আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’

সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’

সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’

সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সি মিং জের বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর-ডানপন্থী ভাষ্যকার লরা লুমার। এই দাবি এমন এক সময়ে উঠেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি লড়াই চলছে।
লুমার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সি চিন পিংয়ের কন্যাকে বহিষ্কার করুন! তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন! সূত্র মারফত আমি জেনেছি, সিসিপির (চীনা কমিউনিস্ট পার্টি) পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) গার্ডরা ম্যাসাচুসেটসের মার্কিন মাটিতে তাঁকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেয়!’
লুমার তাঁর এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি বা তাঁর সূত্রের নামও উল্লেখ করেননি। তিনি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্টের কন্যা সি মিং জে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রকাশ্য প্রমাণ নেই। ২০১৫ সালে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকা জানিয়েছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সি মিং জে চীনে ফিরে গেছেন। এর পর থেকে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি।
লুমার এই ধরনের দাবি এমন এক সময়ে তুললেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষ প্রচার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে। যেখানে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
বিতর্কের সূত্রপাত যেভাবে
লুমার তাঁর সমর্থকদের এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সীমান্তবিষয়ক প্রধান টম হোম্যান এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমসহ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের ট্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে। তিনি এক্সে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সব চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ আছে বা যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা করছে।’
ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি অর্জনকারী চীনা শিক্ষার্থীদের ৯২ শতাংশই স্নাতক হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেকে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার পিএইচডি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই হার ৪১ শতাংশ। রিপাবলিকানরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সুযোগ ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিনেটর এরিক শ্মিট ‘প্রোটেক্টিং হায়ার এডুকেশন ফ্রম দ্য চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাক্ট’ বিল এনেছেন। এই বিলের লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং তাঁদের আত্মীয়দের জন্য আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র ভিসা নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রিখলিন-মেলনিক পূর্বে এক্সে লিখেছিলেন: ‘ট্রাম্পের শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এনএএফএসএ (অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেটরস)-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান এবং ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হুমকির মুখে ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করা বন্ধ করলে এর অর্থনৈতিক প্রভাব হবে বিপর্যয়কর।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং গত ২৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ‘সাধারণ শিক্ষা সহযোগিতা এবং একাডেমিক বিনিময়ে কোনো বাধা না দেওয়ার পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করছি যেন তারা চীনা শিক্ষার্থীসহ সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ কার্যকরভাবে রক্ষা করে।’

সি মিং জে ও তাঁর আমেরিকা ভ্রমণ
১৯৯২ সালে জন্ম নেওয়া সি মিং জে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান। তিনি ছদ্মনামে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তাঁকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জনসমক্ষে দেখা যায়। ২০০৮ সালের সিচুয়ান ভূমিকম্পের পর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর।
দ্য নিউ ইয়র্কারে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের মে মাসের এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে, হার্ভার্ডের স্নাতক শ্রেণির একজন সদস্য তাঁর ডিপ্লোমা সনদ গ্রহণ করেন। যেভাবে নীরবে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, সেভাবেই নীরবে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এই হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েটই হলেন সি মিং জে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী পেং লিউয়ানের একমাত্র সন্তান।
সি মিং জে থাকতেন অ্যাডামস হাউসে। এই অ্যাডামস হাউস ডরমিটরিতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং হেনরি কিসিঞ্জার। মিং জে মনোবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন। তিনি পুরোটা সময় ছদ্মনামে ছিলেন। তাঁর পরিচয় কেবল সীমিতসংখ্যক অনুষদ সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানত—সেই সংখ্যা ১০ জনের কম।
জাপানের সংবাদমাধ্যম আসাহি শিম্বুন-এর সংবাদদাতা কেনজি মিনেমিউরা হার্ভার্ডের ওই সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে আমেরিকায় সি মিং জের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখেছিলেন।
অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সন্তানদের মতোই কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সি মিং জেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল। তবে, কিছু চীনা নেতার সন্তান বিদেশে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। যেমন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক পলিটব্যুরো সদস্য বো শিলাই দুর্নীতির অপরাধে এবং তাঁর স্ত্রী গু কাইলাই হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হওয়ার আগে, তাঁদের ছেলে বো গুয়াগুয়া জ্যাকি চ্যানকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। জ্যাকির সঙ্গে মঞ্চে গান গেয়েছিলেন। হার্ভার্ডে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি চালাতেন। অন্যদিকে, সি মিং জে কেমব্রিজে অত্যন্ত ‘মিতব্যয়ী’ জীবনযাপন করতেন। তিনি সারাক্ষণ পড়াশোনা করতেন। এমনটাই জানিয়েছেন জাপানি সাংবাদিক কেনজি মিনেমিউরা।

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও উল্লেখ করেছেন যে, আওয়ামী আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন—গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে, সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা উল্লেখ করে ওই আইনপ্রণেতারা বলেন—যদি কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আগামী নির্বাচনও অবাধ হবে না। চিঠিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর এবং অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করেছেন, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এ ছাড়া, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’
আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার প্রকৃত জবাবদিহি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদলে হওয়া উচিত, প্রতিশোধের চক্র অব্যাহত রেখে নয়। তাঁরা লিখেছেন, ‘সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সামষ্টিক অপরাধের বদলে ব্যক্তিগত অপরাধের দায়বদ্ধতা হলো মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনার সরকার অথবা পরবর্তী কোনো নির্বাচিত সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দিন শেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের অধিকার রাখে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।’
আইনপ্রণেতারা আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামনের মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করতে আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও উল্লেখ করেছেন যে, আওয়ামী আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন—গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে, সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’
২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা উল্লেখ করে ওই আইনপ্রণেতারা বলেন—যদি কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আগামী নির্বাচনও অবাধ হবে না। চিঠিতে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর এবং অনেক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করেছেন, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এ ছাড়া, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে।’
আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য ঘটনার প্রকৃত জবাবদিহি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আদলে হওয়া উচিত, প্রতিশোধের চক্র অব্যাহত রেখে নয়। তাঁরা লিখেছেন, ‘সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সামষ্টিক অপরাধের বদলে ব্যক্তিগত অপরাধের দায়বদ্ধতা হলো মৌলিক মানবাধিকার। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর মনোযোগ না দিয়ে, কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এই নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
চিঠির শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনার সরকার অথবা পরবর্তী কোনো নির্বাচিত সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দিন শেষে বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো সরকার গঠনের অধিকার রাখে, যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত হবে।’
আইনপ্রণেতারা আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামনের মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করতে আমরা আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান কন্যা সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৩১ মে ২০২৫
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইত আল বসতিতে ১, হাজার ২০০ নতুন ঘর নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। বক্তৃতায় কাৎজ ২০০৫ সালে ইসরায়েল কর্তৃক পরিত্যক্ত উত্তর গাজার বসতিগুলো পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।
কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার অনেক গভীরে আছি এবং আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না, এমন কিছু ঘটবে না।’
কাৎজ আরও যোগ করেন, ‘সময় এলে আমরা উত্তর গাজায় উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়গুলোর জায়গায় নাহাল আউটপোস্ট (সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি) স্থাপন করব।’
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত উভয় অঞ্চলে দেশটির সৈন্যরা যে ধরনের সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল, মন্ত্রী মূলত সেই ধরনের আউটপোস্টের কথা উল্লেখ করছিলেন। এই আউটপোস্টগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বেসামরিক বসতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পশ্চিম জেরুজালেমের নেই। কাৎজের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গেও সরাসরি সংঘাত তৈরি করে, যা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলোতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসরায়েল গাজা দখল বা অ্যানেক্স (সংযুক্ত) করবে না।’
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। সমালোচকেরা কাৎজের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সঙ্কটময়’ মুহূর্তে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক চিফ অব স্টাফ গাদি আইজেনকোট এক্সে লিখেছেন, ‘সরকার যখন এক হাতে ট্রাম্প পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিচ্ছে, তখন অন্য হাতে তারা গাজা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপনের রূপকথা বিক্রি করছে।’
এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে কাৎজ তাঁর মন্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ এবং দাবি করা হয়েছে যে মন্তব্যগুলো ‘শুধু নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে’ করা হয়েছিল।

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাইত আল বসতিতে ১, হাজার ২০০ নতুন ঘর নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। বক্তৃতায় কাৎজ ২০০৫ সালে ইসরায়েল কর্তৃক পরিত্যক্ত উত্তর গাজার বসতিগুলো পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।
কাৎজ বলেন, ‘আমরা গাজার অনেক গভীরে আছি এবং আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না, এমন কিছু ঘটবে না।’
কাৎজ আরও যোগ করেন, ‘সময় এলে আমরা উত্তর গাজায় উচ্ছেদ হওয়া সম্প্রদায়গুলোর জায়গায় নাহাল আউটপোস্ট (সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি) স্থাপন করব।’
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত উভয় অঞ্চলে দেশটির সৈন্যরা যে ধরনের সামরিক-কৃষি ফাঁড়ি স্থাপন করেছিল, মন্ত্রী মূলত সেই ধরনের আউটপোস্টের কথা উল্লেখ করছিলেন। এই আউটপোস্টগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী বেসামরিক বসতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা পশ্চিম জেরুজালেমের নেই। কাৎজের এই বক্তব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গেও সরাসরি সংঘাত তৈরি করে, যা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলোতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘ইসরায়েল গাজা দখল বা অ্যানেক্স (সংযুক্ত) করবে না।’
ইসরায়েলি মন্ত্রীর এই বক্তব্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনা কুড়িয়েছে। সমালোচকেরা কাৎজের বিরুদ্ধে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সঙ্কটময়’ মুহূর্তে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অবজ্ঞা করার অভিযোগ তুলেছেন। সাবেক চিফ অব স্টাফ গাদি আইজেনকোট এক্সে লিখেছেন, ‘সরকার যখন এক হাতে ট্রাম্প পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিচ্ছে, তখন অন্য হাতে তারা গাজা উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপনের রূপকথা বিক্রি করছে।’
এই ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে কাৎজ তাঁর মন্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ এবং দাবি করা হয়েছে যে মন্তব্যগুলো ‘শুধু নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে’ করা হয়েছিল।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান কন্যা সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৩১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।
তুর্কি কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার আশঙ্কা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহ সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ এবং অন্য চার কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি দেশে ফেরার পথে এই ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ ঘটে।
আবদুল হামিদ দিবেইবাহ বলেন, ‘এই বিশাল ট্র্যাজেডি জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা এমন কিছু মানুষকে হারিয়েছি, যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন এবং তাঁরা শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও জাতীয় অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন।’
আল-হাদ্দাদ ছিলেন পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে বিভক্ত লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চলমান প্রচেষ্টায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য চার কর্মকর্তা হলেন লিবিয়ার পদাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতুরি ঘারিবিলা; সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাউই; সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাবি দিয়াব এবং সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি—জিএনইউ’ বা জাতীয় ঐক্যের সরকার দেশজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং সব ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান ও উদ্যাপন স্থগিত থাকবে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিতে লিবীয় প্রতিনিধিদলটি আঙ্কারায় ছিল।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানান, আল-হাদ্দাদকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, আঙ্কারার হ্যায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দাসো ফ্যালকন-৫০ মডেলের জেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে হ্যায়মানার ওপর দিয়ে উড্ডয়নকালে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল।
তুর্কি প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিসের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। বিমানটিকে পুনরায় এসেনবোগা বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে অবতরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। তবে জরুরি অবতরণের জন্য নিচে নামার সময়ই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যায়মানার রাতের আকাশে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের মতো আলো জ্বলে ওঠে।
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে লিবীয় সেনাপ্রধানের বিমান দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।’
লিবিয়ার সরকার (জিএনইউ) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য লিবিয়া থেকে একটি দল আঙ্কারায় পাঠানো হবে।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু ছিলেন।
তুর্কি কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার আশঙ্কা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেইবাহ সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ এবং অন্য চার কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি দেশে ফেরার পথে এই ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ ঘটে।
আবদুল হামিদ দিবেইবাহ বলেন, ‘এই বিশাল ট্র্যাজেডি জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা এমন কিছু মানুষকে হারিয়েছি, যাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন এবং তাঁরা শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও জাতীয় অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন।’
আল-হাদ্দাদ ছিলেন পশ্চিম লিবিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে বিভক্ত লিবিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চলমান প্রচেষ্টায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহত অন্য চার কর্মকর্তা হলেন লিবিয়ার পদাতিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতুরি ঘারিবিলা; সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাউই; সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাবি দিয়াব এবং সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি—জিএনইউ’ বা জাতীয় ঐক্যের সরকার দেশজুড়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং সব ধরনের সরকারি অনুষ্ঠান ও উদ্যাপন স্থগিত থাকবে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিতে লিবীয় প্রতিনিধিদলটি আঙ্কারায় ছিল।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানান, আল-হাদ্দাদকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর প্রায় ৪০ মিনিট পর রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আলী ইয়ারলিকায়া বলেন, আঙ্কারার হ্যায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দাসো ফ্যালকন-৫০ মডেলের জেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে হ্যায়মানার ওপর দিয়ে উড্ডয়নকালে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানিয়েছিল।
তুর্কি প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিসের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, বিমানটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। বিমানটিকে পুনরায় এসেনবোগা বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে অবতরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। তবে জরুরি অবতরণের জন্য নিচে নামার সময়ই বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যায়মানার রাতের আকাশে হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের মতো আলো জ্বলে ওঠে।
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুনচ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে লিবীয় সেনাপ্রধানের বিমান দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।’
লিবিয়ার সরকার (জিএনইউ) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য লিবিয়া থেকে একটি দল আঙ্কারায় পাঠানো হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান কন্যা সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৩১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একমাত্র সন্তান কন্যা সি মিং জে। যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ করে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তিনি নাকি এখন ম্যাসাচুসেটসে থাকেন। পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৩১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবৈধ বসতিগুলো পুনরায় স্থাপনের ধারণার কথাও বিবেচনা করছেন। তাঁর এই মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, যা কাৎজকে তাঁর দাবি থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে বাধ্য করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জেটে করে একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে