Ajker Patrika

ইমরান খানের বিচার হবে কারাগারেই, থাকবে গণমাধ্যম 

ইমরান খানের বিচার হবে কারাগারেই, থাকবে গণমাধ্যম 

হাইকোর্ট আদেশ দিলেও কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রকাশ্য আদালতে বিচারে রাজি হয়নি সরকার। তাঁর ‘জীবনের হুমকির’ কথা উল্লেখ করে গতকাল সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিশেষ শুনানিতে গণমাধ্যম ও জনসাধারণের উপস্থিতিতে কারা প্রাঙ্গণে ইমরানের বিচারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ইমরান খানের আইনজীবীর বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

ইমরানের আইনজীবী বলেছেন, মামলার শুনানিকারী বিশেষ আদালত পরে জানিয়েছে, ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলার বিচার জেল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা মিডিয়া এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

গত শুক্রবার থেকে নতুন করে কারাগারে বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছে আদালত। গত মাসে খানকে অভিযুক্ত করার পর থেকে কারাগারে তাঁর বিচার চলছে।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গত সপ্তাহে রায় দিয়েছিল যে নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে খানের বিচার কারাগারের ভিতরে রাখা বেআইনি ছিল এবং এটি একটি খোলা আদালতে পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে খান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করেছেন।

 ৭১ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে আগস্টে তিন বছরের জন্য জেলে যান। এরপর থেকেই তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

আগস্টে গ্রেপ্তারের আগে ইমরান খান ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তার হুমকির কথা উল্লেখ করে, বিশেষ করে গত বছরের শেষের দিকে একটি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পরে, তিনি ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকেও অব্যাহতি চেয়েছেন।

ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, জেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা এবং পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী ইমরান খানের জীবনের হুমকি রয়েছে।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ, গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক ইসলামাবাদে বিশেষ ধরণের তার পাঠানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা।

দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে খানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের বাধা রয়েছে। তবে তিনি কোনো অপরাধ করেননি বলে জানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর নির্দেশেই আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং তারের মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন ইমরান খান। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী খানের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ইমরান খানের দল এবং অপর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মধ্যে দ্বন্দ্ব ততই বাড়ছে।

উভয় নেতাই সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে সরাসরি বেসামরিক সরকারের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বা পরোক্ষ নজরদারি করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত