Ajker Patrika

তোশাখানা মামলার রায়ে চ্যালেঞ্জ বুশরা বিবির

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১১
তোশাখানা মামলার রায়ে চ্যালেঞ্জ বুশরা বিবির

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) তোশাখানা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

এর এক দিন আগেই তোশাখানা ও সাইফার মামলায় দোষী সাব্যস্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেন ইমরান খান।

তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালত। রায়ে ইমরান ও বুশরাকে ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে ১৫৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল আপিল দায়েরের সময় বুশরা বিবি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের পেছনে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের ইন্ধন ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক নিয়ন্ত্রক সৈয়দ ইনামুল্লাহ শাহের মিথ্যা বিবৃতির ওপর ভিত্তি করেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

বুশরা বিবির মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর সামরিক সচিবকে তোশাখানায় গ্রাফট জুয়েলারি সেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, জুয়েলারি সেটটি জমা করা হয়নি। আপিলের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সাজা স্থগিতের জন্য আদালতকে অনুরোধ বুশরা বিবি।

অন্যদিকে, আপিলে ইমরান খান দাবি করেন যে, তাঁদের কৌঁসুলিরা আদালতকে পূর্ণ সহায়তা দিলেও ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেই পরিচালিত হয়েছিল তাঁর মামলা।

আরও অভিযোগ করা হয় যে, উন্মুক্ত বিচারের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও জনসাধারণ, মিডিয়া ইত্যাদিকে নির্দ্বিধায় বিচারের সাক্ষী হতে দেওয়া হয়নি, বরং সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ও তাদের আইনজীবীদের না জানিয়েই আদালতের কক্ষ পরিবর্তন করে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করে হয়েছিল।

সরকারি উপহার সংরক্ষণাগার তোশাখানায় থাকা উপহারসামগ্রী এবং বিক্রয় থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশ না করার অভিযোগে ক্ষমতাসীন জোট সরকার ২০২২ সালের আগস্টে ইমরানের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি পরে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠান।

তবে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া লিখিত জবাবে ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর প্রাপ্ত কমপক্ষে চারটি উপহার বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর জবাবের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ২১.৫৬ মিলিয়ন রুপি দিয়ে উপহারগুলো সংগ্রহ করেছিলেন, তা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ মিলিয়ন রুপি পাওয়া গেছে। উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে—একটি গ্রাফ হাতঘড়ি, এক জোড়া কাফ লিংক, একটি দামি কলম এবং একটি আংটি—এসব মিলিয়ে একটি সেট; অন্য তিনটি উপহারের মধ্যে রয়েছে চারটি রোলেক্স ঘড়ি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

১৯৪৭ থেকে ২০২৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ফলাফল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত