
গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর গেটস ফাউন্ডেশন ত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মেলিন্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মেলিন্ডা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গর্ভনিরোধকের উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তবে ডবস-পরবর্তী সময়ে আমি নিজ দেশে এ বিষয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করি।’
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের অপ-এডে এ কথা জানিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অর্থের অভাবে থাকা যে সংগঠনগুলো নারীর অধিকারের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে, আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। আমি একবার হলেও তাদের সাহায্য করতে চাই।’
বিশ্বের অন্যতম ধনী ও শীর্ষ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে ফ্রেঞ্চ গেটস এ মাসের শুরুর দিকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানান, ৭ জুনই হবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকা দাতব্য সংস্থাটিতে তাঁর শেষ দিন। তিনি জানান, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে গেটস ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার (১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) তিনি জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যয় করবেন।
গতকাল তিনি এ বিষয়ে তাঁর নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, তিনি তাঁর সংস্থা পিভোটাল ভেঞ্চারসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ২০২৬ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার (১ বিলিয়ন ডলার) দান করবেন। এতে নারীর প্রজনন অধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোকে অনুদান দেবেন ২০ কোটি ডলার (২০০ মিলিয়ন ডলার)।
এর মধ্যে রয়েছেন ‘দ্য নাইটিন্থ’ নামের এক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা—যারা লিঙ্গ নীতির ওপর প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করে। কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এমিলি র্যামশ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘কখনো কখনো স্বপ্ন সত্যি হয়।’ র্যামশ কোম্পানির ওয়েবসাইটে এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘এই সমর্থন আমাদের রাজনীতি ও নীতির প্রচারণাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের শ্রোতা ও ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ভিত্তি স্থাপন করবে।’
অনুদানের অন্তর্ভুক্ত দ্য ইনস্টিটিউট ফর উইমেনস পলিসি রিসার্চ নামের আরেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, গেটসের অনুদান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লৈঙ্গিক ব্যবধানকে সংকুচিত করে তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
আইডব্লিউপিআর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. জামিলা টেলর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের কাছ থেকে এই সমর্থন পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে, তাদের মধ্যে মেলিন্ডা একজন সত্যিকারের অগ্রগামী।’
ফ্রেঞ্চ গেটস নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে ২৫ কোটি ডলার (২৫০ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেবেন। ফ্রেঞ্চ গেটস আরও বলেছেন, তিনি ১২ জন আইনজীবী এবং প্রভাবশালী নেতাদের একটি গ্রুপকে মোট ২৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবেন (প্রত্যেকের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার) যাতে তারা তাদের সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে পারে।
গেটস জানান, তাঁর সেই দলে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনজীবী অ্যালিসন ফেলিক্স এবং আফগান নারী শিক্ষা কর্মী শাবানা বাসিজ-রাসিখ।
ফ্রেঞ্চ গেটস তার অপ-এডিতে বলেন, ‘সহযোগিতার এই বিস্তৃত পরিসরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে আমি অভিনব কৌশল নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অদূরদর্শিতা তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি আমেরিকার উচ্চ মাতৃমৃত্যুর হারকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুদানের শতকরা মাত্র ২ শতাংশ যায় নারী ও মেয়েদের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে তিনি বলেন, নারী স্বাস্থ্যে এই বিনিয়োগ বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।
তাঁর অপ-এডিতে মেলিন্ডা বলেছেন, গেটস ফাউন্ডেশনে তাঁকে একবার বলা হয়েছিল, অন্য কেউ নির্ধারণের আগেই যেন তিনি (মেলিন্ডা) সেখানে নিজের আজেন্ডা নির্ধারণ করেন। সে কারণেই তিনি গেটস ফাউন্ডেশন ছাড়ার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এই অসাধারণ সুযোগটি পেয়েছি, তাই নারীদের সাহায্য করবে এবং তাদেরও নিজেদের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণে সহায়তা করবে এমন নীতি গ্রহণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর গেটস ফাউন্ডেশন ত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মেলিন্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মেলিন্ডা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গর্ভনিরোধকের উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তবে ডবস-পরবর্তী সময়ে আমি নিজ দেশে এ বিষয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করি।’
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের অপ-এডে এ কথা জানিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অর্থের অভাবে থাকা যে সংগঠনগুলো নারীর অধিকারের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে, আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। আমি একবার হলেও তাদের সাহায্য করতে চাই।’
বিশ্বের অন্যতম ধনী ও শীর্ষ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে ফ্রেঞ্চ গেটস এ মাসের শুরুর দিকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানান, ৭ জুনই হবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকা দাতব্য সংস্থাটিতে তাঁর শেষ দিন। তিনি জানান, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে গেটস ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার (১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) তিনি জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যয় করবেন।
গতকাল তিনি এ বিষয়ে তাঁর নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, তিনি তাঁর সংস্থা পিভোটাল ভেঞ্চারসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ২০২৬ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার (১ বিলিয়ন ডলার) দান করবেন। এতে নারীর প্রজনন অধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোকে অনুদান দেবেন ২০ কোটি ডলার (২০০ মিলিয়ন ডলার)।
এর মধ্যে রয়েছেন ‘দ্য নাইটিন্থ’ নামের এক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা—যারা লিঙ্গ নীতির ওপর প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করে। কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এমিলি র্যামশ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘কখনো কখনো স্বপ্ন সত্যি হয়।’ র্যামশ কোম্পানির ওয়েবসাইটে এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘এই সমর্থন আমাদের রাজনীতি ও নীতির প্রচারণাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের শ্রোতা ও ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ভিত্তি স্থাপন করবে।’
অনুদানের অন্তর্ভুক্ত দ্য ইনস্টিটিউট ফর উইমেনস পলিসি রিসার্চ নামের আরেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, গেটসের অনুদান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লৈঙ্গিক ব্যবধানকে সংকুচিত করে তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
আইডব্লিউপিআর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. জামিলা টেলর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের কাছ থেকে এই সমর্থন পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে, তাদের মধ্যে মেলিন্ডা একজন সত্যিকারের অগ্রগামী।’
ফ্রেঞ্চ গেটস নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে ২৫ কোটি ডলার (২৫০ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেবেন। ফ্রেঞ্চ গেটস আরও বলেছেন, তিনি ১২ জন আইনজীবী এবং প্রভাবশালী নেতাদের একটি গ্রুপকে মোট ২৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবেন (প্রত্যেকের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার) যাতে তারা তাদের সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে পারে।
গেটস জানান, তাঁর সেই দলে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনজীবী অ্যালিসন ফেলিক্স এবং আফগান নারী শিক্ষা কর্মী শাবানা বাসিজ-রাসিখ।
ফ্রেঞ্চ গেটস তার অপ-এডিতে বলেন, ‘সহযোগিতার এই বিস্তৃত পরিসরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে আমি অভিনব কৌশল নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অদূরদর্শিতা তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি আমেরিকার উচ্চ মাতৃমৃত্যুর হারকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুদানের শতকরা মাত্র ২ শতাংশ যায় নারী ও মেয়েদের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে তিনি বলেন, নারী স্বাস্থ্যে এই বিনিয়োগ বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।
তাঁর অপ-এডিতে মেলিন্ডা বলেছেন, গেটস ফাউন্ডেশনে তাঁকে একবার বলা হয়েছিল, অন্য কেউ নির্ধারণের আগেই যেন তিনি (মেলিন্ডা) সেখানে নিজের আজেন্ডা নির্ধারণ করেন। সে কারণেই তিনি গেটস ফাউন্ডেশন ছাড়ার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এই অসাধারণ সুযোগটি পেয়েছি, তাই নারীদের সাহায্য করবে এবং তাদেরও নিজেদের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণে সহায়তা করবে এমন নীতি গ্রহণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর গেটস ফাউন্ডেশন ত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মেলিন্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মেলিন্ডা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গর্ভনিরোধকের উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তবে ডবস-পরবর্তী সময়ে আমি নিজ দেশে এ বিষয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করি।’
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের অপ-এডে এ কথা জানিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অর্থের অভাবে থাকা যে সংগঠনগুলো নারীর অধিকারের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে, আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। আমি একবার হলেও তাদের সাহায্য করতে চাই।’
বিশ্বের অন্যতম ধনী ও শীর্ষ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে ফ্রেঞ্চ গেটস এ মাসের শুরুর দিকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানান, ৭ জুনই হবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকা দাতব্য সংস্থাটিতে তাঁর শেষ দিন। তিনি জানান, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে গেটস ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার (১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) তিনি জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যয় করবেন।
গতকাল তিনি এ বিষয়ে তাঁর নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, তিনি তাঁর সংস্থা পিভোটাল ভেঞ্চারসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ২০২৬ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার (১ বিলিয়ন ডলার) দান করবেন। এতে নারীর প্রজনন অধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোকে অনুদান দেবেন ২০ কোটি ডলার (২০০ মিলিয়ন ডলার)।
এর মধ্যে রয়েছেন ‘দ্য নাইটিন্থ’ নামের এক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা—যারা লিঙ্গ নীতির ওপর প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করে। কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এমিলি র্যামশ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘কখনো কখনো স্বপ্ন সত্যি হয়।’ র্যামশ কোম্পানির ওয়েবসাইটে এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘এই সমর্থন আমাদের রাজনীতি ও নীতির প্রচারণাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের শ্রোতা ও ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ভিত্তি স্থাপন করবে।’
অনুদানের অন্তর্ভুক্ত দ্য ইনস্টিটিউট ফর উইমেনস পলিসি রিসার্চ নামের আরেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, গেটসের অনুদান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লৈঙ্গিক ব্যবধানকে সংকুচিত করে তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
আইডব্লিউপিআর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. জামিলা টেলর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের কাছ থেকে এই সমর্থন পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে, তাদের মধ্যে মেলিন্ডা একজন সত্যিকারের অগ্রগামী।’
ফ্রেঞ্চ গেটস নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে ২৫ কোটি ডলার (২৫০ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেবেন। ফ্রেঞ্চ গেটস আরও বলেছেন, তিনি ১২ জন আইনজীবী এবং প্রভাবশালী নেতাদের একটি গ্রুপকে মোট ২৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবেন (প্রত্যেকের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার) যাতে তারা তাদের সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে পারে।
গেটস জানান, তাঁর সেই দলে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনজীবী অ্যালিসন ফেলিক্স এবং আফগান নারী শিক্ষা কর্মী শাবানা বাসিজ-রাসিখ।
ফ্রেঞ্চ গেটস তার অপ-এডিতে বলেন, ‘সহযোগিতার এই বিস্তৃত পরিসরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে আমি অভিনব কৌশল নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অদূরদর্শিতা তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি আমেরিকার উচ্চ মাতৃমৃত্যুর হারকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুদানের শতকরা মাত্র ২ শতাংশ যায় নারী ও মেয়েদের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে তিনি বলেন, নারী স্বাস্থ্যে এই বিনিয়োগ বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।
তাঁর অপ-এডিতে মেলিন্ডা বলেছেন, গেটস ফাউন্ডেশনে তাঁকে একবার বলা হয়েছিল, অন্য কেউ নির্ধারণের আগেই যেন তিনি (মেলিন্ডা) সেখানে নিজের আজেন্ডা নির্ধারণ করেন। সে কারণেই তিনি গেটস ফাউন্ডেশন ছাড়ার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এই অসাধারণ সুযোগটি পেয়েছি, তাই নারীদের সাহায্য করবে এবং তাদেরও নিজেদের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণে সহায়তা করবে এমন নীতি গ্রহণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর গেটস ফাউন্ডেশন ত্যাগের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মেলিন্ডা। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মেলিন্ডা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গর্ভনিরোধকের উন্নতির জন্য কাজ করেছি। তবে ডবস-পরবর্তী সময়ে আমি নিজ দেশে এ বিষয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করি।’
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের অপ-এডে এ কথা জানিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অর্থের অভাবে থাকা যে সংগঠনগুলো নারীর অধিকারের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে, আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। আমি একবার হলেও তাদের সাহায্য করতে চাই।’
বিশ্বের অন্যতম ধনী ও শীর্ষ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে ফ্রেঞ্চ গেটস এ মাসের শুরুর দিকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানান, ৭ জুনই হবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকা দাতব্য সংস্থাটিতে তাঁর শেষ দিন। তিনি জানান, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের চুক্তির অংশ হিসেবে গেটস ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার (১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) তিনি জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নারী ও মেয়েদের উন্নয়নে ব্যয় করবেন।
গতকাল তিনি এ বিষয়ে তাঁর নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, তিনি তাঁর সংস্থা পিভোটাল ভেঞ্চারসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ২০২৬ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলার (১ বিলিয়ন ডলার) দান করবেন। এতে নারীর প্রজনন অধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোকে অনুদান দেবেন ২০ কোটি ডলার (২০০ মিলিয়ন ডলার)।
এর মধ্যে রয়েছেন ‘দ্য নাইটিন্থ’ নামের এক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা—যারা লিঙ্গ নীতির ওপর প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করে। কোম্পানিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এমিলি র্যামশ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘কখনো কখনো স্বপ্ন সত্যি হয়।’ র্যামশ কোম্পানির ওয়েবসাইটে এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘এই সমর্থন আমাদের রাজনীতি ও নীতির প্রচারণাকে শক্তিশালী করবে। আমাদের শ্রোতা ও ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ভিত্তি স্থাপন করবে।’
অনুদানের অন্তর্ভুক্ত দ্য ইনস্টিটিউট ফর উইমেনস পলিসি রিসার্চ নামের আরেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, গেটসের অনুদান যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লৈঙ্গিক ব্যবধানকে সংকুচিত করে তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
আইডব্লিউপিআর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. জামিলা টেলর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের কাছ থেকে এই সমর্থন পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে, তাদের মধ্যে মেলিন্ডা একজন সত্যিকারের অগ্রগামী।’
ফ্রেঞ্চ গেটস নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে ২৫ কোটি ডলার (২৫০ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেবেন। ফ্রেঞ্চ গেটস আরও বলেছেন, তিনি ১২ জন আইনজীবী এবং প্রভাবশালী নেতাদের একটি গ্রুপকে মোট ২৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবেন (প্রত্যেকের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার) যাতে তারা তাদের সংগঠনগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে পারে।
গেটস জানান, তাঁর সেই দলে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনজীবী অ্যালিসন ফেলিক্স এবং আফগান নারী শিক্ষা কর্মী শাবানা বাসিজ-রাসিখ।
ফ্রেঞ্চ গেটস তার অপ-এডিতে বলেন, ‘সহযোগিতার এই বিস্তৃত পরিসরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে আমি অভিনব কৌশল নিয়ে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অদূরদর্শিতা তাঁকে হতাশ করেছে। তিনি আমেরিকার উচ্চ মাতৃমৃত্যুর হারকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুদানের শতকরা মাত্র ২ শতাংশ যায় নারী ও মেয়েদের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে তিনি বলেন, নারী স্বাস্থ্যে এই বিনিয়োগ বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।
তাঁর অপ-এডিতে মেলিন্ডা বলেছেন, গেটস ফাউন্ডেশনে তাঁকে একবার বলা হয়েছিল, অন্য কেউ নির্ধারণের আগেই যেন তিনি (মেলিন্ডা) সেখানে নিজের আজেন্ডা নির্ধারণ করেন। সে কারণেই তিনি গেটস ফাউন্ডেশন ছাড়ার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এই অসাধারণ সুযোগটি পেয়েছি, তাই নারীদের সাহায্য করবে এবং তাদেরও নিজেদের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণে সহায়তা করবে এমন নীতি গ্রহণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে
২৯ মে ২০২৪
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে
২৯ মে ২০২৪
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১১ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে
২৯ মে ২০২৪
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহুল আলোচিত ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের ২১টি, ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটিসহ ২৫টি অভিযোগের সবকটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অবৈধভাবে ২২০ কোটি রিঙ্গিত (প্রায় ৫৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এর আগে নাজিব দাবি করেছিলেন, তিনি পলাতক অর্থদাতা জো লোর প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বিচারক স্পষ্ট করেছেন, জো লো ও নাজিবের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং জো লো নাজিবের ছায়া বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে আত্মসাৎ করা অর্থ সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে পাওয়ার যে প্রমাণ নাজিব দিয়েছিলেন, তা-ও আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি অভিযোগের জন্য নাজিবের ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সাজা কত বছর হবে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ রায় মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোট সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম শরিক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নাজিবের সব অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া ইউএমএনওর কট্টর সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করতে পারে, যা সরকারের স্থায়িত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেমস চাই আল-জাজিরাকে বলেন, এ রায় মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এক বড় প্রমাণ। তবে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ইতিহাস
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজাব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়।
সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় ৭৬ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। যদিও নাজিব রাজাক গত বছর এই কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি লড়াইয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাজিবের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

বহুল আলোচিত ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের ২১টি, ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটিসহ ২৫টি অভিযোগের সবকটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অবৈধভাবে ২২০ কোটি রিঙ্গিত (প্রায় ৫৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এর আগে নাজিব দাবি করেছিলেন, তিনি পলাতক অর্থদাতা জো লোর প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বিচারক স্পষ্ট করেছেন, জো লো ও নাজিবের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং জো লো নাজিবের ছায়া বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে আত্মসাৎ করা অর্থ সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে পাওয়ার যে প্রমাণ নাজিব দিয়েছিলেন, তা-ও আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি অভিযোগের জন্য নাজিবের ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সাজা কত বছর হবে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ রায় মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোট সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম শরিক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নাজিবের সব অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া ইউএমএনওর কট্টর সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করতে পারে, যা সরকারের স্থায়িত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেমস চাই আল-জাজিরাকে বলেন, এ রায় মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এক বড় প্রমাণ। তবে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ইতিহাস
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজাব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়।
সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় ৭৬ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। যদিও নাজিব রাজাক গত বছর এই কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি লড়াইয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাজিবের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়েছেন মেলিন্ডা গেটস। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডবস বনাম জ্যাকসন মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ে গর্ভপাতের অনুমতির অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পর মার্কিন নাগরিকদের প্রজননে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে
২৯ মে ২০২৪
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে