আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেই গোপন সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ইরানে হামলার বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবছি। তবে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, যখন সময় শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড বাকি থাকে।’
সূত্র জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্ত হওয়ার হুমকি দিয়ে তেহরানকে চাপের মুখে ফেলে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। তবে তিনি জানিয়েছেন, হামলা না-ও করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একাধিক বিকল্প এখনো টেবিলে আছে। ট্রাম্প লক্ষ রাখছেন, ইসরায়েল কীভাবে অভিযান চালায়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার তারা ইরানে অন্তত ১ হাজার ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ঘাঁটিতে আটটি হেলিকপ্টার এবং পশ্চিম ইরানে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর অংশ ছিল।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার নানা পরিকল্পনা বিবেচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট কোনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত রয়েছে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে রক্ষা করার সহায়তায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন গতকাল বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে তাঁরা কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
যদিও হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে, তবে ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধান করতেই বেশি আগ্রহী—বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বুধবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (হামলা) করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ইরানকে শর্তহীন আত্মসমর্পণ করতেই হবে—‘পরবর্তী সপ্তাহটা খুব বড় হতে যাচ্ছে, হয়তো এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।’
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, সামরিক হুমকির মধ্যে তারা কোনো আলোচনা করবে না। হামলা হলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। জাতিসংঘে ইরানের মিশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরান হুমকির মুখে কখনো আলোচনা করে না, শান্তিও মেনে নেয় না, আর সেই পুরোনো যুদ্ধবাজের (সম্ভবত ট্রাম্পকে ইঙ্গিত) সঙ্গে তো নয়ই, যে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরানের ফোরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং এতটাই সুরক্ষিত যে, কেবল অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়েই তা ধ্বংস করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। এখনো ইসরায়েল ফোরদোতে হামলা চালায়নি।
ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্তের পাল্লা মেপে দেখছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি বাড়াতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বাহিনী পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—আকাশপথে জ্বালানি সরবরাহের ট্যাংকার বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ, একটি বিমানবাহী রণতরি দল এবং উন্নত এফ-২২ যুদ্ধবিমান, যা বুধবার ব্রিটেনে অবতরণ করেছে।
হেগসেথ বুধবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, কারণ ফোরদোতে হামলা হলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি ও বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় হেগসেথকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি ইরানে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে হয়। আমি জনসমক্ষে এ নিয়ে আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে যা কিছু আছে, সবকিছু প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলার মতো হুমকি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত।
এদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে হামলা না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই মন্ত্রী ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমালোচনা করেন এবং বলছেন, ‘যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেই গোপন সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ইরানে হামলার বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবছি। তবে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, যখন সময় শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড বাকি থাকে।’
সূত্র জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্ত হওয়ার হুমকি দিয়ে তেহরানকে চাপের মুখে ফেলে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। তবে তিনি জানিয়েছেন, হামলা না-ও করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একাধিক বিকল্প এখনো টেবিলে আছে। ট্রাম্প লক্ষ রাখছেন, ইসরায়েল কীভাবে অভিযান চালায়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার তারা ইরানে অন্তত ১ হাজার ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ঘাঁটিতে আটটি হেলিকপ্টার এবং পশ্চিম ইরানে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর অংশ ছিল।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার নানা পরিকল্পনা বিবেচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট কোনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত রয়েছে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে রক্ষা করার সহায়তায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন গতকাল বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে তাঁরা কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
যদিও হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে, তবে ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধান করতেই বেশি আগ্রহী—বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বুধবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (হামলা) করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ইরানকে শর্তহীন আত্মসমর্পণ করতেই হবে—‘পরবর্তী সপ্তাহটা খুব বড় হতে যাচ্ছে, হয়তো এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।’
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, সামরিক হুমকির মধ্যে তারা কোনো আলোচনা করবে না। হামলা হলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। জাতিসংঘে ইরানের মিশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরান হুমকির মুখে কখনো আলোচনা করে না, শান্তিও মেনে নেয় না, আর সেই পুরোনো যুদ্ধবাজের (সম্ভবত ট্রাম্পকে ইঙ্গিত) সঙ্গে তো নয়ই, যে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরানের ফোরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং এতটাই সুরক্ষিত যে, কেবল অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়েই তা ধ্বংস করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। এখনো ইসরায়েল ফোরদোতে হামলা চালায়নি।
ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্তের পাল্লা মেপে দেখছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি বাড়াতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বাহিনী পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—আকাশপথে জ্বালানি সরবরাহের ট্যাংকার বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ, একটি বিমানবাহী রণতরি দল এবং উন্নত এফ-২২ যুদ্ধবিমান, যা বুধবার ব্রিটেনে অবতরণ করেছে।
হেগসেথ বুধবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, কারণ ফোরদোতে হামলা হলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি ও বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় হেগসেথকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি ইরানে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে হয়। আমি জনসমক্ষে এ নিয়ে আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে যা কিছু আছে, সবকিছু প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলার মতো হুমকি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত।
এদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে হামলা না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই মন্ত্রী ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমালোচনা করেন এবং বলছেন, ‘যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেই গোপন সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ইরানে হামলার বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবছি। তবে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, যখন সময় শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড বাকি থাকে।’
সূত্র জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্ত হওয়ার হুমকি দিয়ে তেহরানকে চাপের মুখে ফেলে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। তবে তিনি জানিয়েছেন, হামলা না-ও করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একাধিক বিকল্প এখনো টেবিলে আছে। ট্রাম্প লক্ষ রাখছেন, ইসরায়েল কীভাবে অভিযান চালায়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার তারা ইরানে অন্তত ১ হাজার ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ঘাঁটিতে আটটি হেলিকপ্টার এবং পশ্চিম ইরানে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর অংশ ছিল।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার নানা পরিকল্পনা বিবেচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট কোনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত রয়েছে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে রক্ষা করার সহায়তায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন গতকাল বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে তাঁরা কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
যদিও হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে, তবে ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধান করতেই বেশি আগ্রহী—বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বুধবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (হামলা) করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ইরানকে শর্তহীন আত্মসমর্পণ করতেই হবে—‘পরবর্তী সপ্তাহটা খুব বড় হতে যাচ্ছে, হয়তো এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।’
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, সামরিক হুমকির মধ্যে তারা কোনো আলোচনা করবে না। হামলা হলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। জাতিসংঘে ইরানের মিশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরান হুমকির মুখে কখনো আলোচনা করে না, শান্তিও মেনে নেয় না, আর সেই পুরোনো যুদ্ধবাজের (সম্ভবত ট্রাম্পকে ইঙ্গিত) সঙ্গে তো নয়ই, যে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরানের ফোরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং এতটাই সুরক্ষিত যে, কেবল অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়েই তা ধ্বংস করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। এখনো ইসরায়েল ফোরদোতে হামলা চালায়নি।
ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্তের পাল্লা মেপে দেখছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি বাড়াতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বাহিনী পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—আকাশপথে জ্বালানি সরবরাহের ট্যাংকার বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ, একটি বিমানবাহী রণতরি দল এবং উন্নত এফ-২২ যুদ্ধবিমান, যা বুধবার ব্রিটেনে অবতরণ করেছে।
হেগসেথ বুধবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, কারণ ফোরদোতে হামলা হলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি ও বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় হেগসেথকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি ইরানে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে হয়। আমি জনসমক্ষে এ নিয়ে আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে যা কিছু আছে, সবকিছু প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলার মতো হুমকি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত।
এদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে হামলা না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই মন্ত্রী ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমালোচনা করেন এবং বলছেন, ‘যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেই গোপন সিদ্ধান্তের পর ট্রাম্প প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, ইরানে হামলার বিষয়টি তাঁর বিবেচনায় রয়েছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবছি। তবে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, যখন সময় শেষ হওয়ার এক সেকেন্ড বাকি থাকে।’
সূত্র জানায়, ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্ত হওয়ার হুমকি দিয়ে তেহরানকে চাপের মুখে ফেলে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চান ট্রাম্প। তবে তিনি জানিয়েছেন, হামলা না-ও করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একাধিক বিকল্প এখনো টেবিলে আছে। ট্রাম্প লক্ষ রাখছেন, ইসরায়েল কীভাবে অভিযান চালায়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, সামরিক নেতৃত্ব ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করে। মঙ্গলবার তারা ইরানে অন্তত ১ হাজার ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ঘাঁটিতে আটটি হেলিকপ্টার এবং পশ্চিম ইরানে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর অংশ ছিল।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে হামলার নানা পরিকল্পনা বিবেচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট কোনো চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত রয়েছে ইসরায়েলকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন থেকে রক্ষা করার সহায়তায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন গতকাল বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে তাঁরা কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
যদিও হামলার পরিকল্পনা এগিয়ে চলেছে, তবে ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধান করতেই বেশি আগ্রহী—বলেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বুধবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি (হামলা) করতে পারি, আবার না-ও করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ইরানকে শর্তহীন আত্মসমর্পণ করতেই হবে—‘পরবর্তী সপ্তাহটা খুব বড় হতে যাচ্ছে, হয়তো এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে।’
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, সামরিক হুমকির মধ্যে তারা কোনো আলোচনা করবে না। হামলা হলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। জাতিসংঘে ইরানের মিশন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরান হুমকির মুখে কখনো আলোচনা করে না, শান্তিও মেনে নেয় না, আর সেই পুরোনো যুদ্ধবাজের (সম্ভবত ট্রাম্পকে ইঙ্গিত) সঙ্গে তো নয়ই, যে প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরানের ফোরদো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং এতটাই সুরক্ষিত যে, কেবল অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়েই তা ধ্বংস করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। এখনো ইসরায়েল ফোরদোতে হামলা চালায়নি।
ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্তের পাল্লা মেপে দেখছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি বাড়াতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বাহিনী পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে—আকাশপথে জ্বালানি সরবরাহের ট্যাংকার বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ, একটি বিমানবাহী রণতরি দল এবং উন্নত এফ-২২ যুদ্ধবিমান, যা বুধবার ব্রিটেনে অবতরণ করেছে।
হেগসেথ বুধবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, কারণ ফোরদোতে হামলা হলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি ও বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় হেগসেথকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি ইরানে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে হয়। আমি জনসমক্ষে এ নিয়ে আর কিছু বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে যা কিছু আছে, সবকিছু প্রস্তুত রাখা হচ্ছে, যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলার মতো হুমকি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত।
এদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে হামলা না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই মন্ত্রী ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমালোচনা করেন এবং বলছেন, ‘যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না—সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ..
১৯ জুন ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না—সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ..
১৯ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না—সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ..
১৯ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে সামরিক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া থেকে তিনি বিরত রয়েছেন। তেহরান শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে কি না—সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ..
১৯ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৮ ঘণ্টা আগে