অনলাইন ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’
সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’
সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে