
হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
২৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
২৪ মিনিট আগে
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেড ফোর্টের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেট বাইরে গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ত ও নিরাপত্তাসংবেদনশীল এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের ধরন বা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আলামত সংগ্রহ করছে।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই দিল্লিতে বিস্ফোরণ
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি আবাসিক ভবন থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি (৩ টন) বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল, যা সার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রাণঘাতী বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই অভিযান পরিচালিত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের এক চিকিৎসক আদিল রশিদ রাঠারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সিসিটিভিতে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে দেখে রাঠারকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি ছিল বলে পুলিশের দাবি।
তদন্তে মুজাম্মিল শাকিল আরও একজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নামে থাকা দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১২টি স্যুটকেসভর্তি বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও টাইমার ডিভাইস উদ্ধার করে।
এছাড়া এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার গাড়িতে একটি রাইফেল ও গুলি পাওয়া গেছে। আরও একটি রাইফেল উদ্ধার হয় কাশ্মীরের আনন্তনাগের মেডিকেল কলেজের একটি লকার থেকে, যেখানে আদিল রাঠার গত বছর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের ইঙ্গিত
এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জয়েশ-ই-মোহাম্মদ ও আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ জড়িত বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি। অভিযানের মাধ্যমে তারা এই দুটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত একটি আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আদিল রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল ও নারী চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং কয়েক ঘণ্টা পর দিল্লির হৃদয়স্থলে হওয়া এই বিস্ফোরণ—দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানীতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিল, যা আংশিকভাবে সফল হয়েছে।
ঘটনার পর পুরো দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে এবং লাল কেল্লা এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হামলার ইঙ্গিত বহন করছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেড ফোর্টের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেট বাইরে গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ত ও নিরাপত্তাসংবেদনশীল এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের ধরন বা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি, মুম্বাই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আলামত সংগ্রহ করছে।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই দিল্লিতে বিস্ফোরণ
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি আবাসিক ভবন থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি (৩ টন) বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল, যা সার হিসেবে ব্যবহৃত হলেও প্রাণঘাতী বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই অভিযান পরিচালিত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের এক চিকিৎসক আদিল রশিদ রাঠারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সিসিটিভিতে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে দেখে রাঠারকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি ছিল বলে পুলিশের দাবি।
তদন্তে মুজাম্মিল শাকিল আরও একজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর নামে থাকা দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১২টি স্যুটকেসভর্তি বিস্ফোরক, ডেটোনেটর ও টাইমার ডিভাইস উদ্ধার করে।
এছাড়া এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার গাড়িতে একটি রাইফেল ও গুলি পাওয়া গেছে। আরও একটি রাইফেল উদ্ধার হয় কাশ্মীরের আনন্তনাগের মেডিকেল কলেজের একটি লকার থেকে, যেখানে আদিল রাঠার গত বছর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের ইঙ্গিত
এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক জয়েশ-ই-মোহাম্মদ ও আল-কায়েদা-সম্পৃক্ত আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ জড়িত বলে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি। অভিযানের মাধ্যমে তারা এই দুটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত একটি আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আদিল রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল ও নারী চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং কয়েক ঘণ্টা পর দিল্লির হৃদয়স্থলে হওয়া এই বিস্ফোরণ—দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানীতে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিল, যা আংশিকভাবে সফল হয়েছে।
ঘটনার পর পুরো দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়েছে এবং লাল কেল্লা এলাকা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হামলার ইঙ্গিত বহন করছে।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
২৪ মিনিট আগে
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মানুষের দেহের অংশ উড়ে এসে তাঁর সামনে রাস্তায় পড়তে দেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের ভবন, জানালা ও দরজা কেঁপে ওঠে।
আজ সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের বাইরে বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে সব সময় পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ঘটনাস্থলটি জামা মসজিদ থেকে মাত্র ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে এবং গুরুদুয়ারা সিসগঞ্জ সাহিব থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে।
ঘটনার পরপর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ ও দগ্ধ দেহাবশেষ। ডজনখানেক অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ শুরু করে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি আমার বাড়ির ছাদ থেকে এক বিশাল আগুনের গোলা দেখেছি। মুহূর্তেই ভয়ংকর শব্দে সবকিছু কেঁপে ওঠে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে যাই। আমার বাড়ি গুরুদুয়ারার কাছে।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটল। আমার মনে হলো, শুধু একটি গাড়ি নয়, একাধিক গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।

দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মানুষের দেহের অংশ উড়ে এসে তাঁর সামনে রাস্তায় পড়তে দেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের ভবন, জানালা ও দরজা কেঁপে ওঠে।
আজ সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের বাইরে বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে সব সময় পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ঘটনাস্থলটি জামা মসজিদ থেকে মাত্র ১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে এবং গুরুদুয়ারা সিসগঞ্জ সাহিব থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে।
ঘটনার পরপর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, গাড়িগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ ও দগ্ধ দেহাবশেষ। ডজনখানেক অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার কাজ শুরু করে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমি আমার বাড়ির ছাদ থেকে এক বিশাল আগুনের গোলা দেখেছি। মুহূর্তেই ভয়ংকর শব্দে সবকিছু কেঁপে ওঠে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিচে নেমে যাই। আমার বাড়ি গুরুদুয়ারার কাছে।’
আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সবকিছু হঠাৎ করেই ঘটল। আমার মনে হলো, শুধু একটি গাড়ি নয়, একাধিক গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
২৪ মিনিট আগে
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
বিবিসি স্বীকার করেছে, সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি ট্রাম্পের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা তৈরি করেছিল এবং এটি প্রচারে বিবিসিকে আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল।
গত বছর প্রচারিত ওই ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে মনে হয়, তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
বিবিসির চেয়ারম্যান সমীর শাহ বিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প একজন মামলাবাজ মানুষ। আমরা এখনো নিশ্চিত নই, তিনি সত্যিই মামলা করবেন কি না, তবে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।’
এর আগে এই বিতর্কের জেরে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
টিম ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরও এক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
বিবিসি স্বীকার করেছে, সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি ট্রাম্পের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা তৈরি করেছিল এবং এটি প্রচারে বিবিসিকে আরও সাবধান হওয়া উচিত ছিল।
গত বছর প্রচারিত ওই ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে মনে হয়, তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
বিবিসির চেয়ারম্যান সমীর শাহ বিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প একজন মামলাবাজ মানুষ। আমরা এখনো নিশ্চিত নই, তিনি সত্যিই মামলা করবেন কি না, তবে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।’
এর আগে এই বিতর্কের জেরে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
টিম ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরও এক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
২৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
২৪ মিনিট আগে
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে, আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায় এবং সেগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দিল্লি পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, খুবই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল এটি। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোক নায়েক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরণের পর মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা (হাই অ্যালার্ট) জারি করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ২০টি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
দিল্লির পুরান দিল্লি এলাকায় অবস্থিত লালকেল্লা শহরের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন এলাকা। সেখানে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।
এদিকে, এ ঘটনার দিনই হরিয়ানার ফারিদাবাদে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন ড. মুজাম্মিল শাকিল নামের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্র ছিল যে, আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায় এবং সেগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি দিল্লি পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, খুবই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল এটি। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোক নায়েক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরণের পর মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে উচ্চ সতর্কতা (হাই অ্যালার্ট) জারি করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়ির ছাদে ছিলাম, হঠাৎ বিশাল আগুনের গোলা দেখলাম। শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠেছিল।’ আরও একজন বলেন, ‘আমি তখন গুরুদুয়ারায় ছিলাম, আচমকা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে।’
দিল্লি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ২০টি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
দিল্লির পুরান দিল্লি এলাকায় অবস্থিত লালকেল্লা শহরের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন এলাকা। সেখানে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন।
এদিকে, এ ঘটনার দিনই হরিয়ানার ফারিদাবাদে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন ড. মুজাম্মিল শাকিল নামের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের একাধিক গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল দেহের খণ্ডাংশ।
২৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি কাঁপা কণ্ঠে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে ‘কান কয়েক মিনিট ধরে বাজতে থাকে’। তিনি বলেন, ‘একজনের শরীর টুকরা হয়ে গিয়েছিল। আমি রাস্তায় একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, বিস্ফোরণটা ছিল ভয়ংকর।’
২৪ মিনিট আগে
বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরুর এক সপ্তাহ আগে প্রচারিত একটি ডকুমেন্টারিতে তাঁর বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে