অনলাইন ডেস্ক
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কানাডার কাছে থেকে সম্মান আশা করে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা আলোচনা কেবল ‘আমাদের শর্তে’ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ যখন শেষ হচ্ছিল, সেই সময়ে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্নি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তিনি কেবল তখনই ওয়াশিংটন সফর করবেন যখন কানাডার সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করার সুযোগ থাকবে।
ট্রাম্প পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি বারবার কানাডাকে আমেরিকার ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ বানানোর কথা বলেছেন, যা কানাডীয়দের ক্ষুব্ধ করেছে। কার্নি বলেন, এমন দৃশ্যকল্প ‘কখনো, কখনোই ঘটবে না’। তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি মনে করি না যে অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রেও এটা কখনো ঘটবে... পানামা হোক বা গ্রিনল্যান্ড হোক বা অন্য কোথাও।’ তবে কার্নি বলেন, যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি নিশ্চিত করতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তবে তাঁর দেশের জন্য একটি ‘উইন-উইন সম্ভাবনা’ রয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফল ও কার্নির অবস্থান
কানাডার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজ স্থানীয় সময় রাত দশটা (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৩টা) বাজার কিছুক্ষণ পর পূর্বাভাস দেয় যে, মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পেতে চলেছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ১৭২টি আসন পেয়েছে কিনা, তা জানতে ভোট গণনা চলছে এবং আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ফেডারেল নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে সাক্ষীদের সামনে হাতে ব্যালট গণনা শুরু করেন। প্রাথমিক ফলাফলগুলোর ভিত্তিতে এই পূর্বাভাসগুলো দেওয়া হয়েছে।
লিবারেল নেতা মার্ক কার্নি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাই তাঁকে নতুন করে শপথ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও স্বপদে বহাল থাকবেন, যদি না কার্নি মন্ত্রিসভায় রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কার্নি একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন, তাই তিনি হয়তো আবারও মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করতে পারেন। নির্বাচনের পর পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হলে নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণ এবং স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগাম নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
এই আকস্মিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রায় এক দশক পর পদত্যাগের কয়েক মাসের মধ্যেই। দীর্ঘদিন ধরে লিবারেল পার্টির ভেতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ট্রুডোর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া তাঁকে দুর্বল করে তুলেছিল। সেই সময়ে কনজারভেটিভ পার্টি জরিপে লিবারেলদের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল, যা ট্রুডোর পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন করে তুলেছিল। এর মাঝে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার ওপর কঠিন অর্থনৈতিক শুল্ক আরোপের হুমকি এবং কানাডাকে ৫১তম মার্কিন অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার মতো মন্তব্য করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এই অবস্থায় ট্রুডো সরে দাঁড়ালে লিবারেল দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি নেতা নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ৯ দিনের মাথায় কার্নি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
কার্নির সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক হুমকি এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সৃষ্ট জাতীয় উদ্বেগ।
দ্বিতীয়ত, তিনি নিজেই সংসদ সদস্য নন, ফলে পার্লামেন্টে নিজের অবস্থান থেকে বিরোধীদের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে তিনি আগাম নির্বাচনের পথ বেছে নেন।
নির্বাচনে পাঁচটি বড় রাজনৈতিক দল থাকলেও মূল লড়াই হয়েছে লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি ও কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রের মধ্যে।
কার্নির সম্ভাব্য পদক্ষেপ ও অগ্রাধিকার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্ক কার্নির অন্যতম অগ্রাধিকার হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করা। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল এবং তারা নির্বাচনের পরেই একটি নতুন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছিলেন। পার্লামেন্ট পুনরায় বসলে লিবারেলরা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রতিকূলতার মুখে কানাডার অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দ্রুত আইন প্রণয়ন করতে পারে। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত কানাডীয়দের জন্য কর কমানোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও মূল শক্তি ও খনি প্রস্তাবনাগুলোর অনুমোদন দ্রুত করতে ‘এক প্রকল্প, এক পর্যালোচনা’ প্রক্রিয়া নিয়েও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিবারেলরা কানাডাকে ‘পরিষ্কার ও প্রচলিত শক্তি’র সুপারপাওয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চায় এবং ৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার একটি বাণিজ্য বৈচিত্র্য তহবিলে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে
যদি লিবারেল পার্টি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়, তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো তারা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে। সে ক্ষেত্রে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তবে অনাস্থা ভোটে টিকে থাকা এবং পার্লামেন্টে আইন পাস করার জন্য তাঁকে ছোট দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে।
কনজারভেটিভ পার্টির ভবিষ্যৎ
কনজারভেটিভ পার্টি আবারও হাউস অব কমন্সের বিরোধী দল গঠন করতে চলেছে। দল এবং তাদের নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রের জন্য এবারের ফলাফল মিশ্র। নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে পোলিং এজেন্সিগুলোর ধারণা, কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে তাদের ভোট শেয়ার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চলেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে দলটির সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তি। তাদের আসন সংখ্যাও ১২০টি থেকে বেড়ে ১৪৪টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে কনজারভেটিভদের জন্য কিছু তিক্ত বাস্তবতাও রয়েছে। তাদের নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রে নিজেও অন্টারিওতে নিজের আসনে হেরে যাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, এনডিপি থেকে লিবারেলদের দিকে ভোটারদের সরে যাওয়ার কারণে কনজারভেটিভদের বর্ধিত ভোট ও আসন সংখ্যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট হয়নি। কয়েক মাস আগেও যখন তাদের জয়ের স্পষ্ট পথ ছিল, তখন এই ফলাফল দলটির জন্য একটি কঠিন পরাজয়। ধারাবাহিক নির্বাচনী পরাজয়ের পর এখন তাদের ভবিষ্যতের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পোয়েলিয়েভ্রের পক্ষে দলের নেতৃত্বে টিকে থাকা কঠিন বলে মনে করছেন অনেকে।
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কানাডার কাছে থেকে সম্মান আশা করে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা আলোচনা কেবল ‘আমাদের শর্তে’ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ যখন শেষ হচ্ছিল, সেই সময়ে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্নি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তিনি কেবল তখনই ওয়াশিংটন সফর করবেন যখন কানাডার সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করার সুযোগ থাকবে।
ট্রাম্প পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি বারবার কানাডাকে আমেরিকার ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ বানানোর কথা বলেছেন, যা কানাডীয়দের ক্ষুব্ধ করেছে। কার্নি বলেন, এমন দৃশ্যকল্প ‘কখনো, কখনোই ঘটবে না’। তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি মনে করি না যে অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রেও এটা কখনো ঘটবে... পানামা হোক বা গ্রিনল্যান্ড হোক বা অন্য কোথাও।’ তবে কার্নি বলেন, যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি নিশ্চিত করতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তবে তাঁর দেশের জন্য একটি ‘উইন-উইন সম্ভাবনা’ রয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফল ও কার্নির অবস্থান
কানাডার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজ স্থানীয় সময় রাত দশটা (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৩টা) বাজার কিছুক্ষণ পর পূর্বাভাস দেয় যে, মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পেতে চলেছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ১৭২টি আসন পেয়েছে কিনা, তা জানতে ভোট গণনা চলছে এবং আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ফেডারেল নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে সাক্ষীদের সামনে হাতে ব্যালট গণনা শুরু করেন। প্রাথমিক ফলাফলগুলোর ভিত্তিতে এই পূর্বাভাসগুলো দেওয়া হয়েছে।
লিবারেল নেতা মার্ক কার্নি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাই তাঁকে নতুন করে শপথ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও স্বপদে বহাল থাকবেন, যদি না কার্নি মন্ত্রিসভায় রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় কার্নি একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন, তাই তিনি হয়তো আবারও মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করতে পারেন। নির্বাচনের পর পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হলে নতুন সদস্যদের শপথ গ্রহণ এবং স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আগাম নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
এই আকস্মিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রায় এক দশক পর পদত্যাগের কয়েক মাসের মধ্যেই। দীর্ঘদিন ধরে লিবারেল পার্টির ভেতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ট্রুডোর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া তাঁকে দুর্বল করে তুলেছিল। সেই সময়ে কনজারভেটিভ পার্টি জরিপে লিবারেলদের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল, যা ট্রুডোর পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন করে তুলেছিল। এর মাঝে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার ওপর কঠিন অর্থনৈতিক শুল্ক আরোপের হুমকি এবং কানাডাকে ৫১তম মার্কিন অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার মতো মন্তব্য করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এই অবস্থায় ট্রুডো সরে দাঁড়ালে লিবারেল দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি নেতা নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র ৯ দিনের মাথায় কার্নি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
কার্নির সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক হুমকি এবং কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সৃষ্ট জাতীয় উদ্বেগ।
দ্বিতীয়ত, তিনি নিজেই সংসদ সদস্য নন, ফলে পার্লামেন্টে নিজের অবস্থান থেকে বিরোধীদের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে তিনি আগাম নির্বাচনের পথ বেছে নেন।
নির্বাচনে পাঁচটি বড় রাজনৈতিক দল থাকলেও মূল লড়াই হয়েছে লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি ও কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রের মধ্যে।
কার্নির সম্ভাব্য পদক্ষেপ ও অগ্রাধিকার
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মার্ক কার্নির অন্যতম অগ্রাধিকার হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করা। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল এবং তারা নির্বাচনের পরেই একটি নতুন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছিলেন। পার্লামেন্ট পুনরায় বসলে লিবারেলরা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রতিকূলতার মুখে কানাডার অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দ্রুত আইন প্রণয়ন করতে পারে। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত কানাডীয়দের জন্য কর কমানোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও মূল শক্তি ও খনি প্রস্তাবনাগুলোর অনুমোদন দ্রুত করতে ‘এক প্রকল্প, এক পর্যালোচনা’ প্রক্রিয়া নিয়েও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিবারেলরা কানাডাকে ‘পরিষ্কার ও প্রচলিত শক্তি’র সুপারপাওয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চায় এবং ৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার একটি বাণিজ্য বৈচিত্র্য তহবিলে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে
যদি লিবারেল পার্টি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়, তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো তারা সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে। সে ক্ষেত্রে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তবে অনাস্থা ভোটে টিকে থাকা এবং পার্লামেন্টে আইন পাস করার জন্য তাঁকে ছোট দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে।
কনজারভেটিভ পার্টির ভবিষ্যৎ
কনজারভেটিভ পার্টি আবারও হাউস অব কমন্সের বিরোধী দল গঠন করতে চলেছে। দল এবং তাদের নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রের জন্য এবারের ফলাফল মিশ্র। নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে পোলিং এজেন্সিগুলোর ধারণা, কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে তাদের ভোট শেয়ার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চলেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে দলটির সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তি। তাদের আসন সংখ্যাও ১২০টি থেকে বেড়ে ১৪৪টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে কনজারভেটিভদের জন্য কিছু তিক্ত বাস্তবতাও রয়েছে। তাদের নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রে নিজেও অন্টারিওতে নিজের আসনে হেরে যাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, এনডিপি থেকে লিবারেলদের দিকে ভোটারদের সরে যাওয়ার কারণে কনজারভেটিভদের বর্ধিত ভোট ও আসন সংখ্যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট হয়নি। কয়েক মাস আগেও যখন তাদের জয়ের স্পষ্ট পথ ছিল, তখন এই ফলাফল দলটির জন্য একটি কঠিন পরাজয়। ধারাবাহিক নির্বাচনী পরাজয়ের পর এখন তাদের ভবিষ্যতের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পোয়েলিয়েভ্রের পক্ষে দলের নেতৃত্বে টিকে থাকা কঠিন বলে মনে করছেন অনেকে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৬ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয়তা (বিরোধী দলগুলোর দাবি) নিয়ে কংগ্রেসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই পোস্ট আবার পাকিস্তানের সাবেক এক মন্ত্রী রিশেয়ার করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছ
১০ ঘণ্টা আগে