সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ওভাল অফিস ও এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। একটি ভৌগোলিক নাম নিয়ে বিরোধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ট্রাম্প গত মাসেই ঘোষণা করেছিলেন ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করা হবে। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি ‘গালফ অব মেক্সিকোর’ নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করার নির্বাহী আদেশ দেন প্রসিডেন্ট ট্রাম্প।
সরকারি সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে এই পরিবর্তন গ্রহণ করলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো, বিশেষ করে এপি, এখনো ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নামই ব্যবহার করছে। মূলত এ কারণেই হোয়াইট হাউস এপিকে প্রেসিডেন্টের ইভেন্ট কাভার করা থেকে বিরত রাখছে। তবে এপির ফটোগ্রাফারদের এসব অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প যখন মার-আ-লাগোতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর প্রশাসন নিশ্চিত করে এপির সাংবাদিকেরা এয়ারফোর্স ওয়ানে থাকতে পারবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসনের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ টেলর বাডোউইচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এপির সিদ্ধান্ত শুধু বিভেদ সৃষ্টিকারী নয়, বরং এটি তাদের ভুল তথ্য প্রচারের প্রতিশ্রুতিকে প্রকাশ করে। যদিও প্রথম সংশোধনীর অধীনে তাদের দায়িত্বহীন ও অসৎ প্রতিবেদনের অধিকার সুরক্ষিত, তবে এটি তাদের সীমিত জায়গা, যেমন— ওভাল অফিস বা এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রবেশের বিশেষাধিকার দেয় না।’
টেলর বাডোউইচ আরও বলেন, ‘এখন থেকে এই জায়গাগুলো অন্য সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যাঁরা আগের প্রশাসনে কাভার করতে পারতেন না।’
এপি ও বিশ্বের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের জন্য হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্তকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ‘প্রেস পুল’ নামে পরিচিত সাংবাদিকদের একটি সংগঠন সব সময় প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হন। মূলত এরাই অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করেন। এপি হোয়াইট হাউস কাভারেজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বলা হয়ে থাকে, তারাই এই প্রেস পুল সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করেছিল।
১৮৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ডের হত্যাকাণ্ডের সময় প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে একটি পুল রিপোর্টার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে এপি এই পুলের সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছে। তবে এপির সাংবাদিকেরা এখনো হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে প্রবেশাধিকার পাবেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভ্রমণের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁদের প্রতিবেদন তৈরির সুযোগ সীমিত হবে।
এপি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির একজন কর্মী বলেছেন, ‘এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএইচসিএ) এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘এটি শুধু প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন নয়, বরং প্রেসিডেন্টের নিজস্ব বাকস্বাধীনতা এবং ফেডারেল সেন্সরশিপ বন্ধের নির্বাহী আদেশেরও লঙ্ঘন।’
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ওভাল অফিস ও এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। একটি ভৌগোলিক নাম নিয়ে বিরোধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ট্রাম্প গত মাসেই ঘোষণা করেছিলেন ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করা হবে। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি ‘গালফ অব মেক্সিকোর’ নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ করার নির্বাহী আদেশ দেন প্রসিডেন্ট ট্রাম্প।
সরকারি সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে এই পরিবর্তন গ্রহণ করলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো, বিশেষ করে এপি, এখনো ‘গালফ অব মেক্সিকো’ নামই ব্যবহার করছে। মূলত এ কারণেই হোয়াইট হাউস এপিকে প্রেসিডেন্টের ইভেন্ট কাভার করা থেকে বিরত রাখছে। তবে এপির ফটোগ্রাফারদের এসব অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প যখন মার-আ-লাগোতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর প্রশাসন নিশ্চিত করে এপির সাংবাদিকেরা এয়ারফোর্স ওয়ানে থাকতে পারবেন না।
ট্রাম্প প্রশাসনের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ টেলর বাডোউইচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এপির সিদ্ধান্ত শুধু বিভেদ সৃষ্টিকারী নয়, বরং এটি তাদের ভুল তথ্য প্রচারের প্রতিশ্রুতিকে প্রকাশ করে। যদিও প্রথম সংশোধনীর অধীনে তাদের দায়িত্বহীন ও অসৎ প্রতিবেদনের অধিকার সুরক্ষিত, তবে এটি তাদের সীমিত জায়গা, যেমন— ওভাল অফিস বা এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রবেশের বিশেষাধিকার দেয় না।’
টেলর বাডোউইচ আরও বলেন, ‘এখন থেকে এই জায়গাগুলো অন্য সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যাঁরা আগের প্রশাসনে কাভার করতে পারতেন না।’
এপি ও বিশ্বের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের জন্য হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্তকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ‘প্রেস পুল’ নামে পরিচিত সাংবাদিকদের একটি সংগঠন সব সময় প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হন। মূলত এরাই অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করেন। এপি হোয়াইট হাউস কাভারেজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বলা হয়ে থাকে, তারাই এই প্রেস পুল সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করেছিল।
১৮৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ডের হত্যাকাণ্ডের সময় প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে একটি পুল রিপোর্টার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে এপি এই পুলের সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছে। তবে এপির সাংবাদিকেরা এখনো হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে প্রবেশাধিকার পাবেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভ্রমণের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁদের প্রতিবেদন তৈরির সুযোগ সীমিত হবে।
এপি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির একজন কর্মী বলেছেন, ‘এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএইচসিএ) এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘এটি শুধু প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন নয়, বরং প্রেসিডেন্টের নিজস্ব বাকস্বাধীনতা এবং ফেডারেল সেন্সরশিপ বন্ধের নির্বাহী আদেশেরও লঙ্ঘন।’
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৪ ঘণ্টা আগে