অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর যে বিশাল শুল্ক আছে তা ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হবে,’ তবে এটি আর ‘শূন্যের কোটায় আসবে না’। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের আগে, গতকাল মঙ্গলবারই মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, উচ্চ শুল্ক টেকসই নয়। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ কমার (ডি-এসকেলেশন) আশা করছেন। এর পরপরই ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন।
বেসেন্টের মন্তব্যের বিষয়ে দুই মার্কিন কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্যের বিস্তারিত বিষয় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেসেন্ট বলেছিলেন, ‘চীনের সঙ্গে আলোচনা একটি কঠিন প্রক্রিয়া হতে চলেছে। কোনো পক্ষই মনে করে না যে বর্তমান অবস্থা টেকসই।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রথম বেসেন্টের মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপি-৫০০ এর শেয়ার সূচক আড়াই শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পল অ্যাটকিন্সের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্যে ট্রাম্প শেয়ারবাজারের এই বৃদ্ধি স্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি টেকসই কি না, তা নিশ্চিত করা এড়িয়ে গেছেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমরা ভালোই করছি।’ ট্রাম্প চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক বসিয়েছেন। এর ফলে শেয়ারবাজার হোঁচট খেয়েছে এবং মার্কিন ঋণের ওপর সুদহার বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তার উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি চীনের প্রতি ‘খুবই সদয়’ আচরণ করবেন। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কঠোর হবেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করব এবং আদর্শভাবে একসঙ্গে কাজ করব।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত শুল্ক হার বর্তমান ১৪৫ শতাংশ থেকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ কমবে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি এত বেশি হবে না, এত বেশি হবে না।’
ট্রাম্প প্রশাসন জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক প্রত্যাহার করার কোনো প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দেননি। এমনকি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তিনি অন্য দেশগুলো তাদের নিজস্ব আমদানি শুল্ক কমাতে এবং যেকোনো অশুল্ক বাধা দূর করতে চায়। প্রশাসন বলছে, এই বাধাগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি ব্যাহত করেছে।
এর আগে, গত সোমবার চীন অন্যান্য দেশকে সতর্ক করেছে এমন বাণিজ্য চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে যা চীনের স্বার্থের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীন দৃঢ়ভাবে যেকোনো পক্ষের এমন চুক্তির বিরোধিতা করে, যা চীনের স্বার্থের ক্ষতি করে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য অন্যান্য দেশ থেকে ১৮টি প্রস্তাব পেয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাই একটি বাণিজ্য চুক্তি দেখতে চায়।’
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর যে বিশাল শুল্ক আছে তা ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হবে,’ তবে এটি আর ‘শূন্যের কোটায় আসবে না’। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের আগে, গতকাল মঙ্গলবারই মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, উচ্চ শুল্ক টেকসই নয়। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ কমার (ডি-এসকেলেশন) আশা করছেন। এর পরপরই ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন।
বেসেন্টের মন্তব্যের বিষয়ে দুই মার্কিন কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্যের বিস্তারিত বিষয় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেসেন্ট বলেছিলেন, ‘চীনের সঙ্গে আলোচনা একটি কঠিন প্রক্রিয়া হতে চলেছে। কোনো পক্ষই মনে করে না যে বর্তমান অবস্থা টেকসই।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রথম বেসেন্টের মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপি-৫০০ এর শেয়ার সূচক আড়াই শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পল অ্যাটকিন্সের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্যে ট্রাম্প শেয়ারবাজারের এই বৃদ্ধি স্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি টেকসই কি না, তা নিশ্চিত করা এড়িয়ে গেছেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমরা ভালোই করছি।’ ট্রাম্প চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক বসিয়েছেন। এর ফলে শেয়ারবাজার হোঁচট খেয়েছে এবং মার্কিন ঋণের ওপর সুদহার বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তার উচ্চ শুল্ক সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি চীনের প্রতি ‘খুবই সদয়’ আচরণ করবেন। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কঠোর হবেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করব এবং আদর্শভাবে একসঙ্গে কাজ করব।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত শুল্ক হার বর্তমান ১৪৫ শতাংশ থেকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ কমবে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি এত বেশি হবে না, এত বেশি হবে না।’
ট্রাম্প প্রশাসন জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক প্রত্যাহার করার কোনো প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দেননি। এমনকি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তিনি অন্য দেশগুলো তাদের নিজস্ব আমদানি শুল্ক কমাতে এবং যেকোনো অশুল্ক বাধা দূর করতে চায়। প্রশাসন বলছে, এই বাধাগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি ব্যাহত করেছে।
এর আগে, গত সোমবার চীন অন্যান্য দেশকে সতর্ক করেছে এমন বাণিজ্য চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে যা চীনের স্বার্থের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীন দৃঢ়ভাবে যেকোনো পক্ষের এমন চুক্তির বিরোধিতা করে, যা চীনের স্বার্থের ক্ষতি করে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য অন্যান্য দেশ থেকে ১৮টি প্রস্তাব পেয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাই একটি বাণিজ্য চুক্তি দেখতে চায়।’
আরও খবর পড়ুন:
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
২ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে