রয়টার্স এক্সক্লুসিভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে। এ নীতি অস্ত্র ব্যবসায় চীন, তুরস্ক ও ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা ও এ বিষয়ে অবগত চারজন ব্যক্তি বিষয়টি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নতুন ব্যাখ্যার ফলে ১০০টিরও বেশি এমকিউ-৯ ড্রোন সৌদি আরবের কাছে বিক্রির পথ খুলে যাবে। সৌদি আরব চলতি বছরের বসন্তে ড্রোনগুলো কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল এবং এটি গত মে মাসে ঘোষিত ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির অংশ হতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলোও এ ধরনের ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ড্রোনগুলোকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সমমাত্রার হিসেবে চিহ্নিত করলে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত ৩৫ দেশের মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর) চুক্তিকে পাশ কাটাতে পারবে। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোসহ বহু দেশ মার্কিন উন্নত ড্রোনগুলো কিনতে সক্ষম হবে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ নতুন নীতির আওতায় জেনারেল অ্যাটোমিকস, ক্রাটোস ও অ্যান্ডুরিলের মতো বড় বড় মার্কিন ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘বৈদেশিক সমরাস্ত্র বিক্রি’ প্রক্রিয়ার আওতায় সহজেই আন্তর্জাতিক বাজারে ড্রোন ও যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করতে পারবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সামরিক বিক্রি কর্মসূচির একটি ‘বড় সংস্কারের’ প্রথম ধাপ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বর্তমান ব্যাখ্যায় এমটিসিআর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বহু সামরিক ড্রোন বিদেশে বিক্রির অনুমোদন পায় না, যদি না কোনো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখানো হয় এবং ক্রেতা আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যবহার করতে রাজি থাকে।
এমটিসিআর মূলত দূরপাল্লার গণবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার রোধে গঠিত হয়েছিল। ড্রোন তখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তবে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম ও অস্ত্র বহনের সক্ষমতার কারণে পরে ড্রোনকে এ চুক্তির আওতাভুক্ত করা হয়।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
মার্কিন ড্রোন নির্মাতারা বর্তমানে তীব্র বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছে। ইসরায়েলি, চীনা ও তুর্কি প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক কম শর্তে এসব অস্ত্র বিক্রি করছে।
চীন ও ইসরায়েল এমটিসিআরের সদস্য নয়, ফলে তারা মধ্যপ্রাচ্যে সহজেই ড্রোন বিক্রি করছে। তুরস্ক ১৯৯৭ সালে এমটিসিআরে যোগ দিলেও তাদের বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন তুলনামূলক হালকা ও স্বল্পপাল্লার হওয়ায় আলাদা মানদণ্ডে বিবেচিত হয়। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়া নিজস্ব ও ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেনে হামলার জন্য।
উন্নত প্রযুক্তি শত্রুর হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের কাছে বড় আকারের উন্নত ড্রোন বিক্রি বা দান করেনি।
সামরিক ড্রোন ও বেসামরিক প্রযুক্তি থেকে অভিযোজিত ড্রোন এখন আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচিত হওয়ায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। কেননা এসব ড্রোন যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘উইংম্যান’ হিসেবে উড়তে সক্ষম।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ‘শীর্ষ ড্রোন সরবরাহকারী’ হয়ে উঠবে। তুরস্ক ও চীনের বাজার দখল করবে।
নতুন ড্রোন বিক্রির নির্দেশিকা ঘোষণার সঠিক তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। বিদেশি সামরিক বিক্রি কর্মসূচির সংস্কার চলতি বছরে ঘোষিত হওয়ার কথা। বর্তমানে এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ও উন্নত জেট ইঞ্জিনচালিত ড্রোন নির্মাতারা উপকৃত হবে।
তবে সব ধরনের ড্রোন বিক্রি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘বিদেশি সামরিক বিক্রি প্রক্রিয়ার’ আওতায় থাকবে, যেখানে গ্রাহকের দেশের আঞ্চলিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার রেকর্ড ও অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বিবেচনা করা হবে।
সম্ভাব্য প্রথম ক্রেতা সৌদি আরব
নতুন ব্যাখ্যার আওতায় প্রথম বড় ড্রোনের চালান বিক্রি হতে পারে সৌদি আরবের কাছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে অস্ত্র বিক্রিতে কড়াকড়ি করেছিলেন। সে যুদ্ধে সৌদি আরবের ব্যবহৃত মার্কিন অস্ত্রের কারণে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল।
তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আবার ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
হোয়াইট হাউস এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বাণিজ্যঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মানবাধিকার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকর্মীরা সতর্ক করেছেন, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে। এ নীতি অস্ত্র ব্যবসায় চীন, তুরস্ক ও ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা ও এ বিষয়ে অবগত চারজন ব্যক্তি বিষয়টি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নতুন ব্যাখ্যার ফলে ১০০টিরও বেশি এমকিউ-৯ ড্রোন সৌদি আরবের কাছে বিক্রির পথ খুলে যাবে। সৌদি আরব চলতি বছরের বসন্তে ড্রোনগুলো কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল এবং এটি গত মে মাসে ঘোষিত ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তির অংশ হতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলোও এ ধরনের ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ড্রোনগুলোকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সমমাত্রার হিসেবে চিহ্নিত করলে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত ৩৫ দেশের মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর) চুক্তিকে পাশ কাটাতে পারবে। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোসহ বহু দেশ মার্কিন উন্নত ড্রোনগুলো কিনতে সক্ষম হবে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ নতুন নীতির আওতায় জেনারেল অ্যাটোমিকস, ক্রাটোস ও অ্যান্ডুরিলের মতো বড় বড় মার্কিন ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘বৈদেশিক সমরাস্ত্র বিক্রি’ প্রক্রিয়ার আওতায় সহজেই আন্তর্জাতিক বাজারে ড্রোন ও যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করতে পারবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সামরিক বিক্রি কর্মসূচির একটি ‘বড় সংস্কারের’ প্রথম ধাপ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বর্তমান ব্যাখ্যায় এমটিসিআর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বহু সামরিক ড্রোন বিদেশে বিক্রির অনুমোদন পায় না, যদি না কোনো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখানো হয় এবং ক্রেতা আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যবহার করতে রাজি থাকে।
এমটিসিআর মূলত দূরপাল্লার গণবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার রোধে গঠিত হয়েছিল। ড্রোন তখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তবে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম ও অস্ত্র বহনের সক্ষমতার কারণে পরে ড্রোনকে এ চুক্তির আওতাভুক্ত করা হয়।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
মার্কিন ড্রোন নির্মাতারা বর্তমানে তীব্র বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছে। ইসরায়েলি, চীনা ও তুর্কি প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক কম শর্তে এসব অস্ত্র বিক্রি করছে।
চীন ও ইসরায়েল এমটিসিআরের সদস্য নয়, ফলে তারা মধ্যপ্রাচ্যে সহজেই ড্রোন বিক্রি করছে। তুরস্ক ১৯৯৭ সালে এমটিসিআরে যোগ দিলেও তাদের বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন তুলনামূলক হালকা ও স্বল্পপাল্লার হওয়ায় আলাদা মানদণ্ডে বিবেচিত হয়। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়া নিজস্ব ও ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেনে হামলার জন্য।
উন্নত প্রযুক্তি শত্রুর হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের কাছে বড় আকারের উন্নত ড্রোন বিক্রি বা দান করেনি।
সামরিক ড্রোন ও বেসামরিক প্রযুক্তি থেকে অভিযোজিত ড্রোন এখন আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচিত হওয়ায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। কেননা এসব ড্রোন যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘উইংম্যান’ হিসেবে উড়তে সক্ষম।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ‘শীর্ষ ড্রোন সরবরাহকারী’ হয়ে উঠবে। তুরস্ক ও চীনের বাজার দখল করবে।
নতুন ড্রোন বিক্রির নির্দেশিকা ঘোষণার সঠিক তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। বিদেশি সামরিক বিক্রি কর্মসূচির সংস্কার চলতি বছরে ঘোষিত হওয়ার কথা। বর্তমানে এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ও উন্নত জেট ইঞ্জিনচালিত ড্রোন নির্মাতারা উপকৃত হবে।
তবে সব ধরনের ড্রোন বিক্রি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘বিদেশি সামরিক বিক্রি প্রক্রিয়ার’ আওতায় থাকবে, যেখানে গ্রাহকের দেশের আঞ্চলিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার রেকর্ড ও অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বিবেচনা করা হবে।
সম্ভাব্য প্রথম ক্রেতা সৌদি আরব
নতুন ব্যাখ্যার আওতায় প্রথম বড় ড্রোনের চালান বিক্রি হতে পারে সৌদি আরবের কাছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে অস্ত্র বিক্রিতে কড়াকড়ি করেছিলেন। সে যুদ্ধে সৌদি আরবের ব্যবহৃত মার্কিন অস্ত্রের কারণে বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল।
তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আবার ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
হোয়াইট হাউস এই উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বাণিজ্যঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মানবাধিকার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকর্মীরা সতর্ক করেছেন, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
২১ মিনিট আগে
চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
২ ঘণ্টা আগে
‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল ওয়ান সাইজ ফিটস অল নীতি।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থায়ন গোপনে জুলাই মাসে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত একটি কর ও ব্যয়সংক্রান্ত বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে তখন কোনো নির্দিষ্ট ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের আওতায় স্পেসএক্সকে এমন একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে, যা আকাশে চলমান লক্ষ্যবস্তু—যেমন মিসাইল বা যুদ্ধবিমান শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, এই ‘এয়ার মুভিং টার্গেট ইন্ডিকেটর’ সিস্টেমে ৬০০ পর্যন্ত স্যাটেলাইট থাকতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থায় মাস্কের প্রভাব আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্পেসএক্স পেন্টাগনের দুটি গোপন স্যাটেলাইট প্রকল্পেও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটির নাম ‘মিলনেট’, যা সংবেদনশীল সামরিক তথ্য নিরাপদে আদান-প্রদানের জন্য তৈরি একটি নেটওয়ার্ক। অন্যটির নাম ‘গ্রাউন্ড ট্র্যাকিং’ সিস্টেম, যা ভূপৃষ্ঠে থাকা যানবাহন পর্যবেক্ষণ ও শনাক্ত করতে সক্ষম আলাদা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব প্রকল্পে স্পেসএক্সের অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা কাঠামোয় কোম্পানিটির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
তবে মার্কিন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ইলন মাস্কের অতীত আচরণ—যেমন নাসার মহাকাশচারীদের বহনকারী স্পেসক্রাফট বন্ধের হুমকি—সরকারকে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে বহু ঠিকাদারকে অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিয়েছে।
‘গোল্ডেন ডোম’ কী?
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পটিকে একটি উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা মিসাইল শনাক্ত ও আঘাতের আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম একটি ঢালের মতো কাজ করবে। তবে এর কাঠামো বা কার্যপ্রণালি সম্পর্কে পেন্টাগন এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
প্রকল্পটির বড় বড় চুক্তি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়নি। প্রতিরক্ষা দপ্তর ব্যয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পে স্পেসএক্সের সম্পৃক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এ ধরনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকাশ করি না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থায়ন গোপনে জুলাই মাসে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত একটি কর ও ব্যয়সংক্রান্ত বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে তখন কোনো নির্দিষ্ট ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের আওতায় স্পেসএক্সকে এমন একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে, যা আকাশে চলমান লক্ষ্যবস্তু—যেমন মিসাইল বা যুদ্ধবিমান শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, এই ‘এয়ার মুভিং টার্গেট ইন্ডিকেটর’ সিস্টেমে ৬০০ পর্যন্ত স্যাটেলাইট থাকতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থায় মাস্কের প্রভাব আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্পেসএক্স পেন্টাগনের দুটি গোপন স্যাটেলাইট প্রকল্পেও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটির নাম ‘মিলনেট’, যা সংবেদনশীল সামরিক তথ্য নিরাপদে আদান-প্রদানের জন্য তৈরি একটি নেটওয়ার্ক। অন্যটির নাম ‘গ্রাউন্ড ট্র্যাকিং’ সিস্টেম, যা ভূপৃষ্ঠে থাকা যানবাহন পর্যবেক্ষণ ও শনাক্ত করতে সক্ষম আলাদা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব প্রকল্পে স্পেসএক্সের অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশভিত্তিক প্রতিরক্ষা কাঠামোয় কোম্পানিটির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে।
তবে মার্কিন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ইলন মাস্কের অতীত আচরণ—যেমন নাসার মহাকাশচারীদের বহনকারী স্পেসক্রাফট বন্ধের হুমকি—সরকারকে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে বহু ঠিকাদারকে অন্তর্ভুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিয়েছে।
‘গোল্ডেন ডোম’ কী?
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পটিকে একটি উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা মিসাইল শনাক্ত ও আঘাতের আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম একটি ঢালের মতো কাজ করবে। তবে এর কাঠামো বা কার্যপ্রণালি সম্পর্কে পেন্টাগন এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
প্রকল্পটির বড় বড় চুক্তি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়নি। প্রতিরক্ষা দপ্তর ব্যয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।
‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পে স্পেসএক্সের সম্পৃক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এ ধরনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকাশ করি না।’

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
২ ঘণ্টা আগে
‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল ওয়ান সাইজ ফিটস অল নীতি।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২ নভেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, একসময় শিনজিয়াং ছিল অশান্ত এলাকা। বেইজিংয়ের শাসনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলমানদের আন্দোলন, সহিংসতা এবং পরবর্তীকালে বন্দিশিবিরে ১০ লাখের বেশি উইঘুরকে আটক রাখার অভিযোগ—ওই অঞ্চলটিকে আন্তর্জাতিক মহলে কুখ্যাত করে তুলেছিল। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বললেও, চীন বরাবরই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে প্রবেশাধিকার দিতে অনীহা দেখিয়েছে।
বর্তমানে শিনজিয়াংকে সাজানো হচ্ছে এক নতুন পর্যটন স্বর্গ হিসেবে। চীন সরকার কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে সেখানকার অবকাঠামো, রাস্তা ও হোটেল নির্মাণে। বিখ্যাত হিলটন ও ম্যারিয়টসহ ২০০টির বেশি আন্তর্জাতিক হোটেল ইতিমধ্যেই সেখানে কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নাটক, টেলিভিশন সিরিজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিনজিয়াংকে ‘স্বর্গের বাগান’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের নাগরিক সান শেংইয়া ২০২৪ সালের মে মাসে শিনজিয়াং ঘুরে এসে বলেছেন, ‘এ যেন একসঙ্গে নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়া।’ তবে তিনি লক্ষ্য করেছেন সর্বত্র পুলিশ চৌকি, নিরাপত্তা ক্যামেরা ও বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত হোটেল। এসব যেন কঠোর নজরদারির ইঙ্গিত।
অন্যদিকে, কিছু পর্যটক বলেছেন শিনজিয়াং গিয়ে তাঁরা উইঘুর সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাননি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তার সুযোগ সেখানে সীমিত। এমনকি সেখানকার অনেক মসজিদে প্রবেশও নিষিদ্ধ। ফলে অনেকে মনে করেন, এখানে দেখানো সংস্কৃতি ‘পর্যটকবান্ধব নতুন এক সংস্করণ’, যেখানে বাস্তব উইঘুর জীবনের সংগ্রাম অনুপস্থিত।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে শিনজিয়াংয়ের শত শত গ্রাম ও এলাকার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব নামের অনেকগুলোই ছিল ইসলাম বা উইঘুর ইতিহাস সংশ্লিষ্ট। অনেক মসজিদ ধ্বংস বা অন্য কাজে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
এসব কিছুর পরও শিনজিয়াংয়ের পর্যটন বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠছে। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো ও রেডননোটে ভেসে বেড়াচ্ছে এই অঞ্চলের স্বপ্নময় হ্রদ, মরুভূমি, তুষারঢাকা পর্বত ও সোনালি বনভূমির ছবি। তবে সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর এখন একেবারেই অনুপস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত উইঘুর বংশোদ্ভূত কর্মী ইরাদে কাশগারি বলেন, ‘চীন আমাদের সংস্কৃতিকে পর্যটন সামগ্রী বানিয়ে ফেলেছে। তারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় আমরা শুধু রঙিন পোশাক পরে নাচ-গান করা মানুষ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি চাই মানুষ সেখানে যাক, সৌন্দর্য দেখুক, কিন্তু বাস্তব সমস্যাও বুঝুক। কারণ, আমার মতো অনেকে হয়তো আর কোনো দিন নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবে না।’
শিনজিয়াং তাই যেন আজ দ্বিমুখী এক প্রতিচ্ছবি। চীনের কাছে এটি এক সফল পর্যটন প্রকল্প, কিন্তু বহু উইঘুরের কাছে এটি হারানো ঘর, হারানো স্বাধীনতার প্রতীক।

চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২ নভেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, একসময় শিনজিয়াং ছিল অশান্ত এলাকা। বেইজিংয়ের শাসনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলমানদের আন্দোলন, সহিংসতা এবং পরবর্তীকালে বন্দিশিবিরে ১০ লাখের বেশি উইঘুরকে আটক রাখার অভিযোগ—ওই অঞ্চলটিকে আন্তর্জাতিক মহলে কুখ্যাত করে তুলেছিল। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বললেও, চীন বরাবরই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে প্রবেশাধিকার দিতে অনীহা দেখিয়েছে।
বর্তমানে শিনজিয়াংকে সাজানো হচ্ছে এক নতুন পর্যটন স্বর্গ হিসেবে। চীন সরকার কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে সেখানকার অবকাঠামো, রাস্তা ও হোটেল নির্মাণে। বিখ্যাত হিলটন ও ম্যারিয়টসহ ২০০টির বেশি আন্তর্জাতিক হোটেল ইতিমধ্যেই সেখানে কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নাটক, টেলিভিশন সিরিজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিনজিয়াংকে ‘স্বর্গের বাগান’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের নাগরিক সান শেংইয়া ২০২৪ সালের মে মাসে শিনজিয়াং ঘুরে এসে বলেছেন, ‘এ যেন একসঙ্গে নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়া।’ তবে তিনি লক্ষ্য করেছেন সর্বত্র পুলিশ চৌকি, নিরাপত্তা ক্যামেরা ও বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত হোটেল। এসব যেন কঠোর নজরদারির ইঙ্গিত।
অন্যদিকে, কিছু পর্যটক বলেছেন শিনজিয়াং গিয়ে তাঁরা উইঘুর সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাননি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তার সুযোগ সেখানে সীমিত। এমনকি সেখানকার অনেক মসজিদে প্রবেশও নিষিদ্ধ। ফলে অনেকে মনে করেন, এখানে দেখানো সংস্কৃতি ‘পর্যটকবান্ধব নতুন এক সংস্করণ’, যেখানে বাস্তব উইঘুর জীবনের সংগ্রাম অনুপস্থিত।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে শিনজিয়াংয়ের শত শত গ্রাম ও এলাকার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব নামের অনেকগুলোই ছিল ইসলাম বা উইঘুর ইতিহাস সংশ্লিষ্ট। অনেক মসজিদ ধ্বংস বা অন্য কাজে ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
এসব কিছুর পরও শিনজিয়াংয়ের পর্যটন বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠছে। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো ও রেডননোটে ভেসে বেড়াচ্ছে এই অঞ্চলের স্বপ্নময় হ্রদ, মরুভূমি, তুষারঢাকা পর্বত ও সোনালি বনভূমির ছবি। তবে সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর এখন একেবারেই অনুপস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত উইঘুর বংশোদ্ভূত কর্মী ইরাদে কাশগারি বলেন, ‘চীন আমাদের সংস্কৃতিকে পর্যটন সামগ্রী বানিয়ে ফেলেছে। তারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় আমরা শুধু রঙিন পোশাক পরে নাচ-গান করা মানুষ।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি চাই মানুষ সেখানে যাক, সৌন্দর্য দেখুক, কিন্তু বাস্তব সমস্যাও বুঝুক। কারণ, আমার মতো অনেকে হয়তো আর কোনো দিন নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবে না।’
শিনজিয়াং তাই যেন আজ দ্বিমুখী এক প্রতিচ্ছবি। চীনের কাছে এটি এক সফল পর্যটন প্রকল্প, কিন্তু বহু উইঘুরের কাছে এটি হারানো ঘর, হারানো স্বাধীনতার প্রতীক।

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
২১ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
২ ঘণ্টা আগে
‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল ওয়ান সাইজ ফিটস অল নীতি।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
২১ মিনিট আগে
চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
২ ঘণ্টা আগে
‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল ওয়ান সাইজ ফিটস অল নীতি।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে দেশে সরকার উৎখাত ও শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার পুরোনো নীতির দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। কারণ, ওয়াশিংটনের এই পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু নয়, বরং শত্রুর সংখ্যা বাড়িয়েছে; লক্ষ-কোটি ডলার গচ্চা গেছে, অসংখ্য প্রাণহানি হয়েছে এবং ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থানের মতো বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন আমেরিকা সেই পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে শান্তির নীতি নিতে চায়।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বাহরাইনে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইআইএসএস) আয়োজিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা সংলাপে’ তুলসী গ্যাবার্ড বিস্ফোরক এসব মন্তব্য করেন।
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল একধরনের “ওয়ান সাইজ ফিটস অল” নীতি, যেখানে অন্য দেশের সরকারকে উৎখাত করা এবং আমাদের শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া; এমন সব সংঘাতে হস্তক্ষেপ করা, যা আমরা আসলে ভালোভাবে বুঝতাম না এবং শেষে ফিরে আসতাম বন্ধু নয়, আরও শত্রু নিয়ে। ফলাফল কী হয়েছিল? লক্ষ-কোটি ডলার খরচ, অসংখ্য প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি—যেমন ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থান।’
তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স সম্প্রতি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তাঁরা আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়াতে চান। এটি আমেরিকা ফার্স্ট নীতির বাস্তব রূপ, যেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, বরং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করেছেন তিনি, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্থবির ছিল। তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাভাবিকীকরণ ঘটিয়ে বলকান অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র নয় মাসের মধ্যে ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান, ইসরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-ডিআরসি, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করেছেন। এমনকি মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতও ঠেকিয়েছেন।

হামাসের হাতে আটক সব জীবিত জিম্মির মুক্তির মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক উদ্যোগ ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, যদিও পরিস্থিতি নাজুক, তবুও এই যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে এই কক্ষে উপস্থিত অনেক অংশীদারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
গ্যাবার্ড বলেন, এসব প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে এক সরল কিন্তু বিপ্লবী ধারণা, তা হলো, যৌথ স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া, যেখানে স্বার্থ মিলবে, সেখানে পারস্পরিক লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করা এবং মতপার্থক্যগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা।
তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুঝতে পারেন, সবাই আমাদের মতো একই মূল্যবোধ বা শাসনব্যবস্থা অনুসরণ করে না এবং এটা স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ হলো— কোথায় আমাদের অভিন্ন স্বার্থ আছে, তা চিহ্নিত করা এবং সেই ভিত্তিতে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা। জ্বালানি নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবন—এ বিষয়গুলোই স্থায়ী বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বের মূল ভিত্তি।’
গ্যাবার্ড বলেন, আমেরিকা ফার্স্ট মানে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করা নয়, বরং ট্রাম্প যেভাবে প্রমাণ করেছেন, এর অর্থ হলো, সরাসরি কূটনীতিতে অংশ নেওয়া, যেসব আলোচনায় অন্যরা যেতে ভয় পায়, সেখানে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া এবং পারস্পরিক সার্বভৌম স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা।
বাহরাইনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে গ্যাবার্ড বলেন, ‘আমরা এখানে জড়ো হয়েছি এই পথেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে। বাহরাইন বারবার এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে একত্র করে এ সংলাপ আমাদের শেখায়—কীভাবে যৌথ স্বার্থকে প্রসারিত করে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।’
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক সহযোগী। আমরা এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে যুদ্ধ নয়, সহযোগিতাই নিরাপত্তার ভিত্তি হবে। যেখানে শান্তিই হবে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।’

দেশে দেশে সরকার উৎখাত ও শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার পুরোনো নীতির দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। কারণ, ওয়াশিংটনের এই পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু নয়, বরং শত্রুর সংখ্যা বাড়িয়েছে; লক্ষ-কোটি ডলার গচ্চা গেছে, অসংখ্য প্রাণহানি হয়েছে এবং ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থানের মতো বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন আমেরিকা সেই পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে শান্তির নীতি নিতে চায়।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বাহরাইনে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইআইএসএস) আয়োজিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা সংলাপে’ তুলসী গ্যাবার্ড বিস্ফোরক এসব মন্তব্য করেন।
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল একধরনের “ওয়ান সাইজ ফিটস অল” নীতি, যেখানে অন্য দেশের সরকারকে উৎখাত করা এবং আমাদের শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া; এমন সব সংঘাতে হস্তক্ষেপ করা, যা আমরা আসলে ভালোভাবে বুঝতাম না এবং শেষে ফিরে আসতাম বন্ধু নয়, আরও শত্রু নিয়ে। ফলাফল কী হয়েছিল? লক্ষ-কোটি ডলার খরচ, অসংখ্য প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি—যেমন ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থান।’
তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স সম্প্রতি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তাঁরা আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়াতে চান। এটি আমেরিকা ফার্স্ট নীতির বাস্তব রূপ, যেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, বরং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করেছেন তিনি, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্থবির ছিল। তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাভাবিকীকরণ ঘটিয়ে বলকান অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র নয় মাসের মধ্যে ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান, ইসরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-ডিআরসি, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করেছেন। এমনকি মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতও ঠেকিয়েছেন।

হামাসের হাতে আটক সব জীবিত জিম্মির মুক্তির মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক উদ্যোগ ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, যদিও পরিস্থিতি নাজুক, তবুও এই যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে এই কক্ষে উপস্থিত অনেক অংশীদারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
গ্যাবার্ড বলেন, এসব প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে এক সরল কিন্তু বিপ্লবী ধারণা, তা হলো, যৌথ স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া, যেখানে স্বার্থ মিলবে, সেখানে পারস্পরিক লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করা এবং মতপার্থক্যগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা।
তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুঝতে পারেন, সবাই আমাদের মতো একই মূল্যবোধ বা শাসনব্যবস্থা অনুসরণ করে না এবং এটা স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ হলো— কোথায় আমাদের অভিন্ন স্বার্থ আছে, তা চিহ্নিত করা এবং সেই ভিত্তিতে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা। জ্বালানি নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবন—এ বিষয়গুলোই স্থায়ী বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বের মূল ভিত্তি।’
গ্যাবার্ড বলেন, আমেরিকা ফার্স্ট মানে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করা নয়, বরং ট্রাম্প যেভাবে প্রমাণ করেছেন, এর অর্থ হলো, সরাসরি কূটনীতিতে অংশ নেওয়া, যেসব আলোচনায় অন্যরা যেতে ভয় পায়, সেখানে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া এবং পারস্পরিক সার্বভৌম স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা।
বাহরাইনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে গ্যাবার্ড বলেন, ‘আমরা এখানে জড়ো হয়েছি এই পথেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে। বাহরাইন বারবার এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে একত্র করে এ সংলাপ আমাদের শেখায়—কীভাবে যৌথ স্বার্থকে প্রসারিত করে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।’
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক সহযোগী। আমরা এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে যুদ্ধ নয়, সহযোগিতাই নিরাপত্তার ভিত্তি হবে। যেখানে শান্তিই হবে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।’

৩৮ বছর পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর লক্ষ্য, উন্নত মার্কিন সামরিক ড্রোন ও ভারী অস্ত্র বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রির পথ উন্মোচন করা। এতে সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘রিপার’ ধরনের ভারী সামরিক ড্রোন কিনতে পারবে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স। প্রকল্পটির আওতায় স্পেসএক্স দুই বিলিয়ন ডলার সরকারি অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
২১ মিনিট আগে
চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শিনজিয়াং। ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৩০ কোটি পর্যটক। এতে আয় হয়েছে প্রায় ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কিন্তু অনেকে মনে করেন, এই সাফল্যের আড়ালে রয়ে গেছে এমন এক শিনজিয়াং, যার বাস্তব চিত্র সাধারণ পর্যটকেরা দেখতে পান না।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
২ ঘণ্টা আগে