সারা জীবনে মোট ৩৪ হাজার বিগ ম্যাক হ্যামবার্গার বা বার্গার খেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডন গোর্স্ক। ৭০ বছর বয়সী এই মার্কিনি রেকর্ড গড়তে ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে বার্গার খেয়েছেন। তবে এক সময় তিনি দিনে ৯টি করেও বার্গার খেয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার গোর্স্ক তেলে না ভেজে খেতেন এবং প্রতিদিন ছয় মাইল হাঁটতেন। এতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নিজের আগের ৩২ হাজার বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে এবার ৩৪ হাজার বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪০ হাজারের অধিক বিশ্ব রেকর্ড সংরক্ষণের প্রতিষ্ঠান গিনেস ওয়ার্ল্ড বুককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোর্স্ক বলেন, অনেক লোক ভেবেছিল আমি এবার মারা যাব। কিন্তু পরিবর্তে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দীর্ঘকাল ধরে চলা রেকর্ডধারীদের একজন হয়েছি। তাই এটি আমার কাছে খুবই সুখকর।’
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ফন্ড ডু ল্যাক কারাগারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোর্স্ক। তাঁর সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডসের প্রধান পণ্য বার্গারের এই সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক বা ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলা বেশ কঠিন। কেননা বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘকাল ধরে সতর্ক করে আসছেন যে, ম্যাকডোনাল্ডস সহ অন্যান্য ফাস্ট ফুড নিয়মিত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় হতে পারে। কারণ খাবারগুলো ক্যালরি, সোডিয়াম, চিনি এবং চর্বিতে পরিপূর্ণ।
১৯৭২ সালের ১৭ মে প্রথমবার বিগ ম্যাক খান গোর্স্ক। এরপর থেকেই নাকি বিগ ম্যাকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে গোর্স্ক বলেন, প্রথমবার খাওয়ার পরই বুঝেছিলাম, বাকি জীবন আমি এটি খাওয়া ছাড়তে পারব না। তাই বিগ ম্যাক খাওয়ার পর কার্টনগুলো গাড়ির পেছনের সিটে ফেলতাম এবং প্রথম দিন থেকে সেগুলো গণনা শুরু করেছিলাম।’
গোর্স্ক প্রথম দিন থেকে খাওয়া প্রতিটি বিগ ম্যাকের একটি রসিদ এবং কার্টন নিজের সংগ্রহে রেখেছেন। প্রতিনিয়ত বিগ ম্যাক খাওয়ায় তাঁর মা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ছেলের বার্গারপ্রীতি দেখে তিনি গোর্স্ককে দিনে মাত্র একটি নন-বিগ ম্যাক খাওয়ার অনুমতি দেন।
কিন্তু ১৯৮১ সালে আশাহত হয়ে ছেলের বার্গার খাওয়া নিয়ে কড়াকড়ি করা বাদ দেন। তখন গোর্স্কের মা বলেছিলেন, ‘এত খাওয়ার পরও যখন মরোনি, তো খেয়ে যাও বাবা!’
এরপর থেকে গোর্স্ক প্রতিদিন একটি ম্যাকডোনাল্ডসের শাখায় যেতেন এবং নয়টি করে বিগ ম্যাক অর্ডার করতেন। প্রতিটি বার্গার তিনি আরাম করে খেতেন। ওই ম্যাকডোনাল্ডসের শাখার পার্কিং লটেই তিনি নিজের স্ত্রী মেরিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায় গোর্স্ক এখন সাধারণত সপ্তাহে দুবার ম্যাকডোনাল্ডে যান। কয়েকটি বিগ ম্যাক অর্ডার দিয়ে একটি খান এবং বাকিগুলো বাড়িতে নিয়ে যান।
গোর্স্ক বলেছেন, তিনি বিগ ম্যাকস ছাড়া অন্য কিছু তেমন খান না, তবে সন্ধ্যার নাশতা বা স্ন্যাক্সে তিনি আইসক্রিম, ফ্রুট বার বা আলুর চিপস খান।
কারাগারে চাকরি করার সময় কয়েদিরাও তাঁকে ‘বিগ ম্যাক’ খাওয়া নিয়ে উত্ত্যক্ত করত। বিশেষ করে যারা তাঁকে এই বিগ ম্যাক খাওয়া নিয়ে টিভিতে দেখেছিল বা অন্যরা তাঁদের কাছ থেকে জেনেছিল। তবে কারাগারের সহকর্মীরা তাঁর এই বিগ ম্যাক খাওয়ার অভ্যাসকে বেশ সমর্থন দিত, ডাবল শিফটে ডিউটি থাকলে সহকর্মীরা তাঁকে লুকিয়ে বিগ ম্যাক খেতে যাওয়ার সুযোগ দিতেন। স্ত্রী মেরিও তাঁকে বার্গার খাওয়ার জন্য সমর্থন করত বলে জানিয়েছেন গোর্স্ক।
সবচেয়ে বেশি বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড গোর্স্ক সর্বপ্রথম নিজের ঝুলিতে নেন ১৯৯৯ সালে। এরপর তিনি ২০১১ সালে ২৫ হাজার বিগ ম্যাক খেয়ে নিজের রেকর্ডকে নিজেই ভাঙেন। ওই সময় তিনি গর্ব করে গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিগ ম্যাক খেয়ে যাব। এটা এখনো আমার প্রিয় খাবার।’
তবে ২০২৩ সালে তিনি মাত্র ৭২৮টি বিগ ম্যাক খেয়েছেন। এতে তাঁর মোট বার্গার খাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১২৮ টিতে।
সারা জীবনে মোট ৩৪ হাজার বিগ ম্যাক হ্যামবার্গার বা বার্গার খেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডন গোর্স্ক। ৭০ বছর বয়সী এই মার্কিনি রেকর্ড গড়তে ৫০ বছর ধরে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে বার্গার খেয়েছেন। তবে এক সময় তিনি দিনে ৯টি করেও বার্গার খেয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্যা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার গোর্স্ক তেলে না ভেজে খেতেন এবং প্রতিদিন ছয় মাইল হাঁটতেন। এতে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নিজের আগের ৩২ হাজার বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড ভেঙে এবার ৩৪ হাজার বার্গার খাওয়ার রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪০ হাজারের অধিক বিশ্ব রেকর্ড সংরক্ষণের প্রতিষ্ঠান গিনেস ওয়ার্ল্ড বুককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোর্স্ক বলেন, অনেক লোক ভেবেছিল আমি এবার মারা যাব। কিন্তু পরিবর্তে আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দীর্ঘকাল ধরে চলা রেকর্ডধারীদের একজন হয়েছি। তাই এটি আমার কাছে খুবই সুখকর।’
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ফন্ড ডু ল্যাক কারাগারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোর্স্ক। তাঁর সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডসের প্রধান পণ্য বার্গারের এই সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক বা ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলা বেশ কঠিন। কেননা বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘকাল ধরে সতর্ক করে আসছেন যে, ম্যাকডোনাল্ডস সহ অন্যান্য ফাস্ট ফুড নিয়মিত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি, স্থূলতা, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় হতে পারে। কারণ খাবারগুলো ক্যালরি, সোডিয়াম, চিনি এবং চর্বিতে পরিপূর্ণ।
১৯৭২ সালের ১৭ মে প্রথমবার বিগ ম্যাক খান গোর্স্ক। এরপর থেকেই নাকি বিগ ম্যাকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে গোর্স্ক বলেন, প্রথমবার খাওয়ার পরই বুঝেছিলাম, বাকি জীবন আমি এটি খাওয়া ছাড়তে পারব না। তাই বিগ ম্যাক খাওয়ার পর কার্টনগুলো গাড়ির পেছনের সিটে ফেলতাম এবং প্রথম দিন থেকে সেগুলো গণনা শুরু করেছিলাম।’
গোর্স্ক প্রথম দিন থেকে খাওয়া প্রতিটি বিগ ম্যাকের একটি রসিদ এবং কার্টন নিজের সংগ্রহে রেখেছেন। প্রতিনিয়ত বিগ ম্যাক খাওয়ায় তাঁর মা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ছেলের বার্গারপ্রীতি দেখে তিনি গোর্স্ককে দিনে মাত্র একটি নন-বিগ ম্যাক খাওয়ার অনুমতি দেন।
কিন্তু ১৯৮১ সালে আশাহত হয়ে ছেলের বার্গার খাওয়া নিয়ে কড়াকড়ি করা বাদ দেন। তখন গোর্স্কের মা বলেছিলেন, ‘এত খাওয়ার পরও যখন মরোনি, তো খেয়ে যাও বাবা!’
এরপর থেকে গোর্স্ক প্রতিদিন একটি ম্যাকডোনাল্ডসের শাখায় যেতেন এবং নয়টি করে বিগ ম্যাক অর্ডার করতেন। প্রতিটি বার্গার তিনি আরাম করে খেতেন। ওই ম্যাকডোনাল্ডসের শাখার পার্কিং লটেই তিনি নিজের স্ত্রী মেরিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায় গোর্স্ক এখন সাধারণত সপ্তাহে দুবার ম্যাকডোনাল্ডে যান। কয়েকটি বিগ ম্যাক অর্ডার দিয়ে একটি খান এবং বাকিগুলো বাড়িতে নিয়ে যান।
গোর্স্ক বলেছেন, তিনি বিগ ম্যাকস ছাড়া অন্য কিছু তেমন খান না, তবে সন্ধ্যার নাশতা বা স্ন্যাক্সে তিনি আইসক্রিম, ফ্রুট বার বা আলুর চিপস খান।
কারাগারে চাকরি করার সময় কয়েদিরাও তাঁকে ‘বিগ ম্যাক’ খাওয়া নিয়ে উত্ত্যক্ত করত। বিশেষ করে যারা তাঁকে এই বিগ ম্যাক খাওয়া নিয়ে টিভিতে দেখেছিল বা অন্যরা তাঁদের কাছ থেকে জেনেছিল। তবে কারাগারের সহকর্মীরা তাঁর এই বিগ ম্যাক খাওয়ার অভ্যাসকে বেশ সমর্থন দিত, ডাবল শিফটে ডিউটি থাকলে সহকর্মীরা তাঁকে লুকিয়ে বিগ ম্যাক খেতে যাওয়ার সুযোগ দিতেন। স্ত্রী মেরিও তাঁকে বার্গার খাওয়ার জন্য সমর্থন করত বলে জানিয়েছেন গোর্স্ক।
সবচেয়ে বেশি বিগ ম্যাক খাওয়ার রেকর্ড গোর্স্ক সর্বপ্রথম নিজের ঝুলিতে নেন ১৯৯৯ সালে। এরপর তিনি ২০১১ সালে ২৫ হাজার বিগ ম্যাক খেয়ে নিজের রেকর্ডকে নিজেই ভাঙেন। ওই সময় তিনি গর্ব করে গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিগ ম্যাক খেয়ে যাব। এটা এখনো আমার প্রিয় খাবার।’
তবে ২০২৩ সালে তিনি মাত্র ৭২৮টি বিগ ম্যাক খেয়েছেন। এতে তাঁর মোট বার্গার খাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১২৮ টিতে।
প্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
১ সেকেন্ড আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
১ ঘণ্টা আগেশচীন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ছিলেন। পেটে চামচ ও টুথব্রাশ কীভাবে এল—জানতে চাইলে শচীন বলেন, ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগীদের সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়া হতো। ক্ষুধার চোটে ক্ষুব্ধ হয়ে স্তূপ করা বাসনকোসন থেকে চামচ চুরি করে খেতাম।’
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার ধনকুবের ব্যবসায়ী ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা বরিস আভাকিয়ান রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। ৪৩ বছর বয়সী বরিস ছিলেন ২০১৪ সালের ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’ জয়ী সুন্দরী ইউলিয়া ইয়োনিনার স্বামী। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি আদালতে ৩ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের জালিয়াতি মামলার বিচার চলাকালে বরিস সেখান থেকে পালান।
২ ঘণ্টা আগে