। তাঁদের কথা কেউ জানে না, কেউ শোনে না। দারিদ্র্যের কারণে পরিবারগুলো মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারপরই তাদের জীবনে নেমে আসে এমন নির্যাতন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের
১৩ জুলাই ২০২৫
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
৪৩ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাংপেং ঝাও ২০২৩ সালে অর্থপাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি চার মাস কারাভোগও করেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠিত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ ‘বাইন্যান্স’ এর প্রধান নির্বাহী পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।
সাম্প্রতিক সময়ে ঝাওয়ের কোম্পানিগুলো ট্রাম্প–সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন ডিজিটাল মুদ্রা প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে ডোমিনারি হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব অ্যাডভাইজার্সে ট্রাম্পের দুই ছেলে রয়েছেন, যা ট্রাম্প টাওয়ারেই অবস্থিত।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক নোরা ও’ডনেল জানতে চান—সরকার যখন ঝাওয়ের কর্মকাণ্ডকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলেছে, তখন কেন ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানিই না উনি কে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে কখনো দেখা করেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ আমাকে বলেছিল, তিনি বাইডেন প্রশাসনের উইচ হান্টের শিকার।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই খাতে নেতৃত্ব না দেয়, তবে চীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এগিয়ে যাবে।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার মাধ্যমে ঝাওয়ের ওপর আর্থিক ব্যবসা পরিচালনায় থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও, বাইন্যান্সে তাঁর ভূমিকা কীভাবে প্রভাবিত হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ক্রিপটোকারেন্সির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ঝাওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল বাড়াবাড়ি রকমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এটি সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধন করেছেন।’
উল্লেখ্য, বাইন্যান্স বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ। ট্রাম্প প্রশাসন অতীতেও ক্রিপটো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করেছে। এর মধ্যে বিটমেক্স প্রতিষ্ঠাতারা সহ ‘সিল্ক রোড’-এর প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিক্টও তাঁর ক্ষমা পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের
১৩ জুলাই ২০২৫
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী বেহেরা দুজন সশস্ত্র আরএসএফ যোদ্ধার মাঝে বসে আছেন। তাঁদের একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো?’ অন্যজন তাঁকে নির্দেশ দেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ‘দাগালো গুড’ বলার জন্য। এই শব্দযুগলের মাধ্যমে মূলত মিলিশিয়া নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেতি’-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, বেহেরাকে উত্তর দারফুরের আল ফাশির শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। রাজধানী খার্তুম থেকে ওই অঞ্চলটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আরএসএফের একটি ঘাঁটি।
বেহেরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০২২ সাল থেকে সুকারাতি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুষ্মিতা বেহেরা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে, একজন আট বছর, আরেকজন তিন। আমরা শুধু চাই, ও যেন নিরাপদে ফিরে আসে।’
পরিবারের পাঠানো আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ বেহেরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছেন, ‘আমি আল ফাশিরে আছি, এখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি দুই বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। আমার পরিবার ও বাচ্চারা খুব চিন্তিত। আমি ওডিশা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।’
গত ১৮ মাসের অবরোধের পর উট ও টয়োটা গাড়িতে চড়ে আরএসএফ যোদ্ধারা সম্প্রতি আল ফাশির শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সতর্ক করেছে—ওই অঞ্চলে আরএসএফের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ আবদাল্লা আলি এলতোম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘আল ফাশির বর্তমানে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করছি, আদর্শ বেহেরাকে যেন কোনো ক্ষতি করা না হয়। পরিস্থিতি অনিশ্চিত হলেও আমরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশায় আছি।’
সুদানে ২০২৩ সাল থেকে সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আদর্শ বেহেরার অপহরণ সেই ভয়াবহ সংঘাতেরই নতুন করুণ অধ্যায়।

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে বিপদে পড়েছেন এক ভারতীয়। ওডিশার জগতসিংহপুর জেলার বাসিন্দা আদর্শ বেহেরা নামের ওই ব্যক্তিকে সুদানের ভয়ংকর মিলিশিয়া গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩৬ বছর বয়সী বেহেরা দুজন সশস্ত্র আরএসএফ যোদ্ধার মাঝে বসে আছেন। তাঁদের একজন তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো?’ অন্যজন তাঁকে নির্দেশ দেন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ‘দাগালো গুড’ বলার জন্য। এই শব্দযুগলের মাধ্যমে মূলত মিলিশিয়া নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেতি’-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, বেহেরাকে উত্তর দারফুরের আল ফাশির শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। রাজধানী খার্তুম থেকে ওই অঞ্চলটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আরএসএফের একটি ঘাঁটি।
বেহেরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ২০২২ সাল থেকে সুকারাতি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুষ্মিতা বেহেরা এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে, একজন আট বছর, আরেকজন তিন। আমরা শুধু চাই, ও যেন নিরাপদে ফিরে আসে।’
পরিবারের পাঠানো আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আদর্শ বেহেরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছেন, ‘আমি আল ফাশিরে আছি, এখানে পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমি দুই বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। আমার পরিবার ও বাচ্চারা খুব চিন্তিত। আমি ওডিশা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে সাহায্য করুন।’
গত ১৮ মাসের অবরোধের পর উট ও টয়োটা গাড়িতে চড়ে আরএসএফ যোদ্ধারা সম্প্রতি আল ফাশির শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) সতর্ক করেছে—ওই অঞ্চলে আরএসএফের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
ভারতে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ আবদাল্লা আলি এলতোম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘আল ফাশির বর্তমানে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করছি, আদর্শ বেহেরাকে যেন কোনো ক্ষতি করা না হয়। পরিস্থিতি অনিশ্চিত হলেও আমরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের আশায় আছি।’
সুদানে ২০২৩ সাল থেকে সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আদর্শ বেহেরার অপহরণ সেই ভয়াবহ সংঘাতেরই নতুন করুণ অধ্যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের
১৩ জুলাই ২০২৫
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের নাম লাহোর হাইকোর্টের নথিতে দেখে খানিকটা শঙ্কিত হয়েছিলেন মাহনুর ওমর। কিন্তু ‘মাহনুর ওমর বনাম পাকিস্তান ফেডারেশন’ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির এই তরুণ আইনজীবী আলোচনায় উঠে এসেছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গোলি কোহকান ইরানের অবহেলিত জাতিগোষ্ঠী বেলুচ সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ এই সম্প্রদায়ের। গোলি পরিচয়হীন একজন নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে নিজের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জানেন না কে চ্যাংপেং ঝাও। অথচ গত মাসেই তিনি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীকে ক্ষমা করেছিলেন। রোববার (২ নভেম্বর) সম্প্রচারিত সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে