আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘এই আদেশের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার/অধ্যায়/শাখা বা উপশাখাগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হলো।’ এতে লেবানন, মিসর ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, এসব শাখা ‘নিজেদের অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দিতে জড়িত কিংবা এসব কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ ও সমর্থন দেয়, যা তাদের নিজ অঞ্চলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হানিকর।’ কিছুদিন আগে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডকে এফটিও হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কঠোর ভাষায় করা ঘোষণা। চূড়ান্ত নথিগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।’ মার্কিন কংগ্রেস যখন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার দিকে যাচ্ছে, ঠিক তার আগেই ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করলেন।
রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার একটি বিল এগিয়ে নিচ্ছেন। রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যানও এতে সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসেও একটি বিল আনা হয়েছে, যাতে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের মধ্যে জ্যারেড মস্কোভিটস, থমাস সুওজি ও জন গটহেইমারসহ চারজন সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে আছেন।
তবে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার জন্য ট্রাম্পের নতুন আইন দরকার নেই। কারণ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ক্ষমতা ইতিমধ্যেই তাঁর রয়েছে। আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত মানদণ্ড হলো, সংগঠনটি বিদেশি হতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে হবে।
কোন ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাথান ব্রাউন মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘একেবারেই নয়।’
প্রেসিডেন্টের হাতে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা আছে নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪-এর মাধ্যমে। এই আদেশ অনুযায়ী ট্রেজারি, স্টেট ও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে ব্যবহার করে যেসব সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাদের সম্পদ জব্দ, নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণ-নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগস্টে বলেন, এফটিও তালিকাভুক্তির কাজ ‘চলমান।’
রুবিও বলেন, ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখা আছে। তাই প্রতিটিকে আলাদা করে তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ তিনি বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বর্তমানে ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখার মূল্যায়ন করছে, যা তাঁর ভাষায় ‘এই পদে না এলে এত জটিল বলে ধারণা করা যায় না।’
মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার এই উদ্যোগ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই শুরু হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের বসন্তে হোয়াইট হাউসে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই প্রচেষ্টায় আরও জোর দেন।
সে সময় তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই প্রস্তাব সমর্থন করলেও মার্কিন সরকারি আইনজীবী, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মীদের একটি বড় অংশ আপত্তি জানিয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এ মাসের শুরুতে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ঘোষণা করেছেন যে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড ও আমেরিকার মুসলমানদের বৃহত্তম নাগরিক অধিকার সংগঠন কেয়ার-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ও আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করছেন। এই ঘোষণার ফলে দুটি সংগঠনই টেক্সাস রাজ্যে জমি কেনা বা অর্জন করতে পারবে না বলে অ্যাবট জানান। এই ঘোষণায় আরও উল্লেখ আছে যে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস প্রয়োজন অনুযায়ী এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
মুসলিম ব্রাদারহুড কী?
আরব বিশ্বে মুসলিম ব্রাদারহুড সবচেয়ে বেশি পরিচিত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে, যা ইসলামি নীতি ও আইনভিত্তিক সংগঠন। ২০১১ সালের আরব বসন্তে স্বৈরশাসকদের পতনের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর সংগঠনটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। সংগঠনটি ১৯২০-এর দশকের শেষ দিকে মিসরে প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতায়।
পরে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের ও সিরিয়ার হাফিজ আল-আসাদের মতো আরব জাতীয়তাবাদী নেতারা সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ও দমন করেন। কিন্তু ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ধর্মনিরপেক্ষ, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো যখন আধুনিকায়ন ও পশ্চিমা এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে থাকে, তখন ব্রাদারহুড আবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এরপর ২০১২ সালে হোসনি মোবারক পতনের পর আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষিত নির্বাচনে মিসর প্রথম মুসলিম ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতায় আনে। সিসি তখন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ও পরে মুরসির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালে সিসি একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেন।
ব্রাদারহুডকে ঘিরে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের গভীর বিরোধ তৈরি হয়। ইউএই ও সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে এবং লিবিয়ার মতো দেশে তুরস্কের বিপক্ষে পরোক্ষ যুদ্ধ চালায়। সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কিছুটা মিলমিশ হলেও মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়টি এখনো অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। অনেক রাজতান্ত্রিক দেশ সংগঠনটিকে তাদের রাজতান্ত্রিক শাসনক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।
তবে মুরসির পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব কমে গেছে, তবে সংগঠনটি এখনো বিভিন্ন স্থানে সমর্থন ধরে রেখেছে। তিউনিসিয়ায় ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ এন-নাহদা পার্টি হয়রানি ও রাজনৈতিক দমনের মুখে পড়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও ইসলামি দুই ধারার বিরোধীদের সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা কখনো কখনো এমন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে, যাদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ দল রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারটি বলা যায়, যেখানে সৌদি-সমর্থিত ইসলাহ দল ঐতিহাসিকভাবে ব্রাদারহুডের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
যদি ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কাজ এগিয়ে নেন, সংগঠনটি ওয়াশিংটন ডিসির মার্কিন আপিল আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মুসলিম ব্রাদারহুডের কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই। বরং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়, যাদের মধ্যে আদর্শিক মিল থাকলেও সাংগঠনিক কাঠামো ঢিলেঢালা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হামাস মুসলিম ব্রাদারহুড-সংযুক্ত একটি দল, যাকে ১৯৮৭ সালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকেও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে মিসর, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সর্বশেষ জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ।

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘এই আদেশের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার/অধ্যায়/শাখা বা উপশাখাগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হলো।’ এতে লেবানন, মিসর ও জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, এসব শাখা ‘নিজেদের অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দিতে জড়িত কিংবা এসব কর্মকাণ্ডকে উৎসাহ ও সমর্থন দেয়, যা তাদের নিজ অঞ্চলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হানিকর।’ কিছুদিন আগে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডকে এফটিও হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং কঠোর ভাষায় করা ঘোষণা। চূড়ান্ত নথিগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।’ মার্কিন কংগ্রেস যখন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার দিকে যাচ্ছে, ঠিক তার আগেই ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করলেন।
রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার একটি বিল এগিয়ে নিচ্ছেন। রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যানও এতে সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসেও একটি বিল আনা হয়েছে, যাতে ডেমোক্র্যাট সদস্যদের মধ্যে জ্যারেড মস্কোভিটস, থমাস সুওজি ও জন গটহেইমারসহ চারজন সহ-উদ্যোক্তা হিসেবে আছেন।
তবে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার জন্য ট্রাম্পের নতুন আইন দরকার নেই। কারণ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ক্ষমতা ইতিমধ্যেই তাঁর রয়েছে। আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত মানদণ্ড হলো, সংগঠনটি বিদেশি হতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে হবে।
কোন ক্ষেত্রে মুসলিম ব্রাদারহুড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাথান ব্রাউন মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘একেবারেই নয়।’
প্রেসিডেন্টের হাতে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা আছে নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪-এর মাধ্যমে। এই আদেশ অনুযায়ী ট্রেজারি, স্টেট ও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে ব্যবহার করে যেসব সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাদের সম্পদ জব্দ, নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণ-নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগস্টে বলেন, এফটিও তালিকাভুক্তির কাজ ‘চলমান।’
রুবিও বলেন, ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখা আছে। তাই প্রতিটিকে আলাদা করে তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ তিনি বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বর্তমানে ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখার মূল্যায়ন করছে, যা তাঁর ভাষায় ‘এই পদে না এলে এত জটিল বলে ধারণা করা যায় না।’
মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার এই উদ্যোগ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই শুরু হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের বসন্তে হোয়াইট হাউসে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই প্রচেষ্টায় আরও জোর দেন।
সে সময় তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই প্রস্তাব সমর্থন করলেও মার্কিন সরকারি আইনজীবী, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মীদের একটি বড় অংশ আপত্তি জানিয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এ মাসের শুরুতে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ঘোষণা করেছেন যে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড ও আমেরিকার মুসলমানদের বৃহত্তম নাগরিক অধিকার সংগঠন কেয়ার-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ও আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করছেন। এই ঘোষণার ফলে দুটি সংগঠনই টেক্সাস রাজ্যে জমি কেনা বা অর্জন করতে পারবে না বলে অ্যাবট জানান। এই ঘোষণায় আরও উল্লেখ আছে যে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস প্রয়োজন অনুযায়ী এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
মুসলিম ব্রাদারহুড কী?
আরব বিশ্বে মুসলিম ব্রাদারহুড সবচেয়ে বেশি পরিচিত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে, যা ইসলামি নীতি ও আইনভিত্তিক সংগঠন। ২০১১ সালের আরব বসন্তে স্বৈরশাসকদের পতনের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর সংগঠনটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। সংগঠনটি ১৯২০-এর দশকের শেষ দিকে মিসরে প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতায়।
পরে মিসরীয় প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের ও সিরিয়ার হাফিজ আল-আসাদের মতো আরব জাতীয়তাবাদী নেতারা সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ও দমন করেন। কিন্তু ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ধর্মনিরপেক্ষ, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো যখন আধুনিকায়ন ও পশ্চিমা এজেন্ডা চাপিয়ে দিতে থাকে, তখন ব্রাদারহুড আবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এরপর ২০১২ সালে হোসনি মোবারক পতনের পর আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষিত নির্বাচনে মিসর প্রথম মুসলিম ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতায় আনে। সিসি তখন সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ও পরে মুরসির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালে সিসি একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেন।
ব্রাদারহুডকে ঘিরে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের গভীর বিরোধ তৈরি হয়। ইউএই ও সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে এবং লিবিয়ার মতো দেশে তুরস্কের বিপক্ষে পরোক্ষ যুদ্ধ চালায়। সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কিছুটা মিলমিশ হলেও মুসলিম ব্রাদারহুড বিষয়টি এখনো অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। অনেক রাজতান্ত্রিক দেশ সংগঠনটিকে তাদের রাজতান্ত্রিক শাসনক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।
তবে মুরসির পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব কমে গেছে, তবে সংগঠনটি এখনো বিভিন্ন স্থানে সমর্থন ধরে রেখেছে। তিউনিসিয়ায় ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ এন-নাহদা পার্টি হয়রানি ও রাজনৈতিক দমনের মুখে পড়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও ইসলামি দুই ধারার বিরোধীদের সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা কখনো কখনো এমন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে, যাদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড-ঘনিষ্ঠ দল রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারটি বলা যায়, যেখানে সৌদি-সমর্থিত ইসলাহ দল ঐতিহাসিকভাবে ব্রাদারহুডের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
যদি ট্রাম্প মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কাজ এগিয়ে নেন, সংগঠনটি ওয়াশিংটন ডিসির মার্কিন আপিল আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মুসলিম ব্রাদারহুডের কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই। বরং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়, যাদের মধ্যে আদর্শিক মিল থাকলেও সাংগঠনিক কাঠামো ঢিলেঢালা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হামাস মুসলিম ব্রাদারহুড-সংযুক্ত একটি দল, যাকে ১৯৮৭ সালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকেও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বর্তমানে মিসর, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সর্বশেষ জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
১৭ দিন আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
১৭ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
১৭ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের (এমবি) কিছু শাখাকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন বা ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন বা এফটিও হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার এই বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
১৭ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে