অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব।
প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান হলেও ইমরানকে নিয়ে আলোচনার অবসান হয়নি। ইতিমধ্যে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। এটি খুবই সংগত যে, সামনের দিনগুলোতে তাঁকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলতেই থাকবে।
৬৯ বছরের বহু বর্ণিল জীবনে নানাভাবে আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ। মা-বাবার দেওয়া নাম ‘আহমেদ খান নিয়াজি ইমরান’ থেকে হয়ে উঠেছেন শুধুই ‘ইমরান খান’। পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান—বিশ্বকাপ! যখন ছাত্র ছিলেন অক্সফোর্ডের, তখনো আলোচিত ছিলেন ‘মেধাবী ছাত্র’ হিসেবে। ২২ গজে ছিলেন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ক্রিকেটার। আর যখন খেলা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামলেন, তখনো দুর্নীতিবিরোধী কথা বলে জায়গা করে নেন তরুণদের মনে। হয়ে ওঠেন ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান’।
আদতে সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বই তাঁর রাজনৈতিক জীবন নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২৬ বছরের লম্বা সংগ্রাম। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে ওই বছরই ইতি টানেন দীর্ঘ ২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তারপর পা রাখেন রাজনীতির মাঠে।
১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করে সবাইকে চমকে দেন ইমরান খান। কারণ ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেওয়ার আগেই তাঁর কাছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বেশ কয়েকটি দল থেকে। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগে (পিএমএল) যোগ দেওয়ার ডাক পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি নওয়াজ শরিফও তাঁকে নিজ দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরে নিজেই দল খুলে বসেন ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ইমরান।
দল গঠনের পরের বছরই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। সেই থেকে নানাভাবে আছেন রাজনৈতিক আলোচনায়। তাঁর রাজনৈতিক পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। একটি আসনেও জয়ের দেখা পাননি। এরপর ২০০২ সালের নির্বাচনেও খুব বাজেভাবে হেরে যায় ইমরানের দল। ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিলেন ইমরান। তবে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল ইমরানের দল। ভোটের হিসাবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং জয়ী আসনের হিসাবে তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল ইমরানের পিটিআই। কিন্তু সে বছরও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদের ডাক দেন ইমরান। ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেছিলেন তিনি। প্রায় ১২৬ দিন ধরে ইসলামাবাদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিলেন ইমরান ও তাঁর দল।
এসব কর্মসূচি ইমরানকে নাটকীয়ভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪৯টি আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জনগণের সামনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পাকিস্তানকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, বেকারত্ব হ্রাস করা ইত্যাদি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ে, মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়, বাড়তে থাকে বেকারত্ব। তাঁর সময়ে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়তে থাকে। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। আফগানিস্তানের পালাবদলের সময় তিনি তালেবানদের পক্ষ নেন।
এসব কারণে পশ্চিমা নেতাদের কাছে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হন ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত তিনি সে ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই সবকিছু মিলিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ইমরানের গদি। বিরোধীরা অর্থনৈতিক সমস্যার অভিযোগ তুলে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে গত ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এরপর আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দেওয়া জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৯ এপ্রিল শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দেন আদালত।
অবশেষে গতকাল শনিবার সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
ইমরান খানের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর পাঞ্জাবে। মামাতো ভাইদের উৎসাহে ভর্তি হয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে পড়েছেন লাহোরের অ্যাটকিনসন কলেজ, ক্যাথেড্রাল স্কুল ও অরচেস্টারের রয়্যাল গ্রামার স্কুলে। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৭০ সালে যখন জাতীয় দলে ডাক পান, তখনো তাঁর পড়াশোনাই শেষ হয়নি। ৮৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ইমরান ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ব্যাট-বল দুটোতেই ইমরান ছিলেন সব্যসাচী। তবে রাজনীতির মাঠে সেই নৈপুণ্য ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বিরোধীদের লাগাতার বাউন্সারে অবশেষে নাকাল হয়েই তাঁকে ফিরতে হলো সাজঘরে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ডন, জিও নিউজ, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
অবশেষে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হলো ইমরান খানকে। গতকাল শনিবার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো ইমরান খানের সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব।
প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান হলেও ইমরানকে নিয়ে আলোচনার অবসান হয়নি। ইতিমধ্যে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। এটি খুবই সংগত যে, সামনের দিনগুলোতে তাঁকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলতেই থাকবে।
৬৯ বছরের বহু বর্ণিল জীবনে নানাভাবে আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিবিদ। মা-বাবার দেওয়া নাম ‘আহমেদ খান নিয়াজি ইমরান’ থেকে হয়ে উঠেছেন শুধুই ‘ইমরান খান’। পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান—বিশ্বকাপ! যখন ছাত্র ছিলেন অক্সফোর্ডের, তখনো আলোচিত ছিলেন ‘মেধাবী ছাত্র’ হিসেবে। ২২ গজে ছিলেন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ক্রিকেটার। আর যখন খেলা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামলেন, তখনো দুর্নীতিবিরোধী কথা বলে জায়গা করে নেন তরুণদের মনে। হয়ে ওঠেন ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান’।
আদতে সাড়ে তিন বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বই তাঁর রাজনৈতিক জীবন নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২৬ বছরের লম্বা সংগ্রাম। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে ওই বছরই ইতি টানেন দীর্ঘ ২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তারপর পা রাখেন রাজনীতির মাঠে।
১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গঠন করে সবাইকে চমকে দেন ইমরান খান। কারণ ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেওয়ার আগেই তাঁর কাছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বেশ কয়েকটি দল থেকে। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগে (পিএমএল) যোগ দেওয়ার ডাক পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি নওয়াজ শরিফও তাঁকে নিজ দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরে নিজেই দল খুলে বসেন ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ইমরান।
দল গঠনের পরের বছরই পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। সেই থেকে নানাভাবে আছেন রাজনৈতিক আলোচনায়। তাঁর রাজনৈতিক পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। একটি আসনেও জয়ের দেখা পাননি। এরপর ২০০২ সালের নির্বাচনেও খুব বাজেভাবে হেরে যায় ইমরানের দল। ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিলেন ইমরান। তবে ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল ইমরানের দল। ভোটের হিসাবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং জয়ী আসনের হিসাবে তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল ইমরানের পিটিআই। কিন্তু সে বছরও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদের ডাক দেন ইমরান। ২০১৪ সালে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেছিলেন তিনি। প্রায় ১২৬ দিন ধরে ইসলামাবাদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিলেন ইমরান ও তাঁর দল।
এসব কর্মসূচি ইমরানকে নাটকীয়ভাবে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৪৯টি আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জনগণের সামনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পাকিস্তানকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা, বেকারত্ব হ্রাস করা ইত্যাদি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতি ধসে পড়ে, মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়, বাড়তে থাকে বেকারত্ব। তাঁর সময়ে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়তে থাকে। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কে জড়ান তিনি। আফগানিস্তানের পালাবদলের সময় তিনি তালেবানদের পক্ষ নেন।
এসব কারণে পশ্চিমা নেতাদের কাছে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হন ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত তিনি সে ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই সবকিছু মিলিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে ইমরানের গদি। বিরোধীরা অর্থনৈতিক সমস্যার অভিযোগ তুলে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে গত ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এরপর আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। গত ৭ এপ্রিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দেওয়া জাতীয় পরিষদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৯ এপ্রিল শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দেন আদালত।
অবশেষে গতকাল শনিবার সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।
ইমরান খানের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর পাঞ্জাবে। মামাতো ভাইদের উৎসাহে ভর্তি হয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে পড়েছেন লাহোরের অ্যাটকিনসন কলেজ, ক্যাথেড্রাল স্কুল ও অরচেস্টারের রয়্যাল গ্রামার স্কুলে। ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৭০ সালে যখন জাতীয় দলে ডাক পান, তখনো তাঁর পড়াশোনাই শেষ হয়নি। ৮৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলা ইমরান ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ব্যাট-বল দুটোতেই ইমরান ছিলেন সব্যসাচী। তবে রাজনীতির মাঠে সেই নৈপুণ্য ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বিরোধীদের লাগাতার বাউন্সারে অবশেষে নাকাল হয়েই তাঁকে ফিরতে হলো সাজঘরে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ডন, জিও নিউজ, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
২০২৫ সালে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের তথা ডাচ শিশুরাই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী। ৪৩টি উন্নত দেশের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে এই মূল্যায়ন করা হয়। কেউ যদি প্রশ্ন করেন, কেন ডাচ শিশুরাই সবচেয়ে সুখী, তবে এই বিষয়ে মার্কিন কিশোরী ম্যারি ফ্রান্সিস রাস্কেলের পর্যালোচনাটি জেনে নিতে পারেন
৭ ঘণ্টা আগেগত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত একটি খুনের মামলার বিচার শেষ হলো আধুনিক ডিএনএ প্রযুক্তির কল্যাণে। ১৯৬৭ সালে লুইসা ডান নামে এক বিধবাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাইল্যান্ড হেডলি নামে ৯২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রশ্ন উঠেছে, রাতারাতি তো গাছগুলো বড় হয়ে যায়নি, তাহলে কীভাবে এমন হলো? জানা গেছে, জেলা প্রশাসন যখন এই ১০০ কোটি রুপির সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়, তখন তারা বন বিভাগের কাছে গাছগুলো সরানোর অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে