ইমরান খান

এই করোনা মহামারির মধ্যেই আজ ৪ জুলাই উদ্যাপন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশটি যে পথচলা শুরু করেছিল, তা গত প্রায় আড়াই শ বছরে শুধু স্থিতিই পায়নি, গোটা বিশ্বের মোড়লের খ্যাতিও তাকে এনে দিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছিল, ঐক্যের ভবিষ্যতের, সেই যুক্তরাষ্ট্রের নামই ২৪৫ বছর পর আজ নানা কারণে উঠে আসে বিভাজনের উদ্গাতা হিসেবে। দেশে দেশে বৈরিতা বা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার কারিগর হিসেবে যেমন, তেমনি নিজ দেশেও বিভাজনের রেখাটি গত কয়েক বছরে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
১৭৭৬ সালে প্রধান সেনাপতি জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী বিতাড়িত করার পর ওই বছরের ৪ জুলাই টমাস জেফারসন রচিত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়। আর এর মধ্য দিয়ে ১৩টি আমেরিকান উপনিবেশ একসঙ্গে স্বাধীন হয়। সেই স্বাধীন উপনিবেশগুলোই আজকের ‘যুক্তরাষ্ট্র’। সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম ভাগেই সুস্পষ্টভাবে প্রত্যেক মানুষের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা কেড়ে নেওয়া যায় না। এই অধিকারের তালিকায় কী কী আছে? আছে বেঁচে থাকার অধিকার, আছে সুখান্বেষণ ও স্বাধীনতার অধিকার। এই এক স্বাধীনতার প্রশ্নেই সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় আড়াই শতাব্দী পরও এর অনেক কিছুই কাগুজে থেকে গেল। এত দিন এটি খোলসের নিচে চাপা ছিল। কিন্তু গত বছর করোনাকালে জর্জ ফ্লয়েড যখন পুলিশি নির্যাতনে নিহত হলেন, তখনই বোঝা গেল কত অসংগতি এখনো রয়ে গেছে সবাইকে আধুনিকতা, সমানাধিকার ও গণতন্ত্র শেখানো রাষ্ট্রটির ভেতরে।
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। ১৯৬০–এর দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশটির বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট জাতিগত বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। এ তালিকায় রিচার্ড নিক্সন যেমন আছেন, তেমনি আছেন সদ্য সাবেক হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রোনাল্ড রিগানও মনে করতেন—দারিদ্র্য একটি আফ্রিকান–আমেরিকান সমস্যা। আর ট্রাম্পের কথা বলতে গেলে আঙুল ব্যথা (যেহেতু কালি ফুরোনোর কালও বিগত) হয়ে যাবে। এখানে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া এবং এই নিয়ে ‘গেল গেল’ রব ওঠার বিষয়টিও স্মরণ করা যেতে পারে।
তারপরও দু–একটি উদাহরণ তুলে দিতেই হয়। প্রথমেই এ ক্ষেত্রে দগদগে ঘা হিসেবে জর্জ ফ্লয়েডের কথা আসতে হবে। ২০২০ সালের ২৫ মে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। মিনিয়াপোলিস শহরে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শোভিনের হাঁটুর চাপে নিথর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে বারবার তিনি বলেছিলেন একটি কথা—‘আই কান্ট ব্রিদ’। এই তিনটি শব্দ সে সময় গোটা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। গোটা দুনিয়া সে সময় আক্ষরিক অর্থেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দেখছিল জর্জ ফ্লয়েডের মরে যাওয়া। দেখছিল মহাশক্তিধর ও ‘অগ্রসর’ একটি দেশের পাঁজরের গহিনে লুকিয়ে থাকা বর্ণবাদের মঞ্চায়ন। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। হ্যাঁ, শোভিনের বিচার হয়েছে। বিচারে তাঁকে সাড়ে ২২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শার্লোৎসভিল?
হয়তো এত দিনে অনেকেই ভুলে গেছেন শার্লোৎসভিলের ঘটনা। সেখানে বর্ণবাদের অভিযোগ থাকা মার্কিন জাতীয় এক নেতার ভাস্কর্য অপসারণের জন্য আন্দোলন করছিলেন কিছু মানুষ। তাদের ওপর তখন হামলা করেছিল রণসাজে সেজে আসা শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। ঘটনা এখানে থামলে চলত। এই ঘটনায় শুরুতে পুরোপুরি নীরব থাকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মুখ খুললেন, তখন তিনি প্রকারান্তরে পক্ষ নিলেন উগ্র শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীটিরই।
এটা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো শপথ নিতেই পারতেন না, যদি মার্কিন সমাজের গহিনে এই বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ লুকিয়ে না থাকত। ট্রাম্প সরাসরি বর্ণবাদী নানা মন্তব্য ও বিতর্কিত সব প্রতিশ্রুতি করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ফলে তাঁর নির্বাচিত হওয়াটাই বলে দেয় মার্কিন সমাজে এখনো কী পরিমাণ বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ রয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ ছাড়াও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিভিন্ন দেশের অভিবাসী জনগোষ্ঠী ও মুসলমানদের সম্পর্কে উসকানিমূলক বক্তব্য, অভিবাসন নিষিদ্ধকরণ, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিতর্কিত নির্বাসন নীতি গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠিন করে তোলেন। ট্রাম্পের বর্ণবাদী নীতিগুলোর বেশির ভাগই তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টা বর্ণবাদে অভিযুক্ত রাজনীতিক স্টিফেন ব্যাননের পরিকল্পনা।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, করোনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ প্রায় দেড় শ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় আটলান্টার তিনটি স্পা সেন্টারে হামলা করে আট নারীকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছয়জনই এশিয়ার। এই সময় পথে–ঘাটে এশীয় লোক দেখলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা হেনস্তা করছে বলেও গণমাধ্যমে বহু খবর এসেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয় মার্কিনরা বর্ণবিদ্বেষের মতো ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। করোনাকাল ছাড়াও মধ্য এশীয়-আমেরিকানদের প্রায়ই জাতিগত বিদ্বেষ, সহিংসতা ও ঘৃণামূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এখন পর্যন্ত ৪৬ জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি বা নির্বাচিতও হননি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে কয়েকজন অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। গেল দুবার হিলারি ক্লিনটন ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ নির্বাচনে কমলা হ্যারিস, এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রার্থীরা ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউই জায়গাটি নিতে পারেননি। হিলারি ছাড়া আর কেউ এমনকি দলীয় মনোনয়নই পাননি। এ ক্ষেত্রে ‘নারীকে ছোট করে দেখার’ অভিযোগটি বেশ জোরেশোরে উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিও বেশ শক্ত। যে কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিভিন্ন পদে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি বেশ জোরের সঙ্গে ঘোষণা করতে দেখা যায়। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, একজন বাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৪৪ বছর।
কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে। একটু উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নানা সমস্যার পেছনে অভিবাসীদের দায়ী করার প্রবণতা বেশ পুরোনো। অথচ এই অভিবাসীরা প্রতি বছর বিরাট অঙ্কের অর্থ কর হিসেবে পরিশোধ করে। দেশটির উৎপাদন সক্ষমতা, উচ্চশিক্ষাসহ বহু ক্ষেত্রেই অভিবাসীরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক সিলিকন ভ্যালির দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তাহলে যেকোনো সামাজিক বা অর্থনৈতিক সংকটে অভিবাসীদের দিকে আঙুল তোলার প্রবণতাটি কেন? উত্তর সহজ, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে না চাপলে উদো দায়মুক্ত হবে কী করে? ঠিক, প্রশাসনই সুকৌশলে এই কাজটি করে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বরাবরই একটি বলির পাঁঠা খুঁজে বের করে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরাই এই বলির পাঁঠা।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়ে গেছেন নোবেলজয়ী আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতা ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ তাঁকে অমর করে রেখেছে। মার্টিনের আন্দোলনের মূল কথাই ছিল বর্ণ, গোত্রের কারণে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন। সবাই যেন সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার পান। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মহান এই নেতাকেও প্রাণ দিতে হয়েছে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী আততায়ীর গুলিতে। প্রতি বছর কিংয়ের জন্য আলাদা একটি দিন রয়েছে। সেই দিনটিতে কিংকে স্মরণ করা হয়। নেতারা বক্তৃতা করেন। কিন্তু কিংয়ের যে স্বপ্ন, তা আজও অধরা থেকে গেছে। এমনকি এই করোনাকালে টিকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও উঠেছে বর্ণবাদের অভিযোগ। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। বহু বর্ণের মানুষের সম্মিলনে গড়ে ওঠা দেশটির হওয়ার কথা ছিল সত্যিকারের উদার এক দেশ। বাইডেন অনেক আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি সফল হোন—এটাই সবাই চায়।

এই করোনা মহামারির মধ্যেই আজ ৪ জুলাই উদ্যাপন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশটি যে পথচলা শুরু করেছিল, তা গত প্রায় আড়াই শ বছরে শুধু স্থিতিই পায়নি, গোটা বিশ্বের মোড়লের খ্যাতিও তাকে এনে দিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছিল, ঐক্যের ভবিষ্যতের, সেই যুক্তরাষ্ট্রের নামই ২৪৫ বছর পর আজ নানা কারণে উঠে আসে বিভাজনের উদ্গাতা হিসেবে। দেশে দেশে বৈরিতা বা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার কারিগর হিসেবে যেমন, তেমনি নিজ দেশেও বিভাজনের রেখাটি গত কয়েক বছরে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
১৭৭৬ সালে প্রধান সেনাপতি জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী বিতাড়িত করার পর ওই বছরের ৪ জুলাই টমাস জেফারসন রচিত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়। আর এর মধ্য দিয়ে ১৩টি আমেরিকান উপনিবেশ একসঙ্গে স্বাধীন হয়। সেই স্বাধীন উপনিবেশগুলোই আজকের ‘যুক্তরাষ্ট্র’। সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম ভাগেই সুস্পষ্টভাবে প্রত্যেক মানুষের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা কেড়ে নেওয়া যায় না। এই অধিকারের তালিকায় কী কী আছে? আছে বেঁচে থাকার অধিকার, আছে সুখান্বেষণ ও স্বাধীনতার অধিকার। এই এক স্বাধীনতার প্রশ্নেই সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় আড়াই শতাব্দী পরও এর অনেক কিছুই কাগুজে থেকে গেল। এত দিন এটি খোলসের নিচে চাপা ছিল। কিন্তু গত বছর করোনাকালে জর্জ ফ্লয়েড যখন পুলিশি নির্যাতনে নিহত হলেন, তখনই বোঝা গেল কত অসংগতি এখনো রয়ে গেছে সবাইকে আধুনিকতা, সমানাধিকার ও গণতন্ত্র শেখানো রাষ্ট্রটির ভেতরে।
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। ১৯৬০–এর দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশটির বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট জাতিগত বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। এ তালিকায় রিচার্ড নিক্সন যেমন আছেন, তেমনি আছেন সদ্য সাবেক হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রোনাল্ড রিগানও মনে করতেন—দারিদ্র্য একটি আফ্রিকান–আমেরিকান সমস্যা। আর ট্রাম্পের কথা বলতে গেলে আঙুল ব্যথা (যেহেতু কালি ফুরোনোর কালও বিগত) হয়ে যাবে। এখানে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া এবং এই নিয়ে ‘গেল গেল’ রব ওঠার বিষয়টিও স্মরণ করা যেতে পারে।
তারপরও দু–একটি উদাহরণ তুলে দিতেই হয়। প্রথমেই এ ক্ষেত্রে দগদগে ঘা হিসেবে জর্জ ফ্লয়েডের কথা আসতে হবে। ২০২০ সালের ২৫ মে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। মিনিয়াপোলিস শহরে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শোভিনের হাঁটুর চাপে নিথর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে বারবার তিনি বলেছিলেন একটি কথা—‘আই কান্ট ব্রিদ’। এই তিনটি শব্দ সে সময় গোটা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। গোটা দুনিয়া সে সময় আক্ষরিক অর্থেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দেখছিল জর্জ ফ্লয়েডের মরে যাওয়া। দেখছিল মহাশক্তিধর ও ‘অগ্রসর’ একটি দেশের পাঁজরের গহিনে লুকিয়ে থাকা বর্ণবাদের মঞ্চায়ন। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। হ্যাঁ, শোভিনের বিচার হয়েছে। বিচারে তাঁকে সাড়ে ২২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শার্লোৎসভিল?
হয়তো এত দিনে অনেকেই ভুলে গেছেন শার্লোৎসভিলের ঘটনা। সেখানে বর্ণবাদের অভিযোগ থাকা মার্কিন জাতীয় এক নেতার ভাস্কর্য অপসারণের জন্য আন্দোলন করছিলেন কিছু মানুষ। তাদের ওপর তখন হামলা করেছিল রণসাজে সেজে আসা শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। ঘটনা এখানে থামলে চলত। এই ঘটনায় শুরুতে পুরোপুরি নীরব থাকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মুখ খুললেন, তখন তিনি প্রকারান্তরে পক্ষ নিলেন উগ্র শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীটিরই।
এটা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো শপথ নিতেই পারতেন না, যদি মার্কিন সমাজের গহিনে এই বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ লুকিয়ে না থাকত। ট্রাম্প সরাসরি বর্ণবাদী নানা মন্তব্য ও বিতর্কিত সব প্রতিশ্রুতি করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ফলে তাঁর নির্বাচিত হওয়াটাই বলে দেয় মার্কিন সমাজে এখনো কী পরিমাণ বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ রয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ ছাড়াও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিভিন্ন দেশের অভিবাসী জনগোষ্ঠী ও মুসলমানদের সম্পর্কে উসকানিমূলক বক্তব্য, অভিবাসন নিষিদ্ধকরণ, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিতর্কিত নির্বাসন নীতি গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠিন করে তোলেন। ট্রাম্পের বর্ণবাদী নীতিগুলোর বেশির ভাগই তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টা বর্ণবাদে অভিযুক্ত রাজনীতিক স্টিফেন ব্যাননের পরিকল্পনা।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, করোনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ প্রায় দেড় শ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় আটলান্টার তিনটি স্পা সেন্টারে হামলা করে আট নারীকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছয়জনই এশিয়ার। এই সময় পথে–ঘাটে এশীয় লোক দেখলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা হেনস্তা করছে বলেও গণমাধ্যমে বহু খবর এসেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয় মার্কিনরা বর্ণবিদ্বেষের মতো ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। করোনাকাল ছাড়াও মধ্য এশীয়-আমেরিকানদের প্রায়ই জাতিগত বিদ্বেষ, সহিংসতা ও ঘৃণামূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এখন পর্যন্ত ৪৬ জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি বা নির্বাচিতও হননি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে কয়েকজন অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। গেল দুবার হিলারি ক্লিনটন ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ নির্বাচনে কমলা হ্যারিস, এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রার্থীরা ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউই জায়গাটি নিতে পারেননি। হিলারি ছাড়া আর কেউ এমনকি দলীয় মনোনয়নই পাননি। এ ক্ষেত্রে ‘নারীকে ছোট করে দেখার’ অভিযোগটি বেশ জোরেশোরে উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিও বেশ শক্ত। যে কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিভিন্ন পদে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি বেশ জোরের সঙ্গে ঘোষণা করতে দেখা যায়। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, একজন বাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৪৪ বছর।
কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে। একটু উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নানা সমস্যার পেছনে অভিবাসীদের দায়ী করার প্রবণতা বেশ পুরোনো। অথচ এই অভিবাসীরা প্রতি বছর বিরাট অঙ্কের অর্থ কর হিসেবে পরিশোধ করে। দেশটির উৎপাদন সক্ষমতা, উচ্চশিক্ষাসহ বহু ক্ষেত্রেই অভিবাসীরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক সিলিকন ভ্যালির দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তাহলে যেকোনো সামাজিক বা অর্থনৈতিক সংকটে অভিবাসীদের দিকে আঙুল তোলার প্রবণতাটি কেন? উত্তর সহজ, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে না চাপলে উদো দায়মুক্ত হবে কী করে? ঠিক, প্রশাসনই সুকৌশলে এই কাজটি করে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বরাবরই একটি বলির পাঁঠা খুঁজে বের করে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরাই এই বলির পাঁঠা।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়ে গেছেন নোবেলজয়ী আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতা ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ তাঁকে অমর করে রেখেছে। মার্টিনের আন্দোলনের মূল কথাই ছিল বর্ণ, গোত্রের কারণে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন। সবাই যেন সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার পান। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মহান এই নেতাকেও প্রাণ দিতে হয়েছে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী আততায়ীর গুলিতে। প্রতি বছর কিংয়ের জন্য আলাদা একটি দিন রয়েছে। সেই দিনটিতে কিংকে স্মরণ করা হয়। নেতারা বক্তৃতা করেন। কিন্তু কিংয়ের যে স্বপ্ন, তা আজও অধরা থেকে গেছে। এমনকি এই করোনাকালে টিকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও উঠেছে বর্ণবাদের অভিযোগ। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। বহু বর্ণের মানুষের সম্মিলনে গড়ে ওঠা দেশটির হওয়ার কথা ছিল সত্যিকারের উদার এক দেশ। বাইডেন অনেক আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি সফল হোন—এটাই সবাই চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
২ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
‘ওবারফেল বনাম হজেস’ নামে পরিচিত ওই মামলার নথি থেকে জানা যায়, কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিস ২০১৫ সালে এক সমলিঙ্গ দম্পতির বিবাহের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দম্পতি মামলা করলে সুপ্রিম কোর্ট কিম ডেভিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ ও আইনজীবীর ফি পরিশোধের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের সভাপতি কেলি রবিনসন আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্যদের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
২০১৫ সালে কিম ডেভিস দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন কেনটাকির রোয়ান কাউন্টিতে সমলিঙ্গ দম্পতিদের বিবাহ লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে। তিনি দাবি করেন, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তিনি আদালতের নির্দেশ মানতে পারছেন না।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর অফিসের অন্য কর্মীরা তাঁর অনুপস্থিতিতে লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কেনটাকি রাজ্য একটি আইন পাস করে, যাতে রাজ্যের সব কোর্ট ক্লার্কের নাম বিবাহ লাইসেন্স দেওয়ার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে।
০৪ জুলাই ২০২১
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
২ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
নিচে দিল্লিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিস্ফোরণের ঘটনার একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো—
৯ জানুয়ারি ১৯৯৭: দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বিপরীতে আইটিও এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়।
১ অক্টোবর ১৯৯৭: সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দুটি বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়।
১০ অক্টোবর ১৯৯৭: শান্তিবন, কৌরিয়া পুল ও কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিন দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।
১৮ অক্টোবর ১৯৯৭: রানীবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়।
২৬ অক্টোবর ১৯৯৭: করোলবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।
৩০ নভেম্বর ১৯৯৭: লাল কেল্লা এলাকার দুই দফা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭: পাঞ্জাবিবাগ এলাকায় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
২৬ জুলাই ১৯৯৮: কাশ্মীরি গেট আইএসবিটিতে (ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাল) পার্ক করা বাসে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।
১৮ জুন ২০০০: লাল কেল্লার কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়।
২২ মে ২০০৫: দিল্লির দুটি সিনেমা হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়।
২৯ অক্টোবর ২০০৫: দিল্লির সরোজিনী নগর, পাহারগঞ্জ বাজার এবং গোবিন্দপুরীর একটি বাসে তিন দফা বিস্ফোরণে ৫৯ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০০৬: পুরান দিল্লির জামা মসজিদ প্রাঙ্গণে দুটি বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: রাজধানীর কনট প্লেস, করোলবাগের ঘাফফার মার্কেট এবং গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ দফা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮: মেহরাউলি ফুল মার্কেটে কম তীব্রতার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়।
২৫ মে ২০১১: দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ছোট আকারের একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
এটি ১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
নিচে দিল্লিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিস্ফোরণের ঘটনার একটি সময়রেখা তুলে ধরা হলো—
৯ জানুয়ারি ১৯৯৭: দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বিপরীতে আইটিও এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে ৫০ জন আহত হয়।
১ অক্টোবর ১৯৯৭: সদর বাজার এলাকায় একটি শোভাযাত্রার কাছে দুটি বিস্ফোরণে ৩০ জন আহত হয়।
১০ অক্টোবর ১৯৯৭: শান্তিবন, কৌরিয়া পুল ও কিংসওয়ে ক্যাম্প এলাকায় তিন দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।
১৮ অক্টোবর ১৯৯৭: রানীবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়।
২৬ অক্টোবর ১৯৯৭: করোলবাগ বাজারে দুই দফা বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।
৩০ নভেম্বর ১৯৯৭: লাল কেল্লা এলাকার দুই দফা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭: পাঞ্জাবিবাগ এলাকায় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
২৬ জুলাই ১৯৯৮: কাশ্মীরি গেট আইএসবিটিতে (ইন্টার-স্টেট বাস টার্মিনাল) পার্ক করা বাসে বিস্ফোরণে ২ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।
১৮ জুন ২০০০: লাল কেল্লার কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২ জন নিহত এবং এক ডজনের বেশি আহত হয়।
২২ মে ২০০৫: দিল্লির দুটি সিনেমা হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়।
২৯ অক্টোবর ২০০৫: দিল্লির সরোজিনী নগর, পাহারগঞ্জ বাজার এবং গোবিন্দপুরীর একটি বাসে তিন দফা বিস্ফোরণে ৫৯ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০০৬: পুরান দিল্লির জামা মসজিদ প্রাঙ্গণে দুটি বিস্ফোরণে ১৪ জন আহত হয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: রাজধানীর কনট প্লেস, করোলবাগের ঘাফফার মার্কেট এবং গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে পাঁচ দফা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮: মেহরাউলি ফুল মার্কেটে কম তীব্রতার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়।
২৫ মে ২০১১: দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে গাড়ি পার্কিং এলাকায় ছোট আকারের একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে।
০৪ জুলাই ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
২ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
এই ভোটে সরকারের জোটসঙ্গীদের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের দুই সদস্য ভিন্নমত দিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। ভোটাভুটির আগে বিরোধী বেঞ্চে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; তারা বিলের কপি ছিঁড়ে আইনমন্ত্রীর টেবিলের দিকে ছুড়ে দেন এবং ‘গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে’ স্লোগান তুলতে থাকেন।
বিক্ষোভ শেষে বেশিরভাগ বিরোধী সদস্য সিনেট চেম্বার থেকে ওয়াকআউট করেন, ফলে বিলটি পাসে আর কোনো বাধা থাকেনি।
বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, আর অধিবেশন পরিচালনা করেন সিনেট চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ রজা গিলানি। ধারা-ধারাভিত্তিক ভোটের পর প্রোটোকল অনুযায়ী সিনেটের প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি হবে, কার্যকর ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে।
সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট উপাধি আজীবন বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের’ সুপারিশে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার নিয়োগ দেবেন।
‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ নামে নতুন আদালত গঠন হবে।
আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের কিছু এখতিয়ার নতুন আদালতে স্থানান্তর হবে।
রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি দায়মুক্তি পাবেন।
বিতর্কিত ধারাগুলো ও কমিটির প্রস্তাব
আইন ও বিচারবিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির (যা বিরোধী দল বয়কট করে) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিলটিতে কয়েকটি ছোট সংশোধন আনা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর ফারুক এইচ. নাইক জানান, প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকেও একজন সদস্য যুক্ত হবেন।
কমিটি অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল, হাইকোর্টে পাঁচ বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরাই এ আদালতে মনোনীত হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে কেউ নিয়োগ পেলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো— সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ড মার্শাল পদ অন্তর্ভুক্ত করা। এর ফলে তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ তারকা জেনারেলের পদ সৃষ্টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হলে। সংশোধনীর ফলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সর্বেসর্বা ক্ষমতার অধিকারী হলেন।
পিটিআই থেকে সাইফুল্লাহ আবরোর নাটকীয় পদত্যাগ
বিল পাসের পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনেটর সাইফুল্লাহ আবরো নিজের আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সৈয়দ জেনারেল আসিম মুনিরের জন্যই ভোট দিয়েছি। তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে জাতিকে গর্বিত করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, ২৬তম সংশোধনের সময় তাঁর পরিবারের ১০ সদস্য অপহৃত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দল কোনো সহায়তা দেয়নি। পদত্যাগের পর সিনেট চেয়ারম্যান গিলানি বলেন, ‘আমরা আপনাকে আবার সিনেটর করব।’
‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে দাবি সরকারের
বিল পাস হওয়ার পর উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার একে ‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ২০০৬ সালের চার্টার অব ডেমোক্রেসির অসমাপ্ত এজেন্ডা। বিচার বিভাগের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে সাংবিধানিক আদালত গঠন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
দার আরও বলেন, ‘ফিল্ড মার্শালের পদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো এখন আরও স্পষ্ট হলো। এতে বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়রিটি বা প্রধান বিচারপতির অবস্থানে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
বিরোধীদের ক্ষোভ
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই সংশোধনের বিরোধিতা করব, কারণ কেউই—যে-ই হোক—আইন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। যদি কেউ অপরাধ করে, সে প্রেসিডেন্ট হোক বা গভর্নর, তার বিচার হওয়া উচিত।’
তবে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই রাষ্ট্রপ্রধানরা নির্দিষ্ট পরিমাণ দায়মুক্তি ভোগ করেন। এটি কোনো ব্যতিক্রম নয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই সংশোধনটি সুশাসন, প্রাদেশিক ভারসাম্য এবং প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা
বিল অনুযায়ী, নবগঠিত সাংবিধানিক আদালতও সুপ্রিম কোর্টের মতো সুয়োমোটো (নিজ উদ্যোগে মামলা নেওয়ার) ক্ষমতা রাখবে, তবে তা প্রয়োগের আগে আদালত যাচাই করবে যে আবেদনটি ন্যায্য ও প্রয়োজনীয় কিনা।
বিচারক বদলির নতুন নিয়ম
এখন থেকে একজন বিচারককে এক হাইকোর্ট থেকে অন্য হাইকোর্টে বদলি করা যাবে শুধুমাত্র জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপে) মাধ্যমে, যেখানে নির্বাহী, বিচার বিভাগ, সংসদ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি থাকবেন।
সাংবিধানিক সংশোধনের প্রেক্ষাপট
একটি সাংবিধানিক সংশোধন পাসের জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। ৯৬ সদস্যের সিনেটে অন্তত ৬৪ ভোট লাগত, যা সরকার পেয়েছে। বিলটি এখন জাতীয় পরিষদে যাবে, যেখানে সরকারী জোটের মোট ২৩৩ আসন থাকায় এটি পাস হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিলটি শনিবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সিনেটে উত্থাপন করা হয়। এতে প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিল — ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন এবং ফিল্ড মার্শালের পদকে সংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সিদ্ধান্ত
বিলে প্রধানমন্ত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আইনের আদালত ও জনগণের আদালত উভয়ের কাছেই জবাবদিহি থাকতে হবে।’
তিনি জোটসঙ্গীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশের স্বার্থে, প্রাদেশিক সম্প্রীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
এই ভোটে সরকারের জোটসঙ্গীদের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের দুই সদস্য ভিন্নমত দিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। ভোটাভুটির আগে বিরোধী বেঞ্চে প্রবল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; তারা বিলের কপি ছিঁড়ে আইনমন্ত্রীর টেবিলের দিকে ছুড়ে দেন এবং ‘গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে’ স্লোগান তুলতে থাকেন।
বিক্ষোভ শেষে বেশিরভাগ বিরোধী সদস্য সিনেট চেম্বার থেকে ওয়াকআউট করেন, ফলে বিলটি পাসে আর কোনো বাধা থাকেনি।
বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার, আর অধিবেশন পরিচালনা করেন সিনেট চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ রজা গিলানি। ধারা-ধারাভিত্তিক ভোটের পর প্রোটোকল অনুযায়ী সিনেটের প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি হবে, কার্যকর ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে।
সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স, অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট উপাধি আজীবন বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের’ সুপারিশে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার নিয়োগ দেবেন।
‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ নামে নতুন আদালত গঠন হবে।
আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের কিছু এখতিয়ার নতুন আদালতে স্থানান্তর হবে।
রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি দায়মুক্তি পাবেন।
বিতর্কিত ধারাগুলো ও কমিটির প্রস্তাব
আইন ও বিচারবিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির (যা বিরোধী দল বয়কট করে) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিলটিতে কয়েকটি ছোট সংশোধন আনা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর ফারুক এইচ. নাইক জানান, প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আদালতে সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকেও একজন সদস্য যুক্ত হবেন।
কমিটি অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল, হাইকোর্টে পাঁচ বছর বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরাই এ আদালতে মনোনীত হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে কেউ নিয়োগ পেলে তাঁর জ্যেষ্ঠতা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো— সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ড মার্শাল পদ অন্তর্ভুক্ত করা। এর ফলে তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ তারকা জেনারেলের পদ সৃষ্টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হলে। সংশোধনীর ফলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির সর্বেসর্বা ক্ষমতার অধিকারী হলেন।
পিটিআই থেকে সাইফুল্লাহ আবরোর নাটকীয় পদত্যাগ
বিল পাসের পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সিনেটর সাইফুল্লাহ আবরো নিজের আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সৈয়দ জেনারেল আসিম মুনিরের জন্যই ভোট দিয়েছি। তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে জাতিকে গর্বিত করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, ২৬তম সংশোধনের সময় তাঁর পরিবারের ১০ সদস্য অপহৃত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দল কোনো সহায়তা দেয়নি। পদত্যাগের পর সিনেট চেয়ারম্যান গিলানি বলেন, ‘আমরা আপনাকে আবার সিনেটর করব।’
‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে দাবি সরকারের
বিল পাস হওয়ার পর উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার একে ‘ঐতিহাসিক বিল’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ২০০৬ সালের চার্টার অব ডেমোক্রেসির অসমাপ্ত এজেন্ডা। বিচার বিভাগের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে সাংবিধানিক আদালত গঠন অত্যন্ত জরুরি ছিল।’
দার আরও বলেন, ‘ফিল্ড মার্শালের পদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সামরিক নেতৃত্বের কাঠামো এখন আরও স্পষ্ট হলো। এতে বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়রিটি বা প্রধান বিচারপতির অবস্থানে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
বিরোধীদের ক্ষোভ
পিটিআই সিনেটর আলি জাফর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই সংশোধনের বিরোধিতা করব, কারণ কেউই—যে-ই হোক—আইন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। যদি কেউ অপরাধ করে, সে প্রেসিডেন্ট হোক বা গভর্নর, তার বিচার হওয়া উচিত।’
তবে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই রাষ্ট্রপ্রধানরা নির্দিষ্ট পরিমাণ দায়মুক্তি ভোগ করেন। এটি কোনো ব্যতিক্রম নয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, এই সংশোধনটি সুশাসন, প্রাদেশিক ভারসাম্য এবং প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
সাংবিধানিক আদালতের ক্ষমতা
বিল অনুযায়ী, নবগঠিত সাংবিধানিক আদালতও সুপ্রিম কোর্টের মতো সুয়োমোটো (নিজ উদ্যোগে মামলা নেওয়ার) ক্ষমতা রাখবে, তবে তা প্রয়োগের আগে আদালত যাচাই করবে যে আবেদনটি ন্যায্য ও প্রয়োজনীয় কিনা।
বিচারক বদলির নতুন নিয়ম
এখন থেকে একজন বিচারককে এক হাইকোর্ট থেকে অন্য হাইকোর্টে বদলি করা যাবে শুধুমাত্র জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপে) মাধ্যমে, যেখানে নির্বাহী, বিচার বিভাগ, সংসদ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি থাকবেন।
সাংবিধানিক সংশোধনের প্রেক্ষাপট
একটি সাংবিধানিক সংশোধন পাসের জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। ৯৬ সদস্যের সিনেটে অন্তত ৬৪ ভোট লাগত, যা সরকার পেয়েছে। বিলটি এখন জাতীয় পরিষদে যাবে, যেখানে সরকারী জোটের মোট ২৩৩ আসন থাকায় এটি পাস হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিলটি শনিবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সিনেটে উত্থাপন করা হয়। এতে প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিল — ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন এবং ফিল্ড মার্শালের পদকে সংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সিদ্ধান্ত
বিলে প্রধানমন্ত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আইনের আদালত ও জনগণের আদালত উভয়ের কাছেই জবাবদিহি থাকতে হবে।’
তিনি জোটসঙ্গীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশের স্বার্থে, প্রাদেশিক সম্প্রীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে।
০৪ জুলাই ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
২ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর একটি। অন্যান্য দিনের মতো আজকেও অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল লালকেল্লার সামনে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে আছে অনেক গাড়ি। কিন্তু ছোট একটি গাড়ি ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। ওই গাড়িতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সত্যেশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙাচুড়া গাড়ি, ছিন্নভিন্ন লাশ এবং রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরা।
গোলচা আরও জানান, ফরেনসিক দল, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁকে প্রতিনিয়ত আপডেট জানানো হচ্ছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি চিফ এ কে মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, বিস্ফোরণের পর যে আগুন লেগেছিল, তা সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।
ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, আগুনে ছয়টি গাড়ি, দুটি ই-রিকশা ও একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদনি চক ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ভরগবের দোকান। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো ভবন কেঁপে উঠেছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারায় ছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। শব্দটা এতটাই জোরে ছিল, আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
এ ঘটনার পর দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে।
০৪ জুলাই ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশজুড়ে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার রায় বাতিলের একটি আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার আদালত কোনো মন্তব্য না করেই কেনটাকির সাবেক কোর্ট ক্লার্ক কিম ডেভিসের করা আবেদন খারিজ করে দেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের পর থেকে লাল কেল্লা এলাকায় ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় বিস্ফোরণ। ভারতের রাজধানী দিল্লি গত দুই দশকে বহুবার ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছে। কখনো জনাকীর্ণ বাজার, কখনো আদালত এলাকা—সব জায়গাতেই ভয় ছড়িয়েছে এসব বিস্ফোরণ।
২ ঘণ্টা আগে
তুমুল হট্টগোল, স্লোগান, কাগজ ছোড়া ও ওয়াকআউটের মধ্যে পাকিস্তান সিনেটে সোমবার পাস হয়েছে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল। মোট ৯৬ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষে ৬৪ জন সিনেটর বিলটির পক্ষে ভোট দেন, ফলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিলটি সহজেই গৃহীত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে